আলী যাকের

আলী যাকের (জন্ম: ৬ই নভেম্বর, ১৯৪৪) একজন বাংলাদেশী অভিনেতা, ব্যবসায়ী ও কলামিস্ট। তিনি টেলিভিশন ও মঞ্চ নাটকে সমান জনপ্রিয়।[1] তিনি একই সাথে দেশীয় বিজ্ঞাপনশিল্পের একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব। আলী যাকের বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনী সংস্থা এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটির কর্ণধার। তিনি বাংলাদেশের দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখে থাকেন। তার সহধর্মিনী সারা যাকেরও একজন অভিনেত্রী।

আলী যাকের
জন্ম (1944-11-06) ৬ নভেম্বর ১৯৪৪
জাতীয়তাবাংলাদেশী
পেশাঅভিনেতা , পরিচালক, ব্যবসায়ী, বিজ্ঞাপনী সংস্থা এশিয়াটিকের কর্ণধার
পরিচিতির কারণমঞ্চ ও টেলিভিশন অভিনেতা
দাম্পত্য সঙ্গীসারা যাকের (বি. ১৯৭৭)
সন্তান
পিতা-মাতা
  • মুহাম্মদ তাহের
  • রেজিয়া তাহের

শিল্পকলায় অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে ভূষিত করে। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী পদক, নরেন বিশ্বাস পদক এবং মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেছেন।

মঞ্চনাটক

১৯৭২ সালের আলী যাকের আরণ্যক নাট্যদলের হয়ে মামুনুর রশীদের নির্দেশনায় মুনীর চৌধুরীর কবর নাটকটিতে প্রথম অভিনয় করেন যার প্রথম প্রদর্শনী হয়েছিল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে। ১৯৭২ সালের জুন মাসের দিকে আতাউর রহমানজিয়া হায়দারের আহ্বানে নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ে যোগ দেন। ঐ দলে তিনি আতাউর রহমানের নির্দেশনায় বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ নাটকে প্রথম অভিনয় করেন, যার প্রথম মঞ্চায়ন হয়েছিল ওয়াপদা মিলনায়তনে । ১৯৭৩ সালে নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ে তিনি প্রথম নির্দেশনা দেন বাদল সরকারের বাকি ইতিহাস নাটকে, যা ছিল বাংলাদেশে প্রথম দর্শনীর বিনিময়ে নাট্য প্রদর্শনীর যাত্রা।[2] আলী যাকের ২০১০ সালের ডিসেম্বরে বাংলাভিশনের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক অনুষ্ঠান ভালোবাসার বাংলাদেশ উপস্থাপনা করেন।[3]

ব্যক্তিগত জীবন

নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ের জন্য বিশ্বখ্যাত বিদেশী নাটকের বাংলা রূপান্তর আর নাটক নির্দেশনা এসব কাজে আলী যাকের ব্যস্ত ছিলেন। ১৯৭৩ সালে ঐ দলে যোগ দেন সারা যাকের যাকে শুরুতে চোখেই পড়েনি আলী যাকেরের। একটি নাটকের প্রদর্শনীর আগের দিন একজন অভিনেত্রী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে গেলে সারা যাকেরকে দেওয়া হয় চরিত্রটিতে অভিনয় করতে। আলী যাকেরের ওপর দায়িত্ব পড়ে চরিত্রটার জন্য তাকে তৈরি করার এবং খুব দ্রুত চরিত্রটির সাথে নিজেকে মানিয়ে নেন সারা যাকের। এই প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে যান আলী যাকের। ১৯৭৭ সালের এই ঘটনার রেশ ধরেই আলী যাকের আর সারা যাকেরের বিয়ে হয়।[4] এই দম্পতির দুই সন্তান, পুত্র অভিনেতা ইরেশ যাকের ও কন্যা শ্রিয়া সর্বজয়া।

কর্মতালিকা

চলচ্চিত্র

টেলিভিশন

মঞ্চ নাটক

নাটক নির্দেশক
কবর মামুনুর রশীদ
বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ আতাউর রহমান
বাকী ইতিহাস আলী যাকের
বিদগ্ধ রমণী কুল আলী যাকের
তৈল সংকট আলী যাকের
এই নিষিদ্ধ পল্লীতে আলী যাকের
দেওয়ান গাজীর কিস্‌সা আসাদুজ্জামান নূর
সৎ মানুষের খোঁজে আলী যাকের
অচলায়তন আলী যাকের
কোপেনিকের ক্যাপ্টেন আলী যাকের
ম্যাকবেথ ক্রিস্টোফার স্যানফোর্ড
টেমপেস্ট ডেবোয়া ওয়ারনার
নূরলদীনের সারাজীবন আলী যাকের
কবর দিয়ে দাও আতাউর রহমান
গ্যালিলিও আতাউর রহমান
গ্যালিলিও পান্থ শাহরিয়ার
কাঁঠাল বাগান (চেরি অরচার্ড) আলী যাকের

পুরস্কার

তথ্যসূত্র

  1. কমল, এরশাদ (২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯)। "Aly Zaker: Reporter in the frontline"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১০
  2. যাকের, আলী (৭ অক্টোবর ২০১০)। "মঞ্চে প্রথম"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১
  3. যাকের, আলী। "উপস্থাপক আলী যাকের"বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১
  4. হাসান, বিপুল (১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১)। "ভালোবাসার ঘর-সংসার"বাংলা নিউজ২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১
  5. "আলী যাকের-নূর-সারা যাকের সংবর্ধিত"দৈনিক ইনকিলাব (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ জুলাই ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৮
  6. "আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন তিন গুণী"দৈনিক প্রথম আলো। ৮ অক্টোবর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৮
  7. "আলী যাকের পেলেন আজীবন সম্মাননা"দৈনিক প্রথম আলো। ২৬ এপ্রিল ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১৯

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.