থাইল্যান্ড
থাইল্যান্ড বা তাইল্যান্ড (থাই: ประเทศไทย প্রথেশ্থাই অর্থাৎ "তাই প্রদেশ") দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। এর সরকারি নাম তাইরাজ্য (থাই: ราชอาณาจักรไทย রাচ্ ক্সাণাচক থাই অর্থাৎ "তাই রাজ্য")। এর বৃহত্তম শহর ও রাজধানীর নাম ব্যাংকক। থাইল্যান্ড একমাত্র দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় রাষ্ট্র যা যুদ্ধকালীন সময় ব্যতীত কখনও কোন ইউরোপীয় বা বিদেশী শক্তির নিয়ন্ত্রণে ছিল না। ১৭৮২ সাল থেকে ১৯৩২ সাল পর্যন্ত দেশটিতে পরম রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত ছিল। ১৯৩২ সালে বিদ্রোহীরা একটি অভ্যুত্থান ঘটায় এবং দেশে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে। তখন থেকে আজ পর্যন্ত থাইল্যান্ড বহু সামরিক ও বেসামরিক সরকারের অধীনে শাসিত হয়েছে। ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত দেশটি শ্যামদেশ (থাই: สยาม সায়াম্) নামে পরিচিত ছিল। ঐ বছর এর নাম বদলে থাইল্যান্ড রাখা হয়। তবে ১৯৪০-এর দশকের শেষের দিকে আবারও একে শ্যামদেশ নামে ডাকা হত। ১৯৪৯ সালে দ্বিতীয়বারের মত থাইল্যান্ড নামটি গ্রহণ করা হয়।
তাইরাজ্য ราชอาณาจักรไทย রাচ ক্সাণাচক থাই |
||||||
---|---|---|---|---|---|---|
|
||||||
জাতীয় সঙ্গীত: ফ্লেং চাৎ তাই রাজকীয় সঙ্গীত: ফ্লেং সান্সএন্ ফ্রা বারামি |
||||||
![]() |
||||||
রাজধানী | ব্যাংকক (ক্রুংঠেপ্) ১৩°৪৫′ উত্তর ১০০°২৯′ পূর্ব | |||||
বৃহত্তম শহর | capital | |||||
সরকারি ভাষা | থাই[1] | |||||
সরকারি লিপি | থাই লিপি | |||||
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ | থাই | |||||
সরকার | সামরিক জান্তার অধীনে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র | |||||
• | রাজা | Rama X | ||||
• | প্রধানমন্ত্রী | প্রযুত চান-ও-চা | ||||
আইন-সভা | জাতীয় আইনসভা | |||||
• | উচ্চকক্ষ | সিনেট | ||||
• | নিম্নকক্ষ | প্রতিনিধি সভা | ||||
সংকলন | ||||||
• | সুখতাই রাজত্ব | ১২৩৮খ্রিঃ–১৪৪৮খ্রিঃ | ||||
• | আয়ুত্থায়া রাজত্ব | ১৩৫১খ্রিঃ–১৭৬৭খ্রিঃ | ||||
• | থন্বুরি রাজত্ব | ১৭৬৮খ্রিঃ–১৭৮২খ্রিঃ | ||||
• | রাত্তানাকসিন রাজত্ব | ৬ এপ্রিল ১৭৮২ | ||||
• | সাংবিধানিক রাজতন্ত্র | ২৪ জুন ১৯৩২ | ||||
• | ২০০৭ সংবিধান | ২৪ অগাস্ট ২০০৭ | ||||
• | মোট | কিমি২ (৫১) বর্গ মাইল |
||||
• | জল/পানি (%) | ০.৪ (২,২৩০ কিমি) | ||||
জনসংখ্যা | ||||||
• | ২০১৪ আনুমানিক | ৬৭,০৯১,১২০[2] (২০) | ||||
• | ২০১০ আদমশুমারি | ৬৪,৭৮৫,৯০৯ | ||||
• | ঘনত্ব | ১৩২.১/কিমি২ (৮৮) /বর্গ মাইল |
||||
মোট দেশজ উৎপাদন (ক্রয়ক্ষমতা সমতা) |
২০১৫ আনুমানিক | |||||
• | মোট | $১.১০৭ ট্রিলিয়ন[3] (২২) | ||||
• | মাথা পিছু | $১৬,০৮১[3] (৮৬) | ||||
মোট দেশজ উৎপাদন (নামমাত্র) | ২০১৫ আনুমানিক | |||||
• | মোট | $৩১৮.৮৫ বিলিয়ন[3] | ||||
• | মাথা পিছু | US$৫,৪২৬[3] (৮৮) | ||||
জিনি সহগ (২০০৯) | ৩৯.৪[4] ত্রুটি: জিনি সহগের মান অকার্যকর |
|||||
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১৪) | ![]() ত্রুটি: মানব উন্নয়ন সূচক-এর মান অকার্যকর · ৮৯ |
|||||
মুদ্রা | থাই বাত (฿) (THB) | |||||
সময় অঞ্চল | (ইউটিসি+৭) | |||||
গাড়ী চালনার দিক | বাম | |||||
কলিং কোড | +৬৬ | |||||
ইন্টারনেট টিএলডি | .th, .ไทย |
থাইল্যান্ডের মধ্যভাগে রয়েছে একটি বিস্তীর্ণ উর্বর সমভূমি। এই সমভূমির মধ্য দিয়ে দেশের প্রধান নদী চাও ফ্রায়া এবং এর শাখানদী ও উপনদীগুলি প্রবাহিত হয়েছে। এই অঞ্চলে দেশের ধান ও অন্যান্য ফসলের অধিকাংশের আবাদ হয়। মধ্যভাগের সমভূমির পশ্চিম, উত্তর ও পূর্ব দিক ঘিরে রেখেছে পাহাড় ও মালভূমি। পশ্চিমের পর্বতশ্রেণী দক্ষিণ দিকে মালয় উপদ্বীপে প্রসারিত হয়েছে। থাইল্যান্ডের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর ব্যাংকক চাও ফ্রায়া নদীর মোহনায় থাইল্যান্ড উপসাগরের তীরে অবস্থিত।
থাইল্যান্ডের জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ থাই জাতির মানুষ। এরা প্রায় সবাই থেরবাদী বৌদ্ধধর্ম পালন করে। থাইল্যান্ডে বসবাসকারী অন্যান্য জাতির মধ্যে আছে চীনা, মালয় ও আদিবাসী পাহাড়ি জাতি, যেমন মং ও কারেন। থাইল্যান্ডের পরিশীলিত ধ্রুপদী সঙ্গীত ও নৃত্য এবং লোকশিল্প বিখ্যাত। কৃষিপ্রধান দেশ হলেও ১৯৮০-র দশক থেকে থাইল্যান্ডের অর্থনীতির দ্রুত উন্নতি ঘটছে।
ইতিহাস
বান চিয়াং সংস্কৃতির সময় থেকেই থাইল্যান্ডে বিভিন্ন স্থানীয় সংস্কৃতি বিরাজ করছিল। তবে ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এর সংস্কৃতিতে ভারত, চীন এবং অন্যান্য দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় প্রতিবেশীর সংস্কৃতির প্রভাব পড়েছে। প্রথম সিয়ামিজ/থাই রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করা হয় বৌদ্ধ সুখোথাই (থাই: สุโขทัย সুখোঠাই, অর্থাৎ "সুখোদয়") সাম্রাজ্যকে, যার সূচনা হয় ১২৩৮ সালে। চতুর্দশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে বৃহত্তর সিয়ামিজ সাম্রাজ্য আয়ুত্থাইয়া (থাই: อยุธยา আয়ুট্ঠায়া, মূলতঃ অয়ুধ্যা) প্রাধান্য লাভ করে। ১৪৩১ সালে সিয়ামিজ সৈন্য কর্তৃক অ্যাংকর লুণ্ঠনের পর অ্যাংকরের অনেক হিন্দু প্রথা ও আচার-অনুষ্ঠান সিয়ামের সংস্কৃতির অংশ হয়ে পড়ে।
১৭৬৭ সালে বর্মীদের হাতে আয়ুত্থাইয়ার পতনের পর কিছুকাল রাজা তাকসিনের (থাই: ตากสิน টাক্সিন্) অধীনে থোনবুরি (থাই: ธนบุรี ঠোন্বুরি, অর্থাৎ "ধনপুর") থাইল্যান্ডের রাজধানী ছিলো। ১৭৮২ সালে রাজা প্রথম রাম চাকরি সাম্রাজ্যের রাজধানী হিসেবে ব্যাংকককে বেছে নেন।
ষোড়শ শতাব্দী থেকে থাইল্যান্ডে ইউরোপীয় শক্তিগুলির আগমন ঘটতে থাকে। তবে তাদের প্রচুর চাপ সত্ত্বেও থাইল্যান্ড দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একমাত্র দেশ যা কোন ইউরোপীয় শক্তির উপনিবেশে পরিণত হয়নি। এর প্রধান দু'টি কারণ হলঃ সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতকে থাইল্যান্ডে ধারাবাহিকভাবে যোগ্য শাসকের শাসন এবং ব্রিটিশ ও ফরাসিদের মধ্যকার শত্রুতার সুযোগ নেয়া। অবশ্য ইউরোপীয় চাপের কারণে তারা ঊনবিংশ শতকে বিভিন্ন সংস্কার করতে বাধ্য হয় এবং ব্রিটিশদের ব্যবসায়িক সুবিধার জন্য কিছু বড় ছাড় দিতে হয়। উদাহরণস্বরূপ, ১৯০৯ সালে অ্যাংলো-সিয়ামিজ চুক্তির ফলে তারা দক্ষিণের তিনটি প্রদেশ হারায় যা পরবর্তীতে মালয়েশিয়ার তিনটি উত্তর প্রদেশে পরিণত হয়।
