ঐতিহাসিক বস্তুবাদ

ঐতিহাসিক বস্তুবাদ (ইংরেজি: Historical materialism)হচ্ছে সমাজজীবনের অনুশীলনে দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের মূলনীতিগুলোর প্রয়োগ। সামাজিক জীবনধারা এবং সমাজ ও সমাজের ইতিবৃত্তের বিচারে দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের মূলনীতিগুলোর প্রয়োগ ও ব্যবহারকে বলে ঐতিহাসিক বস্তুবাদ।[1]

মার্কসবাদ
একটি সিরিজের অংশ
  • সমাজতন্ত্র প্রবেশদ্বার
  • সাম্যবাদ প্রবেশদ্বার
  • দর্শন প্রবেশদ্বার

কার্ল মার্কস "ঐতিহাসিক বস্তুবাদ" অভিধাটি নিজে প্রয়োগ করেননি। তিনি যে শব্দগুচ্ছ প্রয়োগ করেছেন তা হচ্ছে ইতিহাসের বস্তুবাদী ধারনা।[2] ইতিহাসের ঐতিহাসিক বস্তুবাদী তত্ত্ব[3] হচ্ছে সমাজব্যাখ্যার পদ্ধতি। মার্কসের কাছে সমাজের বৈপ্লবিক রূপান্তরণের জন্যই সমাজের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার প্রয়োজন অনুভূত হয়।[2] মার্কস ও এঙ্গেলস ইতিহাসের বস্তুবাদী ব্যাখ্যার প্রথম প্রবক্তা। সমাজের দার্শনিক ব্যাখ্যায় মার্কসবাদ যে মৌলিক বিপ্লব ঘটিয়েছিলো এটা ছিলো তার ভিত্তি।[4]

ইতিহাস সম্বন্ধে মার্কসবাদী ধারনা

"সমাজ ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত নয়, কিন্তু আন্তঃসম্পর্কের যোগফলকে প্রকাশ করে, সেই সম্পর্কগুলোর ভেতরেই ব্যক্তিগণ দাঁড়ায়।"

—  কার্ল মার্কস, Grundrisse, 1858[5]

তথ্যসূত্র
  1. জে. ভি. স্তালিন, দ্বন্দ্বমূলক ও ঐতিহাসিক বস্তুবাদ, ন্যাশনাল বুক এজেন্সি প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, ৩২তম মুদ্রণ, সেপ্টেম্বর ২০০৬, পৃষ্ঠা ৫।
  2. শোভনলাল দত্তগুপ্ত ও উৎপল ঘোষ, মার্কসীয় সমাজতত্ত্ব পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তক পর্ষৎ, কলকাতা, তৃতীয় মুদ্রণ, জুন ২০১৪, পৃষ্ঠা ৩৯।
  3. Evans, p. 53; Marx's account of the theory is the Preface to A Contribution to the Critique of Political Economy (1859). . Another exposition of the theory is in The German Ideology. It, too, is available online from marxists.org.
  4. সাদি, অনুপ (ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। মার্কসবাদ (২ সংস্করণ)। ঢাকা: ভাষাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৪৬। আইএসবিএন 978-984-91945-5-2।
  5. Grundrisse: Foundations of the Critique of Political Economy, by Karl Marx & Martin Nicolaus, Penguin Classics, 1993, ISBN 0-14-044575-7, pg 265
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.