স্পেন জাতীয় ফুটবল দল
স্পেনের জাতীয় ফুটবল দল (স্পেনীয়: Selección de fútbol de España সেলেক্সিওন্ দে ফুত্বোল্ দে এস্পাঞা) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে স্পেনের প্রতিনিধি। দলটির নিয়ন্ত্রণ করে রাজকীয় স্পেনীয় ফুটবল ফেডারেশন। স্পেনের জাতীয় ফুটবল দলকে সাধারণত লা ফুরিয়া রোহা (La Furia Roja) অর্থাৎ "লাল শিখা" বা কেবল লা রোহা অর্থাৎ "লাল" নামে সম্বোধন করা হয়।[2]
![]() | |||
ডাকনাম(সমূহ) | La Furia Roja La Roja | ||
---|---|---|---|
অ্যাসোসিয়েশন | রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন | ||
কনফেডারেশন | উয়েফা (ইউরোপ) | ||
প্রধান কোচ | লুইস এনরিক | ||
অধিনায়ক | সার্জিও রামোস | ||
সর্বাধিক ম্যাচ খেলা খেলোয়াড় | ইকার কাসিয়াস (১৬৭) | ||
শীর্ষ গোলদাতা | ডেভিড ভিয়া (৫৯) | ||
স্বাগতিক স্টেডিয়াম | সান্তিয়াগো বার্নাবু ভিসেন্তা ক্যালডিরোন মেসতাল্লা | ||
ফিফা কোড | ESP | ||
| |||
ফিফা র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ১০ (৭ জুন, ২০১৮) | ||
সর্বোচ্চ | ১ (জুলাই ২০০৮ – জুন ২০০৯, অক্টোবর ২০০৯ - মার্চ ২০১০, জুলাই ২০১০ - জুলাই ২০১১, অক্টোবর ২০১১ - জুলাই ২০১৪) | ||
সর্বনিম্ন | ২৫ (মার্চ ১৯৯৮) | ||
এলো র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ৩ (১২ জুন ২০১৮) | ||
সর্বোচ্চ | ১ (সেপ্টেম্বর ১৯২০ - মে ১৯২৪, সেপ্টেম্বর - ডিসেম্বর ১৯২৫, জুন ২০০২, জুন ২০০৮ - জুন ২০০৯, জুলাই ২০১০ - জুন ২০১৩, সেপ্টেম্বর ২০১৩) | ||
সর্বনিম্ন | ২০ (জুন ১৯৬৯, জুন ১৯৮১, নভেম্বর ১৯৯১) | ||
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা | |||
![]() ![]() (ব্রাসেলস, বেলজিয়াম; ২৮ আগস্ট, ১৯২০) | |||
বৃহত্তম জয় | |||
![]() ![]() (মাদ্রিদ, স্পেন; ২১ মে, ১৯৩৩) | |||
বৃহত্তম হার | |||
![]() ![]() (আমস্টারডাম, নেদারল্যান্ডস; ৪ জুন, ১৯২৮) ![]() ![]() (লন্ডন, ইংল্যান্ড; ৯ ডিসেম্বর, ১৯৩১) | |||
বিশ্বকাপ | |||
উপস্থিতি | ১৪ (প্রথম ১৯৩৪) | ||
সেরা সাফল্য | চ্যাম্পিয়ন, ২০১০ | ||
ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ | |||
উপস্থিতি | ৯ (প্রথম ১৯৬৪) | ||
সেরা সাফল্য | চ্যাম্পিয়ন, ১৯৬৪, ২০০৮, ২০১২ | ||
কনফেডারেশন্স কাপ | |||
উপস্থিতি | ২ (প্রথম ২০০৯) | ||
সেরা সাফল্য | রানার্স আপ, ২০১৩ | ||
স্পেন ২০০৮ সালে উয়েফা ইউরোপীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জার্মানিকে পরাজিত করে। ২০১২ সালে ইতালীকে ৪-০ গোলে পরাজিত করে স্পেন একমাত্র দল হিসেবে টানা দুবার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন হয়। এছাড়া স্পেন ১৯৬৪ সালে ইউরোপীয়ান নেশন্স কাপ জয় করে ও ১৯৮৪ সালে ফাইনাল পর্যন্ত উন্নীত হয়। এখন পর্যন্ত দলটি ১৪ বার ফিফা বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত দলটির সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ২০১০ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়া।
