ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী)

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) সংক্ষেপে সিপিআই(এম) হল ভারতের একটি কমিউনিস্ট পার্টি। ১৯৬৪ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর কলকাতায় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিআই) সপ্তম কংগ্রেসে সিপিআই ভেঙে এই দল গঠিত হয়। প্রধানত কেরল, পশ্চিমবঙ্গত্রিপুরা রাজ্যে এই দল শক্তিশালী। ২০১৮ সালের পরিস্থিতি অনুসারে, সিপিআই(এম) কেবল কেরালা রাজ্যের শাসকদল। দলের দাবি অনুসারে, ২০১৩ সালে এই দলের সদস্য সংখ্যা ছিল ১,০৬৫,৪০৬।[5]

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী)
Communist Party of India (Marxist)
মহাসচিবসীতারাম ইয়েচুরি[1]
লোকসভায় নেতাপি. করুণাকরণ[2]
রাজ্যসভায় নেতাসীতারাম ইয়েচুরি[3]
প্রতিষ্ঠা৭ নভেম্বর, ১৯৬৪
সদর দপ্তরগোল মার্কেট, নতুন দিল্লি, ভারত
সংবাদপত্রপিলল’স ডেমোক্রেসি (ইংরাজি),
लोक लेहार (হিন্দি),
গণশক্তি (বাংলা)
ছাত্র শাখাভারতের ছাত্র ফেডারেশন
যুব শাখাভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন
মহিলা শাখাঅল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক উইমেন’স অ্যাসোসিয়েশন
শ্রমিক শাখাসেন্টার ফর ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়নস
কৃষক শাখাসারা ভারত কৃষক সভা
সদস্যপদ১,০৬৫,৪০৬ (২০১৩)
মতাদর্শসাম্যবাদ
মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদ
রাজনৈতিক অবস্থানবামপন্থী
আন্তর্জাতিক অধিভুক্তিইন্টারন্যাশনাল মিটিং অফ কমিউনিস্ট অ্যান্ড ওয়ার্কার্স’ পার্টিজ
স্বীকৃতিজাতীয় দল[4]
জোটবামফ্রন্ট
লোকসভায় আসন
৩ / ৫৪৫
রাজ্যসভায় আসন
৯ / ২৪৫
-এ আসন
৪৯ / ৬০
(ত্রিপুরা বিধানসভা (২০১৩))
৪৫ / ১৪০
(কেরল বিধানসভা (২০১১))
৪০ / ২৯৫
(পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা (২০১১))
১০ / ২৩৪
(তামিলনাড়ু বিধানসভা (২০১১)
১ / ৮৭
(জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা (২০১৪))
১ / ১১৯
(তেলঙ্গানা বিধানসভা (২০১৪))
১ / ১৪৭
(ওড়িশা বিধানসভা (২০১৪))
১ / ২৮৮
(মহারাষ্ট্র বিধানসভা (২০১৪))
নির্বাচনী প্রতীক
ওয়েবসাইট
www.cpim.org

সিপিআই(এম)-এর সাংগাঠনিক ভিত্তি হল ভ্লাদিমির লেনিন প্রবর্তিত গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতাবাদ। এই মতবাদ অনুসারে, দলের নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক ও মুক্ত আলোচনার পদ্ধতি স্বীকৃত। দলের সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব পলিটব্যুরো

ইতিহাস

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি বিভাজন ও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি(মার্ক্সবাদী)-এর উদ্ভব

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিআই) বিভাজনের পর "ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী)"-র উদ্ভব হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বছরগুলিতে অবিভক্ত সিপিআই ছিল একাধিক গণঅভ্যুত্থানের সাক্ষী। তেলেঙ্গানা, ত্রিপুরাকেরলে এই দল সশস্ত্র বিপ্লবে নেতৃত্বদান করে। যদিও পরবর্তীকালে সংসদীয় গণতন্ত্রে যোগ দিয়ে পার্টি পরিত্যাগ করে সশস্ত্র বিপ্লবের পন্থা। ১৯৫০ সালে পার্টির সাধারণ সম্পাদক তথা দলের চরমপন্থী গোষ্ঠীর এক বিশিষ্ট প্রতিনিধি বি. টি. রণদিভে বাম-অ্যাডভেঞ্চারবাদের অভিযোগে পদচ্যুত হন।

