এলভিস প্রেসলি
এল্ভিস প্রেস্লি (ইংরেজি: Elvis Presley; ৮ জানুয়ারি ১৯৩৫ – ১৬ আগস্ট ১৯৭৭) ছিলেন মার্কিন রক সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনেতা। তিনি বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে জনপ্রিয় গায়ক এবং সবচেয়ে বহুল বিক্রিত অ্যালবামের সঙ্গীতশিল্পীদের মধ্যে অন্যতম। তিনি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক আইকন হিসাবে বিবেচিত, তাকে "কিং অব রক অ্যান্ড রোল" বা আরও সহজভাবে "দ্য কিং" নামে অভিহিত করা হয়।
এল্ভিস প্রেস্লি | |
---|---|
![]() | |
প্রাথমিক তথ্য | |
জন্ম নাম | এল্ভিস এরোন প্রেস্লি |
আরো যে নামে পরিচিত | এল্ভিস |
জন্ম | টুপেলো, মিসিসিপি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ৮ জানুয়ারি ১৯৩৫
উদ্ভব | মেম্ফিস, টেনেসি |
মৃত্যু | ১৬ আগস্ট ১৯৭৭ ৪২) মেম্ফিস, টেনেসি | (বয়স
ধরন | Rockabilly, রক ও রোল, গসপেল, ব্লুজ, কান্ট্রি |
পেশা | কণ্ঠশিল্পী, অভিনেতা |
বাদ্যযন্ত্রসমূহ | কণ্ঠশিল্পী, গীটার এবং পিয়ানো |
কার্যকাল | ১৯৫৪–১৯৭৭ |
লেবেল | সান, আরসিএ |
ওয়েবসাইট | elvis |
রেকর্ড সংগীতের ইতিহাসে প্রেসলি সর্বাধিক বিক্রিত একক শিল্পী। তিনি বাণিজ্যিকভাবে পপ, দেশীয়, ব্লুজ এবং গসপেল সহ অনেকগুলি ঘরানার সঙ্গীতে বাণিজ্যিকভাবে সফল ছিলেন। তিনি তিনটি প্রতিযোগিতামূলক গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন, ৩৬ বছর বয়সে গ্র্যামি লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন এবং সঙ্গীতে একাধিকবার "হল অব ফ্রেম" খ্যাতি পেয়েছেন।
এলভিস প্রেসলির জন্ম মিসিসিপির টুপেলো শহরে। তের বছর বয়সে তিনি তার পরিবারের সাথে টুপেলো ছেড়ে টেনেসি অঙ্গরাজ্যের মেম্ফিস শহরে চলে যান। সেখানে তিনি ১৯৫৪ সালে সান রেকর্ডস নামে একটি সংগীত বিষয়ক প্রতিষ্ঠানে গান গাওয়ার মাধ্যমে তার সংগীত জীবন শুরু করেন। সান রেকর্ডসের প্রযোজক স্যাম ফিলিপস শ্রোতাদের কাছে আফ্রো-আমেরিকান সঙ্গীতের একটি জনপ্রিয় ধরন ছড়িয়ে দিতে চান। গিটার বাদক স্কটি মুর ও বেজিস্ট বিল ব্ল্যাককে নিয়ে গঠিত প্রেসলির দ্য ব্লু মুন বয়েজ সঙ্গীতদল রক ও রোল, আপটেম্পো, কান্ট্রি সঙ্গীতে ব্যাকবিট-ড্রাইভেন ফিউশন এবং রিদম ও ব্লুজ সংগীতের অগ্রপথিক হিসেবে অবতীর্ণ হন। ১৯৫৫ সালে ড্রাম বাদক ডি.জে. ফন্টানা তাদের সাথে যোগ দেন এবং প্রেসলির ব্যবস্থাপক কর্নেল টম পার্কার তাদের আরসিএ ভিক্টরের সাথে চুক্তির ব্যবস্থা করে দেন। পার্কার আরও ১২ বছর প্রেসলির ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেন। আরসিএ'র প্রকাশনায় প্রেসলির গাওয়া প্রথম একক গান ছিলো "হার্টব্রেক হোটেল"। এটি ১৯৫৬ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। সমালোচকদের মতে এই গানটির মধ্যেই প্রথম রক ও রোলের সফল ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়। গানটি প্রকাশিত হওয়ার পরপরই তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টপচার্টের শীর্ষে স্থান করে নেয়। এরপরে তিনি টেলিভিশনে গান গেতে শুরু করেন এবং অল্পকিছুদিনের মধ্যেই তার গান সেরা গানের তালিকার শীর্ষ স্থান দখল করে নেয় এবং তিনি সমকালীন গায়কদের মধ্যে সেরা বিবেচিত হন।
