ডেভিড গিলমোর
ডেভিড জন গিলমোর, (ইংরেজি: David Jon Gilmour, সিবিই, জন্ম ১৯৪৬ মার্চ ৬), একজন ইংরেজ সঙ্গীতজ্ঞ, গায়ক, গীতিকার এবং বিভিন্ন যন্ত্রবাদক। তিনি প্রগ্রেসিভ রক ব্যান্ড পিংক ফ্লয়েডের একজন গিটারবাদক এবং অন্যতম গায়ক হিসেবে বিখ্যাত। ২০১২ সালের হিসেবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৭৪.৫ মিলিয়ন ইউনিটসহ বিশ্বব্যাপী ২৫০ মিলিয়নের বেশি রেকর্ড বিক্রি হয়েছে বলে অনুমান করা হয়।[1]
ডেভিড গিলমোর সিবিই | |
---|---|
গিলমোর, মিউনিখ, জার্মানি, ২৯শে জুণাই ২০০৬ | |
প্রাথমিক তথ্য | |
জন্ম নাম | ডেভিড জন গিলমোর |
জন্ম | ক্যামব্রিজ, ইংল্যান্ড | ৬ মার্চ ১৯৪৬
ধরন | প্রগ্রেসিভ রক, সাইকেডেলিক রক, আর্ট রক |
পেশা | সংগীতজ্ঞ, গায়ক, গীতিকার, প্রয়োজক, music programmer |
বাদ্যযন্ত্রসমূহ | Vocals, গীটার, বেস, keyboards, saxophone |
কার্যকাল | ১৯৬৩–বর্তমান |
লেবেল | ইএমঅাই কলম্বিয়া, হার্ভেস্ট, ক্যাপিটল, কলাম্বিয়া, সনি, ইএমঅাই |
সহযোগী শিল্পী | জোকারস ওয়াইল্ড, পিংক ফ্লয়েড, কেট বুশ, দ্যা ওরব্, পল ম্যাককার্টনি, ব্রায়ান ফেরি |
ওয়েবসাইট | www |
পিংক ফ্লয়েডের সঙ্গে বাজানো ছাড়াও গিলমোর বিভিন্ন শিল্পীদের তৈরি করেছেন, এবং একজন একক শিল্পী হিসেবে সফল কর্মজীবন উপভোগ করেছেন। তিনি সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত আছেন। ২০০৫ সালে, সংগীত পরিসেবার জন্যে গিলমোর সিবিই নিযুক্ত হন।[2] ২০০৮ সালে তাকেঁ কিউ অ্যাওয়ার্ডে বিশিষ্ট অবদান শিরোনামে ভূষিত করা হয়।[3] ২০১১ সালে রোলিং স্টোন ম্যাগাজিনের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ গিটারবাদকের তালিকায় তাকে ১৪ নম্বর স্থান রাখা হয়।
প্রাথমিক জীবন
ডেভিড জন গিলমোর, ৬ মার্চ ১৯৪৬ সালে ক্যামব্রিজ, ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন।[4] তার পিতা, ডগলাস গিলমোর ছিলেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞানের প্রবীণ অধ্যাপক এবং মাতা সিলভিয়া (নী উইলসন) ছিলেন শিক্ষক এবং চলচ্চিত্র সম্পাদক; পরবর্তীতে যিনি বিবিসি'র হয়েও কাজ করেন। গিলমোরের জন্মের সময় তারা ট্রামপিঙ্গটন, কেমব্রীজশায়ারে বসবাস করতেন, তবে ১৯৫৬ সালে এই দম্পতি গ্রান্টচেস্টার মিডোসে স্থানান্তরিত হন।[5][n 1]
গিলমোরের বাবা সংগীতে তার আগ্রহ উত্সাহিত করতেন এবং ১৯৫৪ সালে তিনি তার প্রথম একক অ্যালবাম বিল হালেই-এর "রক অ্যারাউন্ড দ্যা ক্লক" কেনেন।[7] এরপর সংগীতের প্রতি তার উদ্দীপনা আন্দোলিত হয়েছে এলভিস প্রেসলির "হার্টব্রেক হোটেল"এবং পরবর্তিতে দ্যা এভ্রিলি ব্রাদার্সের "বাই বাই লাভ" হানের মাধ্যমে।
পিংক ফ্লয়েড
বাদ্যযন্ত্র শৈলী
একক প্রকল্প
সরঞ্জাম

ইফেক্ট প্যাডেল
১৯৭২–৭৫১৯৭৯–৮১
|
২০১৫ (র্যাটল দ্যাট লক)
|
ব্যক্তিগত জীবন