১৯৩২ সালে একটি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের ফলে নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে থাইল্যান্ড জাপানের পক্ষ নেয়, তবে যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রে পরিণত হয়। থাইল্যান্ড উপর্যুপরি বেশ কিছু সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যায়। ১৯৮০-এর দশকে তাদের গণতন্ত্রে উত্তরণ ঘটে। ২০০৬ সালের ১৯শে সেপ্টেম্বর সামরিক বাহিনী থাকসিন সিনাওয়াত্রার (থাই: ทักษิณ ชินวัตร ঠাক্সিন্ ছিন্নাওয়াট্ [tʰáksǐn tɕʰinnawát]) নির্বাচিত সরকারকে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত করে।
রাজনীতি
থাইল্যান্ড একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র। ১৯৯২ সাল থেকে ২০০৬-এর কু পর্যন্ত দেশটি একটি কার্যকর গণতন্ত্র হিসেবেই বিবেচিত হয়েছিল। ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে একটি বহুদলীয়, মুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশটিতে গণতন্ত্র পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়। থাইল্যান্ডের সংবিধানে রাজাকে খুব কম ক্ষমতাই দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তিনি জাতীয় পরিচয় ও ঐক্যের প্রতীক। থাইল্যান্ডের বর্তমান রাজা হলেন রাজা ভূমিবল অতুল্যতেজ (থাই: ภูมิพลอดุลยเดช ফুমিফোন্ আটুন্য়াডেট্")। তিনি ১৯৪৬ সালে থেকে এখানে রাজপদে অধিষ্ঠিত আছেন এবং জনগণের উপর তাঁর বিরাট প্রভাব রয়েছে। তিনি কখনও কখনও রাজনৈতিক সংকট মীমাংসায় এগিয়ে এসেছেন।
২০০৭ সালের সংবিধান অনুযায়ী থাইল্যান্ডের জাতীয় আইনসভা দুইটি কক্ষে বিভক্ত - সিনেট বা উচ্চকক্ষ এবং প্রতিনিধিসভা বা নিম্নকক্ষ। উচ্চকক্ষের সদস্যসংখ্যা ১৫০; এদের মধ্যে ৭৬ জন জনগণের সরাসরি ভোটে প্রতি প্রদেশ থেকে ১ জন করে নির্বাচিত হয়ে আসেন। বাকী ৭৪ জন সিনেট সদস্য নির্বাচন কমিশনের তৈরি করা একটি তালিকা থেকে বিচারক ও ঊর্ধ্বতন অফিসারদের দ্বারা বাছাই হন। নিম্নকক্ষে ৪৮০ জন সদস্য, এবং এদের মধ্যে ৪০০ জন থাইল্যান্ডের বিভিন্ন জেলা ও নির্বাচনী এলাকা থেকে সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন। বাকীদেরকে বিভিন্ন দলের তৈরি করা তালিকা থেকে আনুপাতিক হারে বাছাই করা হয়।
থাইল্যান্ডের আইন ব্যবস্থাতে ঐতিহ্যবাহী থাই এবং পশ্চিমা আইনের সম্মিলন ঘটেছে। সংবিধান অনুসারে সাংবিধানিক আদালত হল আপিল বিভাগের সর্বোচ্চ আদালত। বিচারক, সংসদীয় নেতা এবং ঊর্ধ্বতন নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের একটি কমিটি সাংবিধানিক আদালতের সদস্যদের মনোনয়ন দেন। সিনেট তাদের মনোনয়ন নিশ্চিত করে এবং রাজা তাদেরকে কাজে নিয়োগ দেন। বিচার বিভাগের আদালতগুলো ফৌজদারী ও দেওয়ানী মামলাগুলি পরিচালনা করে। এগুলি কোর্ট অভ ফার্স্ট ইনস্ট্যান্স, কোর্ট অভ আপিল্স এবং সুপ্রিম কোর্ট --- এই তিন স্তরে বিভক্ত। থাইল্যান্ডের দক্ষিণ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে, যেখানে মুসলমানেরা সংখ্যাগুরু, সেখানে প্রাদেশিক ইসলামী কমিটিসমূহ সীমত পরিসরে পারিবারিক, বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত শালিশ পরিচালনা করতে পারে।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের গভর্নর জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন। কিন্তু থাইল্যান্ডের বাকী ৭৫টি প্রদেশের গভর্নর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নিযুক্ত হন।