কণ্ঠশিল্পীর পাশাপাশি তিনি একজন চলচ্চিত্র অভিনেতাও ছিলেন। প্রিসলি অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্রের নাম "লাভ মি টেন্ডার"। ছবিটি ১৯৫৬ সালের নভেম্বরে মুক্তি পায়। ১৯৫৮ সালে তিনি বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ২ বছর পর তিনি সেনাবাহিনী ছেড়ে আবার সংগীত জগতে ফিরে আসেন কিছু তুমুল জনপ্রিয় গানের মাধ্যমে। তিনি সেসময় মঞ্চে গাইতে শুরু করেন। এবং তার সে সময়কার গাওয়া গানগুলো বাণিজ্যিকভাবে প্রচুর সফলতা পায়। মিঃ পার্কারের উৎসাহে ১৯৬০ সালে তিনি আবার হলিউডে ছবি বানানো এবং সংগীত পরিচালনা শুরু করেন কিন্তু তার এসব কাজ ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। ১৯৬৮ সালে তিনি সাত বছর পর আবার স্টেজে গান গেতে শুরু করেন। তার এসময়ের করা ট্যুরগুলোও বাণিজ্যিকভাবে সফল হয় এবং সাথে সাথে প্রচুর জনপ্রিয়তাও পায়। ১৯৭৩ সালে এলভিস প্রেসলির স্টেজে করা একটি গান প্রথমবারেরমত স্যাটেলাইট থেকে দেখা হয়। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রায় দেড় বিলিয়ন দর্শক গানটি সরাসরি উপভোগ করে। তিনি জীবনের শেষদিকে এসে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন বলে জানা যায়। অনেকেই মাদকদ্রব্যকেই তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি ১৯৭৭ সালের ১৬ই আগস্ট হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
২০১২ সালে তাঁর সম্মানে প্যারাডোনিয়া প্রেসলি নামে একটি মাকড়সার প্রজাতির নামকরণ করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে, রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁকে মরণোত্তর প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম প্রদান করেন।[1]
শৈশব ও কৈশোর (১৯৩৫-১৯৫৩)
টুপেলোতে শৈশব
এলভিস প্রেসলি ১৯৩৫ সালের ৮ই জানুয়ারি মিসিসিপ্পির টুপেলোতে জন্মগ্রহণ করেন । তার বাবার নাম ভ্যারন এলভিস এবং মায়ের নাম লাভ প্রিসলি । তিনি যখন জন্মগ্রহণ করেন তখন তার বাবার বয়স ছিল ১৮ এবং মায়ের বয়স ছিল ২২ বছর । জেসে গারন প্রেসলি নামে তার একজন জমজ ভাই ছিল যিনি প্রেসলির জন্মের ৩৮ মিনিট আগে জন্ম নিয়েছিলেন।
প্রেম ও বিয়ে
সেনাবাহিনীতে যোগদান প্রিসলির অনিচ্ছাকৃত হলেও এই সেনাবাহিনীতে যোগদানের ফলেই দেখা পান জীবনের পরম বন্ধুর। সেনাবাহিনীর সৈন্য হিসেবে জার্মানীতে অবস্থানের সময় চৌদ্দ বছর বয়সী ওয়াগনারের প্রেমে পড়েন প্রিসলি। দীর্ঘদিন প্রেম পর্ব শেষে ১৯৬৭ সালের ১ মে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৬৭ সালের ১ লা ফেব্রুয়ারী প্রিসলি-ওয়াগনারের সংসারে আগমন ঘটে নতুন অতিথি একমাত্র কন্যা লিস্যা ম্যারী প্রিসলির।
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে এলভিস প্রেসলি সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
![]() |
উইকিউক্তিতে নিচের বিষয় সম্পর্কে সংগৃহীত উক্তি আছে:: এলভিস প্রেসলি |
- এল্ভিস প্রেস্লি এন্টারপ্রাইস এল্ভিস প্রেস্লির ব্যান্ডের প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট
- অলমুভিতে এলভিস প্রেসলি (ইংরেজি)
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে এলভিস প্রেসলি (ইংরেজি)
- ফাইন্ড এ গ্রেইভে এলভিস প্রেসলি (ইংরেজি)
- এল্ভিস প্রেস্লির সাক্ষাৎকার
- এল্ভিস প্রেস্লি, ওপেন ডাইরেক্টরি প্রজেক্ট থেকে
- এল্ভিস প্রেস্লির বংশ, Ancestry.com থেকে
- Miller, Jeremy; Griswold, Charles; Scharff, Nikolaj; Rezac, Milan; Szuts, Tamas; Marhabaie, Mohammad (মে ১৮, ২০১২)। "The velvet spiders: an atlas of the Eresidae (Arachnida, Araneae)"। ZooKeys (ইংরেজি ভাষায়) (195): 1–144। doi:10.3897/zookeys.195.2342। PMID 22679386। আইএসএসএন 1313-2970। পিএমসি 3361087
।