বোড়ো ভাষা
বোড়ো ভাষা (বোড়ো ভাষায়: बोड़ो একটি তিব্বতি-বর্মী ভাষা যাতে উত্তর-পূর্ব ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশে বসবাসরত বোড় জাতির লোকেরা কথা বলে থাকেন। ভাষাটি ভারতের অসম অঙ্গরাজ্যের একটি সরকারী ভাষা এবং ভারতের সংবিধান অনুসারে দেশটির ২২টি জাতীয় ভাষার একটি।
Bodo | |
---|---|
Mech | |
बड़ो | |
দেশোদ্ভব | India, with a few small communities in Nepal |
জাতিতত্ত্ব | Bodo, Mech |
মাতৃভাষী | 1300000 (2001 census)[1]
|
চীনা-তিব্বতি
| |
ভাষা কোডসমূহ | |
আইএসও ৬৩৯-৩ | brx |
গ্লোটোলগ | bodo1269 [2] |
বংশানুক্রম
বোড়ো ভাষা তিব্বতি-বর্মী পরিবারের একটি ভাষা। এটি বংশগতভাবে অসমের দিমাসা ভাষা এবং মেঘালয়ের গারো ভাষার সাথে সম্পর্কিত। এছাড়াও ত্রিপুরার ককবরক ভাষার সাথেও এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে।
ইতিহাস
১৯১৩ সাল থকে বোড়ো সংগঠনগুলি রাজনৈতিক ও সামাজিক আত্মপরিচয়ের ব্যাপারে সচেতন হয়ে ওঠে/ ১৯৬৩ সালে অসমের বোড়োপ্রধান এলাকাগুলির প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে বোড়োর প্রচলন হয়। বর্তমানে ভাষাটি মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত প্রচলিত এবং অসম অঙ্গরাজ্যের একটি সরকারী ভাষা। গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯৬ সাল থেকে বোড়ো ভাষা ও সাহিত্যের উপর একটি স্নাতকোত্তর কোর্স প্রদান করা হচ্ছে। যদিও ইদানীং ভাষাটির উপর বাংলা ভাষার প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছে, তা সত্ত্বেও উদালগুরি জেলা ও তার আশেপাশে ভাষাটি স্বরূপে এখনও বিরাজমান।
উপভাষা
ছোটে, মেচ উপভাষাগুলি বোড়ো ভাষার উপভাষা।
লিখন পদ্ধতি
বোড়ো ভাষা বর্তমানে দেবনাগরী লিপি ব্যবহার করে লেখা হয়। তবে অতীতে বহুদিন যাবৎ এটি রোমান লিপিতে লেখা হত।
আরও দেখুন
- বোড়ো জাতি
- বোড়ো সাহিত্য সভা
- ককবরক ভাষা
বহিঃসংযোগ
- বোড়ো ভাষার উপর এথনোলগ রিপোর্ট
- Abley, Mark (2006) The Verbs of Boro, Lost Magazine, March 2006
- Bodoland.org
- Boro Language
- এথ্নোলগে Bodo (১৭তম সংস্করণ, ২০১৩)
- হ্যামারস্ট্রোম, হারাল্ড; ফোরকেল, রবার্ট; হাস্পেলম্যাথ, মার্টিন, সম্পাদকগণ (২০১৭)। "Bodo (India)"। গ্লোটোলগ ৩.০ (ইংরেজি ভাষায়)। জেনা, জার্মানি: মানব ইতিহাস বিজ্ঞানের জন্য ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট।