ইরফান পাঠান

ইরফান পাঠান বাদডারা পশ্চিম ভারতীয় শহরে জন্মগ্রহণ করেন

পাঠান ২৭ অক্টোবর ১৯৮৪ ভারতের গুজরাট, বরোদা জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একটি দরিদ্র পরিবারে বাদোরার একটি মসজিদে তার ভাই ইউসুফ পাঠান এর সঙ্গে বেড়ে ওঠেন। তখন তার পিতা একজন মুয়াযযিন হিসেবে কাজ করতেন। যদিও তার পিতা একজন ইসলামী পণ্ডিত হিসেবে কাজ করলেও পাঠান এবং তার ভাই উভয়ই ক্রিকেটের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন।

পাঠান ২০০১ সালের মার্চে বাংলা ক্রিকেট দল এর বিরুদ্ধে প্রথম শ্রেণীর আত্মপ্রকাশ করেনে। পরবর্তীতে তার সহযোগী বা-হাতি পেসার জহির খান কে জাতীয় দলের জন্য নির্বাচন করা হয়েছিল। তিনি ১৩ রানে অপরাজিত ও ২ রান এবং ৪০ রান খরচ করে ৩ উইকেট ও ৬৮ রানে ২ উইকেট লাভ করেন। যার ফলে ২২২ রানে বিশাল ব্যবধানে তার দল জয়ী হয়।

পাঠান ২০০৩ সালের ডিসেম্বর মাসে এডিলেড ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে তিনি টেস্ট ক্রিকেট প্রতিযোগীতায় আত্মপ্রকাশ করেন। ১৯ বছর বয়সে তিনি প্রথম টেস্ট বারোদার ব-হাতি বোলার জাহির খান আঘাতের কারনে তিনি উদ্বোধনী বোলার হিসেবে বল করেন। প্রায় ওভারে পাঁচ রানের সমতায় রান করা অস্ট্রেলিয় দলের ১৬০ রানের উচ্চ স্কোরিং ম্যাচে তিনি ম্যাথু হেডেন এর উইকেট লাভ করেন।[2] তার একমাত্র ইনিংসে তিনি মাত্র এক রান করেন তারপরেও ভারত চার উইকেটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

• ইরফান পাঠান ডবল ১০০০ রান এবং ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রুততম সময়ে ১০০ উইকেট - (২০১৩ সালের ২৯ জানুয়ারি এর হিসাবে) বিশ্বরেকর্ডধারী খেলোয়াড়। এটি তিনি মাত্র ১০৫৯ দিনে গ্রহণ করেছেন।[6]
• তিনি হলেন ভারতের ওয়ানডে ক্রিকেট মাত্র (৫৯ ম্যাচে) ১০০ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছানো দ্রুততম খেলোয়াড়।[7]

• ২০০৪ – ‌আইসিসি বছরের উঠতি প্লেয়ার

ম্যান অব দ্যা ম্যাচ পুরস্কার

সি.নং	প্রতিপক্ষ	মাঠ	তারিখ	ম্যাচের অবদান
১	বাংলাদেশ	বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা	১০–১৩ ডিসেম্বর ২০০৪	১ম ইনিংস : ৫ (১৭ বলে ১x৪); ১৬-৫-৪৫-৫; ২য় ইনিংস : DNB; ১৫-৫-৫১-৬
২	জিম্বাবুয়ে	কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব, বুলাওয়ে	১৩–১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৫	১ম ইনিংস : ৫২ (১০৩ বলে ৬x৪); ১৮.৫-৩-৫৮-৫; ১ ক্যাচ ২য় ইনিংস : DNB; ১২-৪-৫৩-৪
৩	জিম্বাবুয়ে	হারারে স্পোর্টস ক্লাব, হারারে	২০–২২ সেপ্টেম্বর ২০০৫	১ম ইনিংস : ৩২ (৪৫ বল ৭x৪); ১৫.২-৪-৫৯-৭; ২য় ইনিংস : DNB; ১৯-৩-৬৭-৫
৪	অস্ট্রেলিয়া	ডব্লিউএসিএ গ্রাউন্ড, পার্থ	১৬–১৯ জানুয়ারি ২০০৮	১ম ইনিংস : ২৮ (৪৪ বল ৪x৪); ১৭-২-৬৩-২; ২য় ইনিংস : ৪৬ (৬৪ বল ৬x৪); ১৬-২-৫৪-৩

ম্যান অব দ্য সিরিজ পুরস্কার

সিরি নং	সিরিজ (প্রতিপক্ষ)	মৌসুম	সিরিজ অবদান
১	বাংলাদেশ	২০০৪/০৫	৯ রান (২ ম্যাচ এবং ২ ইনিংস); ১৮ ইইকেট (২ ম্যাচ এবং ৪ ইনিংস);
২	জিম্বাবুয়ে	২০০৫	৮৪ রান (২ ম্যাচ এবং ২ ইনিংস: ১x৫০); ২১ উইকেট (২ ম্যাচ এবং ৪ ইনিংস) ১ ক্যাচ;

ম্যান অব দ্য পুরস্কার

সিরি. নং	প্রতিপক্ষ	মাঠ	তারিখ	ম্যাচের অবদান
১	জিম্বাবুয়ে	ডব্লিউএসিএ গ্রাউন্ড, পার্থ	৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৪	৩* (৮ বল); ১০-১-২৪-৪;
২	জিম্বাবুয়ে	হারারে স্পোর্টস ক্লাব, হারারে	২৯ আগস্ট ২০০৫	DNB; ১০-৩-২৭-৫;
৩	শ্রীলঙ্কা	পাঞ্জাব ক্রিকেট আসোসিয়েশন স্টেডিয়াম, মোহালী	২৮ অক্টোবর ২০০৫	DNB; ৮-০-৩৭-৪;
৪	শ্রীলঙ্কা	আইপিসিএল ক্রীড়া কমপ্লেক্স গ্রাউন্ড, বড়োদরা	১২ নভেম্বর ২০০৫	৩৫ (২৩ বল: ২x৪, ২x৬); ১০-১-৩৮-৩;
৫	দক্ষিণ আফ্রিকা	এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম, বেঙ্গালুরু	১৯ নভেম্বর ২০০৫	৩৭ (৫৮ বল: ৪x৪, ১x৬); ৬-১-২৩-৩;
৬	পাকিস্তান	রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়াম, রাওয়ালপিন্ডি	১১ ফেব্রুয়ারি ২০০৬	DNB; ১০-১-৪৩-৩;
৭	শ্রীলঙ্কা	পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, কান্দি	৪ আগস্ট ২০১২	২৯ (২৮ বল: ২x৪); ১০-০-৬১-৫;

ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরষ্কার

সিরি. নং	প্রতিপক্ষ	মাঠ	তারিখ	ম্যাচের অবদান
১	পাকিস্তান	নিউ ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়াম, জোহানেসবার্গ	২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৭	৩* (৩ বল); ৪-০-১৬-৩;
২	শ্রীলঙ্কা	পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ক্যান্ডি	৭ আগষ্ট ২০১২	ডিএনবি; ৪-০-২৭-৩;

উইকিমিডিয়া কমন্সে ইরফান পাঠান সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।

• ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ইরফান পাঠান (ইংরেজি)