প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ
Provinces | Six-region (geographical) | Four-region (political) | Six-region (meteorological) | Five-region (tourism) |
---|---|---|---|---|
Amnat Charoen, Bueng Kan, Buri Ram, Chaiyaphum, Kalasin, Khon Kaen, Loei, Maha Sarakham, Mukdahan, Nakhon Phanom, Nakhon Ratchasima, Nong Bua Lamphu, Nong Khai, Roi Et, Sakon Nakhon, Si Sa Ket, Surin, Ubon Ratchathani, Udon Thani, Yasothon | Northeast | Northeast | Northeast | Northeast |
Chiang Mai, Chiang Rai, Lampang, Lamphun, Mae Hong Son, Nan, Phayao, Phrae, Uttaradit | North | North | North | North |
Tak | West | |||
Sukhothai, Phitsanulok, Phichit, Kamphaeng Phet, Phetchabun | Central | |||
Nakhon Sawan, Uthai Thani | Central | |||
Ang Thong, Chainat, Phra Nakhon Si Ayutthaya, Bangkok, Lop Buri, Nakhon Pathom, Nonthaburi, Pathum Thani, Samut Prakan, Samut Sakhon, Samut Songkhram, Saraburi, Sing Buri, Suphan Buri | Central | Central | ||
Nakhon Nayok | East | |||
Chachoengsao, Chanthaburi, Chon Buri, Prachin Buri, Rayong, Sa Kaeo, Trat | East | East | ||
Kanchanaburi, Ratchaburi | West | Central | Central | |
Phetchaburi, Prachuap Khiri Khan | South, east coast | |||
Chumphon, Nakhon Si Thammarat, Narathiwat, Pattani, Phatthalung, Songkhla, Surat Thani, Yala | South | South | South | |
Krabi, Phang Nga, Phuket, Ranong, Satun, Trang | South, west coast |
ভূগোল
থাইল্যান্ড এর ৫,১৪,০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা যা মূল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যভাগে পরেছে। দেশটির এই ভৌগোলিক অবস্থান জাতির সামাজ এবং সংস্কৃতিকে ভিষণভাবে প্রভাবিত করেছে-দেশটি এশিয়া থেকে মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুর যাওয়ার একমাত্র পথ নিয়ন্ত্রণ করে।
৫১৪,০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকাবিশিষ্ট থাইল্যান্ডকে ভৌগোলিকভাবে কয়েকটি অঞ্চলে ভাগ করা যায়। দেশের উত্তরাঞ্চল পাহাড়ি, সর্বোচ্চ শিখর দোই ইন্থাননের উচ্চতা ২,৫৭৬ মিটার (৮,৪৫১ ফুট)। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রয়েছে খোরাত মালভূমি, যার পূর্বসীমায় দিয়ে বয়ে চলেছে মেকং নদী। দেশের মধ্যাঞ্চলের বৃহদাংশ জুড়ে আছে চাও ফ্রায়া নদীর প্রধানত সমতল উপত্যকা। দক্ষিণ দিকে সরু ক্রা যোজক মালয় উপদ্বীপে বিস্তৃত হয়েছে।
এখানকার জলবায়ু বিষুবীয় এবং মৌসুমি বায়ু দ্বারা প্রভাবিত। মধ্য মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ-পশ্চিম উষ্ণ, আর্দ্র মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়, আবার নভেম্বর থেকে মধ্য মার্চ পর্যন্ত উত্তর-পূর্ব শুষ্ক, শীতল মৌসুমি বায়ুর প্রভাব দেখা যায়। দক্ষিণাঞ্চলের আবহাওয়া সবসময়ই উষ্ণ ও আর্দ্র থাকে।