এ. কে. গোপালন ভবন, নতুন দিল্লি; সিপিআই(এম)-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়
এর্নাকুলামে সিপিআই(এম)-এর প্রচারযান

ভারতের স্বাধীনতার পর জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার কৌশলগত কারণে সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলে। সোভিয়েত সরকারও চায় ভারতীয় কমিউনিস্টরা ভারত রাষ্ট্রের সমালোচনার ব্যাপারে মধ্যপন্থা অবলম্বন করুক এবং কংগ্রেস সরকারের সহায়ক মনোভাবাপন্ন হোক। যদিও সিপিআই-এর একটি বিরাট অংশ দাবি করে যে ভারত একটি অর্ধ-সামন্ততান্ত্রিক দেশই রয়ে গিয়েছে। আর তাই সোভিয়েত বাণিজ্য ও বিদেশনীতির খাতিরে শ্রেণি সংগ্রামের গুরুত্ব হ্রাস করা অনুচিত হবে। অধিকন্তু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার ব্যাপারে তখনও প্রতিকূল মনোভাবাপন্নই রয়ে গিয়েছিল। ১৯৫৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের একমাত্র অ-কংগ্রেসি রাজ্য সরকার ই. এম. এস. নাম্বুদিরিপাদ ক্যাবিনেটকে বরখাস্ত করে কেরলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে।

একই সঙ্গে সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিএসইউ) ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) পারস্পরিক সম্পর্কের অবনতি হয়। ১৯৬০-এর দশকের গোড়ার দিক থেকে সিপিসি অভিযোগ করতে থাকে যে সিপিএসইউ ক্রমশ সংশোধনবাদী হয়ে পড়ছে এবং মার্কসবাদ-লেনিনবাদের আদর্শ থেকে সরে আসছে। ইতোমধ্যে চীন-ভারত বৈদেশিক সম্পর্কেরও অবনতি ঘটে। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষের ফলে ১৯৬২ সালের ভারত-চীন যুদ্ধের সূচনা হয়।

সিপিআই(এম) পন্থী সাহিত্য ও সাহিত্যিকগণ

এই রাজনৈতিক দলের পক্ষে অনেক সাহিত্যিক লেখক নাট্যকার কাজ করেছেন। তাদের মধ্যে সফদর হাশমি, উৎপল দত্ত অন্যতম।

আরও দেখুন

  • ভারতের রাজনৈতিক দলগুলির তালিকা
  • ভারতের রাজনীতি
  • কমিউনিস্ট পার্টির তালিকা
  • ব্রিটেনের কমিউনিস্ট পার্টিসমূহের কোঅর্ডিনেটিং কমিটি
  • কমিউনিস্ট মার্ক্সিস্ট পার্টি (কেরল)
  • কমিউনিস্ট পার্টি অফ রেভোলিউশনারি মার্ক্সিস্টস (পশ্চিমবঙ্গ)
  • ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী)-র নির্বাচনী ফলাফল
  • মার্ক্সিস্ট কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া
  • মার্ক্সিস্ট কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (ইউনাইটেড)
  • মার্ক্সিস্ট পেরিয়ারিস্ট কমিউনিস্ট পার্টি (তামিলনাড়ু)

পাদটীকা

  1. "Yechury set to become next CPI(M) general secretary". The Hindu. 19 April 2015. Retrieved 20 April 2015.
  2. "CPI(M) Office Bearers in Lok Sabha & Rajya Sabha"। ৯ জুন ২০১৪। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪
  3. "On P.R. Dasmunshi's Statement | Communist Party of India (Marxist)"। Cpim.org। ১৩ নভেম্বর ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১২
  4. "List of Political Parties and Election Symbols main Notification Dated 18.01.2013" (PDF)। India: Election Commission of India। ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৩
  5. "About Communist Party of India (Marxist)"। ২৮ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৫

বহিঃসংযোগ

পার্টি-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট

পার্টি সংবাদপত্র

নিবন্ধ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.