কমিউনিস্ট ইস্তেহার

কমিউনিস্ট ইস্তেহার বা কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো প্রথম প্রকাশ হয় ফেব্রুয়ারি ২১, ১৮৪৮ সালে। জার্মান ভাষায় রচিত এই বইটির নাম ছিলো মানিফেস্ট ডেয়ার কোমুনিস্টেন (Manfest Der Kommunisten)। কার্ল মার্কস এবং ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস এটি যৌথভাবে রচনা করেন। কমিউনিস্ট বিপ্লবের উদ্দীপনার পেছনে এই গ্রন্থের ভূমিকা আজও সমপরিমাণে অটুট আছে।

কমিউনিস্ট ইস্তেহার
The Communist Manifesto
কমিউনিস্ট পার্টির ইস্তাহারের জার্মান ভাষায় প্রথম সংস্করণ
লেখককার্ল মার্কস ও ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস
দেশUnited Kingdom
ভাষাOriginally German, subsequently into many others.
ধরনHistory, sociology, philosophy
প্রকাশনার তারিখ
21 February 1848
পাঠ্যকমিউনিস্ট ইস্তেহার
The Communist Manifesto
উইকিসংকলন

কমিউনিস্ট ইস্তেহারের প্রথম ভাগের নাম "বুর্জোয়া ও প্রলেতারিয়েত"। এই ভাগে সামন্ততান্ত্রিক সমাজ থেকে পুঁজিবাদের জন্মের কাহিনী বলা হয়। মার্ক্স পুঁজিবাদের আকাশচুম্বী উৎপাদন ক্ষমতাকে যথাযথ স্বীকৃতি দেন। তবে পুঁজিবাদের ধ্বংসাত্মক ক্রিয়াকলাপ তিনি তার রচনায় উদ্‌ঘাটিত করেছেন। তার মতে অকল্পনীয় হারে পণ্যোৎপাদন বাড়লেও সমাজ থেকে দারিদ্র্য দূর হয়নি। তিনি পুঁজিবাদের অন্তর্বিরোধ এবং আর্থিক সংকটের বিশ্লেষন করেছেন। এই ইস্তেহারে ধনতন্ত্রের অন্ধকার দিক দেখিয়ে পরিবর্তে অন্য কোনো সমাজব্যবস্থার কথা বলা হয়নি। তবে বলা হয়েছে, প্রচলিত সমাজব্যবস্থার গতিশীলতা থেকেই ঘটনাক্রমে ধ্বংসাত্মক শক্তির জন্ম হবে।

কমিউনিস্ট ইস্তেহার-এর ভেতর যে মূলচিন্তা প্রবাহমান তা এই যে ইতিহাসের প্রতি যুগে অর্থনৈতিক উৎপাদন এবং যে সমাজ-সংগঠন তা থেকে আবশ্যিকভাবে গড়ে উঠে, তাই থাকে সেই যুগের রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিগত ইতিহাসের মুলে। সুতরাং জমির আদিম যৌথ মালিকানার অবসানের পর থেকে সমগ্র ইতিহাস হয়ে এসেছে শ্রেণী সংগ্রামের ইতিহাস। আধুনিক বুর্জোয়া সম্পত্তির অনিবার্যভাবে আসন্ন অবসানের কথা ঘোষণা করাই ছিল এই বইয়ের লক্ষ্য।[1]

অনন্যতা-বর্তমান পর্যন্ত

১৯১৭ সালের অক্টোবর বিপ্লবের পরে রাশিয়ার ক্ষমতায় ভ্লাদিমির লেনিন নেতৃত্বাধীন বলশেভিকরা আসে। তখন বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র স্পষ্টভাবে মার্কসবাদী লাইন বরাবর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির ( সিপিএসইউ ) অধীনে সোভিয়েত ইউনিয়ন, যা বলশেভিক রাশিয়া একটি অংশ, একটি প্রলেতারিয়েতের একনায়কত্বাধীন রাষ্ট্র ছিল। তৃতীয় আন্তর্জাতিক এবং অন্যান্য লেনিনবাদী পার্টিগুলো মার্কস, এঙ্গেলস ও লেনিনের সর্বোত্তম কাজ জানতে ইচ্ছুক ছিলো। উপরন্তু, দলের নেতাদের মার্কসবাদী-লেনিনবাদী মতাদর্শের উপর তাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের ভিত্তি প্রত্যাশিত ছিল। তাই এই ধরনের কাজ, যেমন ইশতেহার পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের বর্তমানে পড়ার প্রয়োজন বোধ করা হয়।

তথ্যসূত্র

  1. কার্ল মার্ক্স, ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস (ফেব্রুয়ারি ২০১১)। কমিউনিস্ট ইস্তেহার। ঢাকা: জাতীয় গ্রন্থ প্রকাশন। পৃষ্ঠা ৮-৯।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.