বোড়ো সাহিত্য সভা
বোড়ো সাহিত্য সভা হচ্ছে আসামের দ্বিতীয় বৃহৎ সাহিত্যিক এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।[1] বোড়ো সাহিত্য-সংস্কৃতির উন্নতি এবং প্ৰসারের জন্যে ১৯৫২ সালের ১৬ নভেম্বর কোকড়াঝাড় জেলার বসুগ্রামে বোড়ো সাহিত্য সভা গঠন করা হয়।[1][2] এর প্রধান কাৰ্য্যালয় কোকরাঝারে অবস্থিত। এই অনুষ্ঠানটিতে আসামের সাথে প্ৰতিবেশী রাজ্য পশ্চিম বঙ্গ, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরার সাথে নেপাল এর ও প্ৰতিনিধি আছে।[2]
গঠিত | ১৬ নভেম্বর, ১৯৫২ |
---|---|
উদ্দেশ্য | বোড়ো ভাষা এবং বোড়ো সংস্কৃতি |
সদরদপ্তর | কোকড়াঝাড়, আসাম |
দাপ্তরিক ভাষা | বড়ো |
সভাপতি | ড° কমলেশ্বর কুমার ব্ৰহ্ম |
ওয়েবসাইট | www.bodosahityasabha.org |
প্রাক্তন নাম | ড° |
ইতিহাস
ভারত স্বাধীন হওয়ার পর, কিছু সংখ্যক বড়ো বুদ্ধিজীবী লোক বোড়ো ভাষা সংরক্ষণের কথা চিন্তা করে। পূৰ্বের অনেক বড়ো সাহিত্যিক অসমীয়া অথবা বাংলা মাধ্যমে শিক্ষা লাভ করেছিলেন। বোড়ো সাহিত্য সভা বহুদিন সংগ্ৰাম করার পর ১৯৬৩ সালে প্ৰাথমিক শ্ৰেণীর পাঠসমূহ বোড়ো ভাষাতে আরম্ভ করা হয়। এরপর ১৯৬৮ সালে মাধ্যমিক শ্ৰেণীর পাঠসমূহ বোড়ো ভাষাতে আরম্ভ করা হয়। গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়, ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয় এবং নৰ্থ-ইষ্টাৰ্ণ হিলস ইউনিভার্সিটি বোড়ো ভাষা ও সাহিত্যকে Major Indian Languages (MIL) হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।[2] ১৯৮৫ সালে বোড়ো ভাষাকে আসামের দ্বিতীয় রাজ্য ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।[2]
উদ্দেশ্য
বোড়ো সাহিত্য সভার প্ৰধান উদ্দেশ্য হল: বোড়ো সাহিত্য-সংস্কৃতির উন্নতি এবং প্ৰসারের জন্যে কাজ করা।[1]
মুখপাত্ৰ এবং অন্যান্য তথ্য
- বোড়ো সাহিত্য সভার মুখপাত্ৰের নাম ‘বোড়ো’। ১৯৫৫ সাল থেকে এই মুখপাত্ৰ প্ৰকাশ হয়ে আসছে। তার আগে ‘কছারী’ নামে প্ৰকাশিত হত।
- বোড়ো সাহিত্য সভার একটা প্ৰকাশনী পরিষদ আছে। এই প্ৰকাশনী পরিষদ বৰ্তমান পর্যন্ত প্ৰায় ৮০ টি বোড়ো ভাষার পাঠ্যপুস্তক, কবিতাগ্রন্থ, ছোট গল্প, উপন্যাস ইত্যাদি প্ৰকাশ করেছে।[2]
- বোড়ো সাহিত্য সভা প্ৰতিবছর বোড়ো ভাষার শ্ৰেষ্ঠ লেখককে ৫,০০০ টাকা মূল্যের “সমেশ্বরী ব্ৰহ্ম শ্ৰেষ্ঠ সাহিত্য পদক” প্রদান করে। তদুপরি হাইস্কুলের বার্ষিক পরীক্ষায় বোড়ো ভাষাতে সৰ্বাধিক নম্বরপ্রাপ্ত পরীক্ষাৰ্থীদের ১০০০ টাকার এক পুরস্কার প্ৰদান করে।[1]
সাম্প্ৰতিক কালে বোড়ো সাহিত্য সভার অবস্থা
