ইউসুফ পাঠান

ইউসুফ পাঠান (গুজরাটি: યુસુફ પઠાણ) (জন্ম: ১৭ নভেম্বর ১৯৮২) হলেন একজন ভারতীয় ক্রিকেটার। পাঠানের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ২০০১/০২ মৌসুমে অভিষেক হয়। তিনি হলেন একজন ডানহাতি শক্তিশালী এবং আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান এবং ডানহাতি অফব্রেক বোলার। তার সমভাই হলেন ইরফান পাঠান হলেন আর একজন ভারতীয় জাতীয় দলের খেলোয়াড়। টুয়েন্টি ২০ ক্রিকেটে তিনি হলেন প্রথম ব্যাটসমান যিনি ফিল্ডিংয়ে বাধা দেওয়ার জন্য তাকে প্রথম আউট দেওয়া হয়।[1]

ইউসুফ পাঠান
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামইউসুফ খান পাঠান
জন্ম (1982-11-17) ১৭ নভেম্বর ১৯৮২
বারোদা, গুজরাট, ভারত
উচ্চতা১.৮৮ মিটার (৬ ফুট ২ ইঞ্চি)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাঅলরাউন্ডার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় পার্শ্ব
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৭২)
১০ জুন ২০০৮ বনাম পাকিস্তান
শেষ ওডিআই১৮ মার্চ ২০১২ বনাম পাকিস্তান
ওডিআই শার্ট নং২৮
টি২০আই অভিষেক
(ক্যাপ ১৮)
২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৭ বনাম পাকিস্তান
শেষ টি২০আই৩০ মার্চ ২০১২ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
টি২০আই শার্ট নং২৮
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০১/০২বর্তমানবারোদা
২০০৮২০১০রাজস্থান রয়ালস
২০১১বর্তমানকলকাতা নাইট রাইডার্স
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা ওডিআই এফসি এলএ টি-২০আই
ম্যাচ সংখ্যা ৫৭ ৫২ ১৩৪ ২২
রানের সংখ্যা ৮১০ ২,৮৫৫ ২,৯৭৯ ২৩৬
ব্যাটিং গড় ২৭.০০ ৩৯.৬৫ ৩৩.১০ ১৮.১৫
১০০/৫০ ২/৩ ৭/১২ ৭/১৩ ০/০
সর্বোচ্চ রান ১২৩* ২১০* ১৪৮ ৩৭*
বল করেছে ১,৪৯০ ৮,৫২৯ ৪,৪৭১ ৩০৫
উইকেট ৩৩ ১২৪ ৯৪ ১৩
বোলিং গড় ৪১.৩৬ ৩১.৪৯ ৪০.১০ ৩৩.৬৯
ইনিংসে ৫ উইকেট ১০
ম্যাচে ১০ উইকেট n/a n/a n/a
সেরা বোলিং ৩/৪৯ ৬/৪৭ ৫/৫২ ২/২২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৭/ ৫৩/ ৫২/ ৯/

ব্যক্তিগত জীবন

পাঠান ভারতের বারোদা, গুজরাটে একটি মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার সমভাই হচ্ছেন ইরফান পাঠান। ইউসুফ ২০১৩ সালের ২৭ মার্চ মুম্বাই ভিত্তিক ফিজিওথেরাপিস্ট আফরিনকে বিয়ে করেন।

খেলোয়াড়ী জীবন

২০০৭ সালে দিওধার ট্রফি তার চিত্তাকর্ষক পারফরমেন্স এবং এপ্রিল ২০০৭ সালে অণুষ্ঠিত আন্তঃ-রাষ্ট্র ঘরোয়া টোয়েন্টি ২০ প্রতিযোগিতায়, পাঠান সেপ্টেম্বর ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অণুষ্ঠিত উদ্বোধনী টুয়েন্টি-২০ ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ খেলার জন্য ভারতীয় দলের একজন খেলোয়াড় ছিলেন। পাঠানের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফাইনালে তার টোয়েন্টি ২০ আন্তর্জাতিকে অভিষেক হয়। তিনি উক্ত ম্যাচে ভারতের হয়ে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হয়ে ব্যাট করতে নামেন এবং ১৫ রান করতে সক্ষম হন।[2]

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ

২০০৭/০৮ সালের ঘরোয়া মৌসুমের শুভ সূচনার পরে রাজস্থান রয়ালসের সাথে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে মাকিন ডলার ৪৭৫,০০০ (INR ১.৯ কোটি) টাকার বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ হন। ২০০৮ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে তিনি ৪৩৫ রান এবং ৪ উইকেট লাভ করেন। তিনি উক্ত মৌসুমের ডেকান চার্জার্সের বিরুদ্ধে দ্রুতগতিন অর্ধশতকের ইতিহাস গড়েন (২১ বলে ৫০) এবং চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন। আইপিএল ৩ মৌসুমে রাজস্থান রয়্যালসের সহ-অধিনায়ক নির্বাচিত হন। ২০১০ সালের ১৩ মার্চ, পাঠান ৩৭ বলে ১০০ (শতক) করেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এর বিরুদ্ধে। ইনিংসে পরপর বাউন্ডারী হিট অন্তর্ভুক্ত করেন (৬, ৬, ৬, ৬, ৪, ৪, ৬, ৪, ৪, ৪, ৪)।