গিলমোরের প্রথম বিয়ে হয় ৭ই জুলাই ১৯৭৫ সালে, আমেরিকান-জন্মগ্রহণকারী মডেল এবং শিল্পী জিঞ্জার গিলমোর সাথে।[12] এই দম্পতির চার সন্তান ছিল: এলিস (জন্ম ১৯৭৬), ক্লেয়ার (জন্ম ১৯৭৯), সারা (জন্ম ১৯৮৩) এবং ম্যাথু (জন্ম ১৯৮৬)।[13] তারা মূলত একটি ওয়ালডোর্ফ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন, তবে গিলমোর তাদের সেই শিক্ষাকে "ভয়ঙ্কর" বলে আখ্যায়িত করেন।[14] ১৯৯৪ সালে তিনি সাংবাদিক পলি স্যামসনকে বিয়ে করেন। তার নিতবর ছিলো কিশোর বন্ধু এবং পিঙ্ক ফ্লয়েড অ্যালবাম আর্টওয়ার্ক ডিজাইনার স্ট্রম থ্রগসন।[15] এই দম্পতির চার সন্তান: চার্লি (জন্ম ১৯৯১) (স্যামসন এর পুত্রের সঙ্গে হেথ হিথকোট উইলিয়ামস যাকে গিলমোর দত্তক গ্রহণ করেন), জো (জন্ম ১৯৯৫), গ্যাব্রিয়েল (জন্ম ১৯৯৭), এবং রোমানি (জন্ম ২০০২)।[16] দ্যা ডিভিশন বেল অ্যালবামের "হাই হোপস" গানের শেষাংশে চার্লিকে টেলিফোনে কথা বলতে শোনা যায় স্টিভ ও'রোয়ারকির সাথে।[17]
ডিস্কোগ্রাফি
- স্টুডিও অ্যালবাম
- ডেভিড গিলমোর (১৯৭৮)
- অ্যাবাউট ফেস (১৯৮৪)
- অন এন আইসল্যান্ড (২০০৬)
- র্যটল দ্যাট লক (২০১৫)
ট্যুর
- অ্যাবাউট ফেস ট্যুর (১৯৮৪)
- অন এন আইসল্যান্ড ট্যুর (২০০৬)
- র্যটল দ্যাট লক ট্যুর (২০১৫–১৬)
পাদটিকা
- গিলমোরের তিন ভাইবোন: পীটার, মার্ক এবং ক্যাথারিন.[6]
উদ্ধৃতিসমূহ
- ২৫০ মিলিয়ন বিক্রির রেকর্ড দেখুন: "Pink Floyd Reunion Tops Fans' Wish List in Music Choice Survey"। ব্লুমবার্গ টেলিভিশন। ২০০৭-০৯-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০২-১৯।; ৭৪.৫ মিলিয়ন বিক্রির আরআইএএ প্রত্যয়িত ইউনিট রেকর্ড দেখুন: "শীর্ষ বিক্রীত শিল্পী"। আরআইএএ। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০২-১৯।
- Blake 2008, পৃ. 378।
- "Q Awards 2008 Outstanding Contribution"। .qawards.co.uk। ১০ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০১১।
- ফিচ্ ২০০৫।
- ব্লেক ২০০৮: ট্রামপিঙ্গটন; ম্যানিং ২০০৬.
- ব্লেক ২০০৮।
- Manning 2006, পৃ. 10–11।
- "Dark Side of the Moon 1972-75"। Gilmourish।
- Inc., Equipboard। "David Gilmour's Equipboard"। Equipboard। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৬।
- "The Wall 1979-81"। Gilmourish।
- "Rattle That Lock 2015"। Gilmourish।
- Gilmour, Ginger। "Ginger Art"। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১১।
- Fitch ২০০৫, পৃ. ১১৬।
- "Daily Telegraph Article: "We Don't Need No Steiner Education""। Waldorfcritics.org। ২০ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০০৯।
- Samson, Polly (১৮ এপ্রিল ২০১৩)। "Best man at our wedding"। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৩।
- Blake 2008, পৃ. 371: Romany, Fitch 2005, পৃ. 116: Charlie, Joe and Gabriel.