২০০৮ সালের জুলাই মাসে স্পেন ফিফা বিশ্ব র্যাংকিংয়ে প্রথম বারের মতো শীর্ষে উঠে। ৬ষ্ঠ দল হিসেবে এই স্থানে আসীন হয় তারা। ২০০৬ সালের নভেম্বর থেকে জুন ২০০৯ পর্যন্ত স্পেন টানা ৩৫টি আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড করে। এই রেকর্ডটি পূর্বে ছিলো একমাত্র ব্রাজিলের দখলে। এই ৩৫টি ম্যাচ অপরাজিত থাকার সময় স্পেন টানা ১৫টি খেলায় জয়লাভ করে, এবং এটিও ছিলো একটি রেকর্ড।
বিশ্বকাপ ফুটবল, ২০১০
১৫ জুলাই, ২০০৮ সালে ভিসেন্তে দেল বস্ক লুইস আরাগোনেজের স্থলাভিষিক্ত হয়ে[3][4] স্পেনের কোচের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে স্পেন ২০১০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাই-পর্বে উয়েফা অঞ্চলের গ্রুপ-৫ থেকে সফলভাবে উত্তীর্ণ হয় এবং ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান দখল করে। এ পর্যায়ে তারা বসনিয়া ও হারজেগোভিনা, আর্মেনিয়া, সার্বিয়া - এ তিনটি দলের বিপক্ষে জয়লাভ করেছিল। তন্মধ্যে সার্বিয়া দলের বিপক্ষে অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে বোজান ক্রিকের অভিষেক হয়েছিল। পরবর্তী পর্বে এস্তোনিয়া ও বেলজিয়ামকে হারিয়ে শতভাগ জয় নিয়ে ফিফা বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে ঠাঁয় পায় দলটি।
১৬ জুন বিশ্বকাপ ফুটবলে স্পেনের বিপক্ষে সুইজারল্যান্ড ১-০ গোলে জয় পায়।[5] এরপর স্পেন গ্রুপ-এইচ থেকে পরের দুই খেলায় জয়ী হয়ে নক-আউটভিত্তিক ১৬ দলে পৌঁছে। পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে প্যারাগুয়েকে ১-০ ব্যবধানে হারায়। ৭ জুলাইয়ের সেমি-ফাইনালে জার্মানিকে ১-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফাইনাল নিশ্চিত করে।[6] টোটাল ফুটবলের দেশ নেদারল্যান্ডকে চূড়ান্ত খেলার অতিরিক্ত সময়ে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা'র জয়সূচক গোলে ২০১০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের নতুন চ্যাম্পিয়ন হয়।[7]
বিশ্বকাপ ফুটবল, ২০১৪
বিশ্বকাপ ফুটবল, ২০১৮
প্রশিক্ষকবৃন্দ

সবচেয়ে বেশী খেলায় অংশ নেওয়া খেলোয়াড়

স্পেনের হয়ে সবচেয়ে বেশী খেলায় অংশ নেওয়া খেলোয়াড় এর তালিকা, ১ জুলাই ২০১৮ অনুযায়ী.[8][9] বোল্ড হরফে এখনো যারা আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলছেন.
# | Player | Period | Caps | Goals |
---|---|---|---|---|
১ | ইকার ক্যাসিয়াস | ২০০০-২০১৬ | ১৬৭ | ০ |
২ | সার্জিও রামোস | ২০০৫– | ১৫৬ | ১৩ |
৩ | জাভি হার্নান্দেজ | ২০০০-২০১৪ | ১৩৩ | ১৩ |
৪ | আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা | ২০০৬-২০১৮ | ১৩১ | ১৩ |
৫ | আন্দোনি জুবিজারেতা | ১৯৮৫-১৯৯৮ | ১২৬ | ০ |
৬ | ডেভিড সিলভা | ২০০৬– | ১২৫ | ৩৫ |
৭ | জাভি আলানসো | ২০০৩-২০১৪ | ১১৪ | ১৬ |
৮ | সেস ফেব্রিগাস | ২০০৬-২০১৬ | ১১০ | ১৫ |
৯ | ফার্নান্দো তরেস | ২০০৩-২০১৪ | ১১০ | ৩৮ |
১০ | সার্হিও বুস্কেৎস্ | ২০০৯– | ১০৭ | ২ |
বর্তমান সদস্য
কোচ হুলেন লোপেতেগুইয়ের ২৩ মে, ২০১৮ তারিখে ২৩-সদস্যবিশিষ্ট দলের নাম ঘোষণা করেন।[10]
ম্যাচ এবং গোলসংখ্যা: ৩ জুন ২০১৮ তে অনুষ্ঠিত
# | অব. | খেলোয়াড় | জন্ম তারিখ (বয়স) | ম্যাচ | গোল | ক্লাব |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | গো | ডেভিড ডি গিয়া | ৭ নভেম্বর ১৯৯০ | ২৮ | ০ | ![]() |
১৩ | গো | কেপা আরিজাবাগা | ৩ অক্টোবর ১৯৯৪ | ১ | ০ | ![]() |
২৩ | গো | পেপে রেইনা | ৩১ আগস্ট ১৯৮২ | ৩৬ | ০ | ![]() |
২ | র | দানি কারভাহাল | ১১ জানুয়ারি ১৯৯২ | ১৫ | ০ | ![]() |
৩ | র | জেরার্ড পিকে | ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৭ | ৯৭ | ৫ | ![]() |
৪ | র | নাচো ফের্নান্দেজ | ১৮ জানুয়ারি ১৯৯০ | ১৬ | ০ | ![]() |
১২ | র | আলভারো অদ্রিওজোলা | ১৪ ডিসেম্বর ১৯৯৫ | ৩ | ১ | ![]() |
১৪ | র | সেসার আজপিলিকুয়েতা | ২৮ আগস্ট ১৯৮৯ | ২২ | ০ | ![]() |
১৫ | র | সার্জিও রামোস (অধিনায়ক) | ৩০ মার্চ ১৯৮৬ | ১৫১ | ১৩ | ![]() |
১৬ | র | নাচো মনরিয়াল | ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৬ | ২২ | ১ | ![]() |
১৮ | র | জর্দি আলবা | ২১ মার্চ ১৯৮৯ | ৬১ | ৮ | ![]() |
৫ | ম | সার্হিও বুস্কেৎস্ | ১৬ জুলাই ১৯৮৮ | ১০২ | ২ | ![]() |
৬ | ম | আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা (সহঃ অধিনায়ক) | ১১ মে ১৯৮৪ | ১২৬ | ১৪ | ![]() |
৭ | ম | সাউল নিগুয়েজ | ২১ নভেম্বর ১৯৯৪ | ১০ | ০ | ![]() |
৮ | ম | কোকে | ৮ জানুয়ারি ১৯৯২ | ৩৯ | ০ | ![]() |
১০ | ম | থিয়াগো আলকান্তারা | ১১ এপ্রিল ১৯৯১ | ২৮ | ২ | ![]() |
২০ | ম | মার্কো অ্যাসেন্সিও | ২১ জানুয়ারি ১৯৯৬ | ১১ | ০ | ![]() |
২১ | ম | ডেভিড সিলভা | ৮ জানুয়ারি ১৯৮৬ | ১২০ | ৩৫ | ![]() |
২২ | ম | ইস্কো | ২১ এপ্রিল ১৯৯২ | ২৭ | ১০ | ![]() |
৯ | আ | রদ্রিগো মরেনো | ৬ মার্চ ১৯৯১ | ৫ | ২ | ![]() |
১১ | আ | লুকাস ভাসকেজ | ১ জুলাই ১৯৯১ | ৬ | ০ | ![]() |
১৭ | আ | ইয়াগো আসপাস | ১ আগস্ট ১৯৮৭ | ৯ | ৪ | ![]() |
১৯ | আ | দিয়াগো কস্তা | ৭ অক্টোবর ১৯৮৮ | ১৯ | ৭ | ![]() |
পূর্ববর্তী দল
|
|
তথ্যসূত্র
- Since 1992, squads for Football at the Summer Olympics have been restricted to three players over the age of 23. The achievements of such teams are not usually included in the statistics of the international team.
- http://goal.blogs.nytimes.com/2009/06/24/stopping-the-la-furia-roja-is-no-easy-task/
- "Del Bosque gets Spain coach's job"। BBC Sport। ১৭ জুলাই ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০০৯।
- "Spain appoint Del Bosque"। Sky Sports। ১৭ জুলাই ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০০৯।
- Sheringham, Sam (১৬ জুন ২০১০)। "Spain 0–1 Switzerland"। BBC Sport। BBC। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১০।
- "Puyol heads Spain into final"। ESPNsoccernet। ESPN। ৭ জুলাই ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১০।
- "Iniesta sinks Dutch with late strike"। ESPNsoccernet। ESPN। ১১ জুলাই ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১০।
- "পরিসংখ্যান;– সবচেয়ে বেশী খেলায় অংশ নেওয়া খেলোয়াড়"। ইউরোপিয়ান ফুটবল ডাটাবেস। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৬।
- "Ranking – Played Matches"। BDFUTBOL। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫।
- "চমক রেখেই বিশ্বকাপ দল ঘোষণা স্পেনের"। Prothomalo.com। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৮।