আলাউয়ি

আলাউয়ি (ʿAlawīyyah আরবি: علوية) সিরিয়াকেন্দ্রিক একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়। এটি দ্বাদশবাদি শিয়া মতের একটি শাখা। তবে তাদের বিশ্বাসে অন্যান্যদের সাথে ভিন্নতা রয়েছে। আলাউয়িরা আলি ইবনে আবি তালিবকে সম্মান করে এবং আলাউয়ি দ্বারা আলির অনুসারী বোঝানো হয়। ধারণা করা হয় যে ৯ম শতাব্দীতে ইবনে নুসাইর এই গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠা করেন। একারণে আলাউয়িদেরকে কখনো কখনো নুসাইরি (Nuṣayrī আরবি: نصيرية) বলা হয়। বর্তমানে সিরিয়ার জনসংখ্যার ১২% আলাউয়ি সম্প্রদায়ের সদস্য। তুরস্ক ও উত্তর লেবাননে তারা উল্লেখযোগ্য সংখ্যালঘু হিসেবে রয়েছে। অধিকৃত গোলান মালভূমির গাজার গ্রামেও আলাউয়িদের বসতি রয়েছে। তুরস্কের শিয়া আলেভি সম্প্রদায় ও আলাউয়িদের একই ধরে অনেকে ভুল করে থাকে। সিরিয়ান উপকূল এবং উপকূলবর্তী শহরে আলাউয়িরা প্রধান ধর্মীয় গোষ্ঠী।

আলাউয়ি
আলাউয়িয়াহ
علوية
জুলফিকার, আলি ইবনে আবি তালিবের তলোয়ারের শৈল্পিক চিত্রায়ন, আলাউয়িদের একটি গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন
প্রতিষ্ঠাতা
ইবনে নুসাইর
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল
 সিরিয়া৩ মিলিয়ন[1]
 তুরস্ক৭,০০,০০০-৭,৫০,০০০[2]
 লেবানন১,০০,০০০-১,২০,০০০[3][4][5]
লেবানন/গোলান মালভূমিগাজারে ২,১০০ জন
 অস্ট্রেলিয়ালেবানিজ অস্ট্রেলিয়ানদের ২%[6]
ধর্ম
শিয়া ইসলাম
ধর্মগ্রন্থ
কুরআন, শিয়া বইয়ের তালিকা
ভাষা
আরবি, তুর্কি

ঐতিহাসিকভাবে আলাউয়িরা বহিরাগত ও অআলাউয়িদের কাছ থেকে তাদের বিশ্বাস গোপন করে রাখত। ফলে তাদের সম্পর্কে গুজব রটে। আলাউয়িদের সম্পর্কে আরবি বিবরণগুলোতে ভালো মন্দ উভয় লিখিত রয়েছে।[7]

সিরিয়ায় ফরাসি মেন্ডেট আলাউয়ি ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এর মাধ্যমে ফরাসিরা তাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য সিরিয়ানদের নিয়োগ দিতে থাকে এবং সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা অঞ্চল গঠন করে যার মধ্যে আলাউয়ি রাষ্ট্র অন্তর্গত ছিল। আলাউয়ি রাষ্ট্র পরে বিলুপ্ত করা হয়। তবে আলাউয়িরা সিরিয়ান সেনাবাহিনীর উল্লেখযোগ্য অংশ হিসেবে থেকে যায়। ১৯৭০ সালে হাফিজ আল আসাদ ক্ষমতায় গ্রহণের পর থেকে সরকার রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী আলাউয়ি আল আসাদ পরিবার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হতে শুরু করে। ১৯৭০ ও ১৯৮০ এর দশকে সিরিয়ায় ইসলামি উত্থানের সময় সরকার চাপের মুখে পড়ে এবং সংঘাত সিরিয়ান গৃহযুদ্ধ পর্যন্ত চলে আসে।

তথ্যসূত্র

  • আলাউয়িদের তালিকা

তথ্যসূত্র

  1. "The 'secretive sect' in charge of Syria"। BBC। ১৭ মে ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০১৫
  2. "On Turkey's Syrian frontier, fears of a sectarian spillover"। Reuters। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১৩
  3. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৬ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৫
  4. "Lebanese Allawites welcome Syria's withdrawal as 'necessary'"The Daily Star। ৩০ এপ্রিল ২০০৫। The Alawis have been present in modern-day Lebanon since the 16th century and are estimated to number 100,000 today, mostly in Akkar and Tripoli. The sect is managed through the Islamic Alawi Union, a council of 600 members that are elected every four years.
  5. "Lebanon's Alawi: A Minority Struggles in a 'Nation' of Sects"। Al Akhbar English। ৮ নভেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১২
  6. Ghassan Hage (২০০২)। Arab-Australians today: citizenship and belonging (Paperback সংস্করণ)। Melbourne University Publishing। পৃষ্ঠা 40। আইএসবিএন 0-522-84979-2।
  7. Friedman, Yaron (২০১০)। The Nuṣayrī-ʻAlawīs: An Introduction to the Religion, History, and Identity of the Leading Minority in Syria। পৃষ্ঠা 68। আইএসবিএন 9004178929।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.