১৯৯৬ সালে গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় এ বোড়ো ভাষা ও সাহিত্যের জন্য একটা স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্ৰম আরম্ভ করা হয়। ভারত সরকারের মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্ৰালয়ের the aegis of the commission for Scientific and Technical terminology অধীনে বোড়ো সাহিত্য সভা চল্লিশ হাজারেরো অধিক বৈজ্ঞানিক এবং কারিগরী বিষয়ের শব্দসমূহ প্ৰকাশ করে। এছাড়াও বোড়ো ভাষাকে “ভাষা সন্মান” স্বীকৃতি দিতে সাহিত্য একাডেমী সন্মত হয়েছে। ভারতের সংবিধানের অষ্টাদশ অধ্যায়ে বোড়ো ভাষা এবং সাহিত্যের প্ৰয়োজনীয়তার বিষয়ে ভারত সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে।[2]
সভাপতিবৃন্দ
বোড়ো সাহিত্য সভার সভাপতিদের নাম হচ্ছে:[3]
সভাপতি | কাৰ্য্যকাল |
---|---|
জয় ভদ্ৰ হাগ্জের | ১৯৯২-১৯৬৬ |
সতীশ চন্দ্ৰ বসুমতারী | ১৯৬৬-১৯৬৮ |
গৌরীকান্ত ব্ৰহ্ম | ১৯৬৮-১৯৭৪ |
রামদাস বসুমতারী | ১৯৭৪-১৯৭৭ |
লক্ষেশ্বর ব্ৰহ্ম | ১৯৭৭-১৯৮০ |
রামদাস বসুমতারী | ১৯৮০-১৯৮৩ |
জগেন্দ্ৰ কুমার বসুমতারী | ১৯৮৩-১৯৯০ |
কমল কুমার ব্ৰহ্ম | ১৯৯০-১৯৯৩ |
মণিরাম মসারি | ১৯৯৩-১৯৯৬ |
বিনেশ্বর ব্ৰহ্ম | ১৯৯৬-২০০০ (আগষ্ট) |
দলেশ্বর বড়ো | ২০০০-২০০২ (আগষ্ট) |
ব্ৰজেন্দ্ৰ কুমার ব্ৰহ্ম | ২০০২-২০০৮ |
ড° কমলেশ্বর কুমার ব্ৰহ্ম | ২০০৮-বৰ্তমান |
সম্পাদকবৃন্দ
বোড়ো সাহিত্য সভার সম্পাদকদের নাম হচ্ছে:[4]
সম্পাদক | কাৰ্য্যকাল |
---|---|
সোণারাম থাওছেন | ১৯৫২-১৯৫৫ |
গৌরীকান্ত ব্ৰহ্ম | ১৯৫৬-৬৮ |
তরুণ কুমার বসুমতারী | ১৯৬৮-৭১ |
বিহুরাম বড়ো | ১৯৭১-৭৪ |
বাণেশ্বর বসুমতারী | ১৯৭৪-৭৭ |
বিহুরাম বড়ো | ১৯৭৭-৯০ |
বিনেশ্বর ব্ৰহ্ম | ১৯৯০-৯৩ |
গোপীনাথ বরগয়ারী | ১৯৯৩-২০০২ |
রাজেন খাকলারি | ২০০২-২০০৮ |
গোবিন্দ বসুমতারী | ২০০৫-২০০৮ |
কমলা কান্ত মসাহারী | ২০০৮- বৰ্তমান |
আরো দেখুন
- বোড়ো ভাষা
- বোড়ো
- অসম সাহিত্য সভা
তথ্য সূত্র
- শান্তনু কৌশিক বৰুৱা, প্ৰীতিমা কৌশিক বৰুৱা (ডিচেম্বৰ, ২০০৩)। নতুন জানানে (পৰিবৰ্ধিত অষ্টম সংস্কৰণ)। ইলা শৰ্মা, জ্যোতি প্ৰকাশন। পৃষ্ঠা ৯৯। আইএসবিএন 81-86827-11-0। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - "About Bodo Sahitya Sabha"। Bodo Sahitya Sabha। আগস্ট ১১, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১৪, ২০১২।
- "President List"। বোড়ো সাহিত্য সভা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১৪, ২০১২।
- "General Secretaries List"। বোড়ো সাহিত্য সভা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১৪, ২০১২।