পাঠানে দ্রুততম আইপিএল শতকের স্কোর দেখার পর, রাজস্থান রয়ালসে অধিনায়ক শেন ওয়ার্ন তার জীবনে দেখা দুর্দান্ত শতক। এমনকি তিনি তার ক্যারিয়ারে দেখা তার দেশের ক্লাবের অ্যান্ড্রু সাইমন্সডস অতুলনী শতক এর সঙ্গে তুলনা করেন ইউসুফ পাঠানকে।

২০১১ সালের নিলামে কলকাতা নাইট রাইডার্স তাকে $২.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে কিনে নেয়।

বিতর্ক

১৫ মে ২০১৩ তারিখে ইউসুফ পাঠান পুনে ওয়ারিয়র্স ভারতের বিপক্ষে পেপসি আইপিএল ২০১৩ এর ম্যাচ নং ৬৫তে কলকাতা নাইট রাইডার্স খেলায় টোয়েন্টি ২০ ক্রিকেটে ফিল্ডিংয়ে বাধা দেওয়ার জন্য তাকে আউট দেওয়া প্রথম ব্যাটসম্যান হন।[3][4]

আইপিএল মৌসুম

ইউসুফ পাঠানের আইপিএল পরিসংখ্যান
বছরদলইনিংসরানসর্ব্বোচ্চএভারেজস্ট্রাইকশতকঅর্ধশত
২০০৮রাজস্থান রয়্যালস [5][6][7]১৫৪৩৫৬৮৩১.০৭১৭৯.০১৪৩২৫
২০০৯১৩২৪৩৬২*২০.২৫১৩২.৭৮২৪১২
২০১০১৪৩৩৩১০০২৭.৭৫১৬৫.৬৭২২২৪
২০১১কলকাতা নাইট রাইডার্স [8][9]১১২৮৩৪৭*২৮.৩০১৪০.৭৯২৪১৩
২০১২১৭১৯৪৪০*১৯.৪০১১৪.৭৯১০
২০১৩১৬৩৩২৭২৩০.১৮১৩৮.৩৩৩০১৪
২০০৯-২০০৯ সর্বমোট [10]৯১১৮২০১০০২৬.৩৭১৪৭.১৩১৫৩৯৫

আন্তর্জাতিক শতক

একদিনের আন্তর্জাতিক শতক

  • * indicates the batsman being not out
ইউসুফ পাঠানের একদিনের আন্তর্জাতিক শতক
#রানবলপ্রতিপক্ষশহর/দেশমাঠবছর
১২৩*৯৬ নিউজিল্যান্ডব্যাঙ্গালোর, ভারতএম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম২০১০
১০৫৭০ দক্ষিণ আফ্রিকাসেঞ্চুরিয়ান, দক্ষিণ আফ্রিকাসুপার স্পোর্টস পার্ক২০১১

পুরস্কার

ওডিআই পুরস্কার

ম্যান অব দ্যা ম্যাচ পুরস্কার

সিরি;নং প্রতিপক্ষ মাঠ তারিখ ম্যাচের অবদান
 নিউজিল্যান্ড এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম, ব্যাঙ্গালোর ৭ ডিসেম্বর ২০১০ ১২৩* (৯৬ বল: ৭x৪, ৭x৬); ৯-০-৪৯-৩, ১ ক্যাচ;
 দক্ষিণ আফ্রিকা নিউল্যান্ডস স্টেডিয়াম, কেপ টাউন ১৮ জানুয়ারি ২০১১ ৫৯ (৫০ বল: ৬x৪, ৩x৬); ৬-০-২৭-১;

টি-২০আই পুরস্কার

ম্যান অব দ্যা ম্যাচ পুরস্কার

সিরি.নং প্রতিপক্ষ মাঠ তারিখ ম্যাচের অবদান
 শ্রীলঙ্কা আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম, কলম্বো ১০ জানুয়ারি ২০০৯ ২২* (১০ বল: ১x৪, ২x৬); ৪-০-২৩-২; ১ ক্যাচ
 জিম্বাবুয়ে হারারে স্পোর্টস ক্লাব, হারারে ১২ জুন ২০১০ ৩৭* (২৪ বল: ২x৪, ৩x৬); ২-০-১০-০;

ইউসুফ এছাড়াও ওয়েস্ট জোন ২০১৩ দলীপ ট্রফি খেলেছেন।

তথ্যসূত্র

  1. "Yusuf dismissal divides opinion"। Wisden India। ১৫ মে ২০১৩। ৪ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৪
  2. "Lalchand Rajput appointed manager for Twenty20 World Cup"। ২৩ আগস্ট ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৮
  3. "Hutton, Yusuf and obstructing the field"। Wisden India। ১৬ মে ২০১৩। ২৭ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৪
  4. Yusuf Pathan first IPL Batsman given out Obstructing Field
  5. "Indian Premier League, 2007/08 / Records / Most runs"। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০১২
  6. "Indian Premier League, 2009 / Records / Most runs"। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০১২
  7. "Indian Premier League, 2009/10 / Records / Most runs"। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০১২
  8. "Indian Premier League, 2011 / Records / Most runs"। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০১২
  9. "Indian Premier League, 2012 / Records / Most runs"। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১২
  10. "Indian Premier League / Records / Most runs"। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০১২

বহিঃসংযোগ


This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.