অর্থনীতি
দেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য মূলত পাট্টায়া শহরের নিকটবর্তী লায়েম চাবাঙ বন্দরের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
এখানে ঔষুধ-পত্রের দাম বিশ্বে সর্বনিম্ন।
জনসংখ্যা
থাই ভাষার আদর্শ রূপ থাইল্যান্ডের সরকারি ভাষা। এই আদর্শ থাই ভাষাতে এখানকার প্রায় ৪০% লোক কথা বলেন। এছাড়া থাই ভাষার অন্যান্য উপভাষায় আরও প্রায় ৫০% লোক কথা বলেন। থা ইল্যান্ডে আরও প্রায় ৭০টি ভাষা প্রচলিত। এদের মধ্যে দক্ষিণ মিন ভাষা (চীনা ভাষার একটি উপভাষা, যার বক্তাসংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ), মালয় ভাষা (বক্তাসংখ্যা প্রায় ২৪ লক্ষ), এবং খমের ভাষা (বক্তাসংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ) উল্লেখযোগ্য। আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ডে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হয়।
সংস্কৃতি
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- Thailand, The World Factbook.
- "Thailand Population 2014"। World Population Review। ১৯ অক্টোবর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১৫।
- "Thailand"। International Monetary Fund। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০১৫।
- "Human Development Report"। UNDP। ২০০৯। ১৭ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১১।
- "Human Development Report 2011 – Human development statistical annex" (PDF)। HDRO (Human Development Report Office United Nations Development Programme। পৃষ্ঠা 127–130। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১১।
বহিঃসংযোগ
- সরকারী
- Thaigov.go.th Government of Thailand
- Mfa.go.th Ministry of Foreign Affairs
- Thailand Internet Information National Electronics and Computer Technology Center
- Ministry of Culture
- General information
- সিআইএ প্রণীত দ্য ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক-এ Thailand-এর ভুক্তি
- Thailand entry in Library of Congress Country Studies. 1987
- Thailand from UCB Libraries GovPubs
- কার্লি-এ থাইল্যান্ড (ইংরেজি)
- Thailand from the BBC News
- Thailand Encyclopædia Britannica entry
উইকিমিডিয়া অ্যাটলাসে Thailand- Longdo Map On-line Thailand maps in English and Thai
- Key Development Forecasts for Thailand from International Futures
- 2010 Thailand population census by Economic and Social statistics Bureau
- ভ্রমণ
- থাইল্যান্ড ভ্রমণ নির্দশিকা (বাংলায়)
উইকিভ্রমণ থেকে থাইল্যান্ড ভ্রমণ নির্দেশিকা পড়ুন- Tourism Authority of Thailand Official tourism website
- অন্যান্য
- Southeast Asia Visions। "Browse the Southeast Asia Visions Collection"। Cornell University Library। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১১।
Browse by image date
- ফ্লিকার: "Thailand" ট্যাগসহ স্থিরচিত্র line feed character in
|উক্তি=
at position 21 (সাহায্য)