- Fitch 2005, পৃ. 115।
উৎসসমূহ
- Blake, Mark (২০০৮)। Comfortably Numb: The Inside Story of Pink Floyd (1st US paperback সংস্করণ)। Da Capo Press। আইএসবিএন 978-0-306-81752-6।
- Fitch, Vernon (২০০৫)। The Pink Floyd Encyclopedia (Third সংস্করণ)। Collector's Guide Publishing, Inc.। আইএসবিএন 978-1-894959-24-7।
- Fitch, Vernon; Mahon, Richard (২০০৬)। Comfortably Numb: A History of "The Wall" – Pink Floyd 1978–1981 (1st সংস্করণ)। PFA Publishing, Inc.। আইএসবিএন 978-0-9777366-0-7।
- Mabbett, Andy (২০১০)। Pink Floyd – The Music and the Mystery (1st UK paperback সংস্করণ)। Omnibus Press। আইএসবিএন 978-1-84938-370-7।
- Manning, Toby (২০০৬)। The Rough Guide to Pink Floyd (1st US paperback সংস্করণ)। Rough Guides Ltd। আইএসবিএন 978-1-84353-575-1।
- Mason, Nick (২০০৫)। Inside Out: A Personal History of Pink Floyd (1st US paperback সংস্করণ)। Chronicle Books। আইএসবিএন 978-0-8118-4824-4।
- Povey, Glen (২০০৮)। Echoes: The Complete History of Pink Floyd (2nd UK paperback সংস্করণ)। 3C Publishing Ltd.। আইএসবিএন 978-0-9554624-1-2।
- Povey, Glen; Russell, Ian (১৯৯৭)। Pink Floyd: In the Flesh: The Complete Performance History (1st US paperback সংস্করণ)। St. Martin's Press। আইএসবিএন 978-0-9554624-0-5।
- Schaffner, Nicholas (১৯৯১)। Saucerful of Secrets: the Pink Floyd Odyssey (1st US paperback সংস্করণ)। Dell Publishing। আইএসবিএন 978-0-385-30684-3।
- Wenner, Jann, সম্পাদক (৮ ডিসেম্বর ২০১১)। "Rolling Stone: The 100 Greatest Guitarists of All Time"। Rolling Stone (1145)।
|অধ্যায়=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
আরও পড়ুন
- Di Perna, Alan (২০০২)। Guitar World Presents Pink Floyd। Hal Leonard Corporation। আইএসবিএন 978-0-634-03286-8।
- Fitch, Vernon (২০০১)। Pink Floyd: The Press Reports 1966–1983। Collector's Guide Publishing Inc। আইএসবিএন 978-1-896522-72-2।
- Fricke, David (ডিসেম্বর ২০০৯)। "Roger Waters: Welcome to My Nightmare ... Behind The Wall"। Mojo। Emap Metro। ১৯৩: পৃ. ৬৮–৮৪।
- Harris, John (২০০৫)। The Dark Side of the Moon: The Making of the Pink Floyd Masterpiece। Da Capo। আইএসবিএন 978-0-306-81342-9।
- Hiatt, Brian (সেপ্টেম্বর ২০১০)। "Back to The Wall"। Rolling Stone। 1114: পৃ. ৫০–৫৭।
- MacDonald, Bruno (১৯৯৭)। Pink Floyd: through the eyes of ... the band, its fans, friends, and foes। Da Capo Press। আইএসবিএন 978-0-306-80780-0।
- Mabbett, Andy (১৯৯৫)। The Complete Guide to the Music of Pink Floyd (1st UK paperback সংস্করণ)। Omnibus Press। আইএসবিএন 978-0-7119-4301-8।
- Miles, Barry (১৯৮২)। Pink Floyd: A Visual Documentary by Miles। New York: Putnam Publishing Group। আইএসবিএন 978-0-399-41001-7।
- Scarfe, Gerald। The Making of Pink Floyd: The Wall (1st US paperback সংস্করণ)। Da Capo Press। আইএসবিএন 978-0-306-81997-1। অজানা প্যারামিটার
|yea=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - Simmons, Sylvie (ডিসেম্বর ১৯৯৯)। "Pink Floyd: The Making of The Wall"। Mojo। London: Emap Metro। ৭৩: পৃ. ৭৬–৯৫।
- Watkinson, Mike; Anderson, Pete (১৯৯১)। Crazy Diamond: Syd Barrett & the Dawn of Pink Floyd (1st UK paperback সংস্করণ)। Omnibus Press। আইএসবিএন 978-1-84609-739-3।
বহি:সংযোগ
![]() |
উইকিউক্তিতে নিচের বিষয় সম্পর্কে সংগৃহীত উক্তি আছে:: ডেভিড গিলমোর |
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে ডেভিড গিলমোর সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |