প্রকৃতির দ্বান্দ্বিকতা
প্রকৃতির দ্বান্দ্বিকতা (ইংরেজি: Dialectics of Nature) (জার্মান: Dialektik der Natur) হচ্ছে ফ্রিডরিখ এঙ্গেলসের একটি বই যেটি মূলত মার্কসবাদী ধারণাসমূহ, বিশেষভাবে বিজ্ঞানের প্রতি দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে।
মার্কসবাদ |
---|
একটি সিরিজের অংশ |
![]() |
তাত্ত্বিক কাজসমূহ
|
ধারণাসমূহ
|
অর্থনীতি
|
সমাজবিজ্ঞান
|
ইতিহাসসমূহ
|
দর্শন
|
ভিন্নতা
|
আন্দোলনসমূহ
|
ব্যক্তি
|
|
সাম্যবাদ |
---|
সিরিজের অংশ |
![]() |
ধারণা
|
পরিপ্রেক্ষিত
|
ধরনগুলো
|
আন্তর্জাতিক
|
নেতৃত্ব ব্যক্তি
|
সম্পর্কিত বিষয়
|
![]() |
এই গ্রন্থের লেখাগুলো এঙ্গেলস রচনা করেন ১৮৭৩ থেকে ১৮৮৬ সালের মধ্যে। এই লেখাগুলোর পেছনে আছে এঙ্গেলসের বহু বছরের অক্লান্ত গবেষণা ও অধ্যয়ন। প্রকৃতিবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা সম্বন্ধে অর্জিত প্রগাঢ় জ্ঞান ব্যবহার করে প্রথমে তিনি স্থুল বস্তুবাদী ব্যুখনারকে সমালোচনা করে একটি পুস্তক রচনা করার কথা ভেবেছিলেন। পরে এই পরিকল্পনা পরিত্যাগ করে, এর বদলে অধিকতর ব্যাপ্তি-বিশিষ্ট একটি গ্রন্থ রচনার সিদ্ধান্ত নেন। মার্কসকে লেখা এঙ্গেলসের মে ৩০, ১৮৮৩ তারিখে লেখা একটি চিঠি থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা অর্থাৎ প্রকৃতির দ্বান্দ্বিকতা লেখার কথা জানতে পারি। মার্কস এই পত্রটি বিখ্যাত রসায়নবিদ সোরলেমারকে দেখান ও তিনি এঙ্গেলসের পরিকল্পনার মূল বিষয়গুলো অনুমোদন করেন।[1]
এঙ্গেলস অন্য বহুবিধ সাংগঠনিক ও তাত্ত্বিক কাজের চাপে প্রকৃতির দ্বান্দ্বিকতা সম্পূর্ণ করে যেতে পারেননি। এঙ্গেলসের মৃত্যুর পর দীর্ঘ ৩০ বছর এই পাণ্ডুলিপিটি রক্ষিত ছিলো জার্মান সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মহাফেজখানায়। এর মধ্যে কেবল দুটি নিবন্ধ তার জীবদ্দশায় প্রকাশিত হয়েছিলো। প্রকৃতির দ্বান্দ্বিকতার পুরোটা প্রকাশিত হয় সোভিয়েত ইউনিয়নে ১৯২৫ সালে, মূল জার্মান রচনা ও তৎসহ রুশ অনুবাদ। পরবর্তীকালে এই রচনাটি বহুবার পুনর্মুদ্রিত হয়েছে এবং বহু ভাষায় অনূদিত হয়েছে।[1]
তথ্যসূত্র
- ফ্রেডারিক এঙ্গেলস, প্রকৃতির দ্বান্দ্বিকতা, ন্যাশনাল বুক এজেন্সি প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, দ্বিতীয় সংস্করণ আগস্ট ২০১০, মুখবন্ধ, পৃষ্ঠা ৫-৬।