ফেনী কম্পিউটার ইন্সটিটিউট

এটি হলো বাংলাদেশ সরকারের একমাত্র আধুনিক পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট। প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ রাজনীতিমুক্ত। এই প্রতিষ্ঠানে ডাটা টেলিকমিউনিকেশন ও নেটওয়ার্কিং টেকনোলজি (ডি টি এন টি), কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (সি এস টি) এবং টেলিকমিউনিকেশন টেকনোলজি (টি সি টি) এই তিনটি বিষয়ে ৪বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স পরিচালতি হচ্ছে। প্রতি বছর এই প্রতিষ্ঠান থেকে ৮-১০ জন পর্যন্ত (DUET) এ পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। ছাত্র/ ছাত্রীদের জন্য হোস্টেলের ব্যবস্থা এবং কলেজ কেন্টিন এর রয়েছে। প্রতিষ্ঠানে ৫তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন ও প্রসাশনিক ভবন, লাইব্রেরী, সেমিনার হল, ৪তলা বিশিষ্ট মাল্টিপারপাস বিল্ডিং, ৩লা বিশিষ্ট মসজিদ, দোতলা বিশিষ্ট অধ্যক্ষের বাংলো, বঙ্গবন্ধুর মোরাল, শহীদ মিনার, লালচত্তর রয়েছে। এই প্রতিষষ্ঠানের ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য রয়েছে নিজস্ব বিসেট।

ফেনী জেলার অভ্যন্তরে সদর উপজেলার ফেনী-ছাগলনাইয়া রোডের পাশেই নতুন রানীর হাট নামক স্থানে প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত। এ প্রতিষ্ঠানের পাশেই রয়েছে ফেনী জেলা কেন্দ্রীয় কারাগার। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে আসতে হলে প্রথমে ফেনীর মহিপালে আসতে হবে। তারপর সিএনজি অথবা ব্যাটারি চালিত যানে করে শহরের ট্র্যাঙ্করোডে আসতে হবে। তারপর সেখান থেকে সিএনজিতে করে সরাসরি অত্র প্রতিষ্ঠানে পৌঁছানো যাবে।

তৎকালিন সরকার ফেনী জেলাতে একটি কম্পিউটার ইনস্টিটিউট স্থাপন করার পরিকল্পনা করার পর ২০০৩ সালের অক্টোবার মাসের ৬ তারিখ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এটি অধিশায়িত করেন ।

Feni Computer Academic Building

মূল ক্যাম্পাসে পাঁচতলা বিশিষ্ট একটি ভবন। যা শ্রেণীকক্ষ, লাইব্রেরী, আধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ ওয়ার্কশপ রুম, এবং ল্যবরেটরী, কম্পিউটার ল্যবরেটরী নিযে গঠিত। এখানে প্রতি বছর প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। সেই সাথে বিশ্বব্যাংক এর অর্থায়নে স্কিলস ফর ইমপ্লিমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (SEIP) এর অধীনে স্বল্পমেয়াদী বিভিন্ন কোর্স পরিচালিত হচ্ছে।[3]

বঙ্গবন্ধু হল নামে একটি ৫ তলা ছাত্র হল রয়েছে এবং ফজিলাতুন্নেসা হল নামে একটি ৪ তলা ছাত্রী হল রয়েছে।

• এফসিআই আইসিটি ক্লাব
• এফসিআই সাংস্কৃতিক ক্লাব
• এফসিআই রোভার স্কাউট
• এফসিআই ব্লাড ডোনেশন গ্রুপ

• অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

উইকিমিডিয়া কমন্সে ফেনী কম্পিউটার ইন্সটিটিউট সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।