শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের বরিশাল শহরে অবস্থিত চিকিৎসা বিষয়ক উচ্চ শিক্ষা দানকারী একটি প্রতিষ্ঠান।[2] সরাসরি সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়; যা বর্তমানে দেশের একটি অন্যতম প্রধান চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে ১ বছর মেয়াদী হাতে-কলমে শিখনসহ (Internship) স্নাতক পর্যায়ের ৫ বছর মেয়াদি এম.বি.বি.এস. এবং বি.ডি.এস কোর্সে শিক্ষাকার্যক্রমে প্রতিবছর যথাক্রমে ২২০ ও ৫২ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়ে থাকে।
![]() কলেজ লোগো | |
প্রাক্তন নাম | বরিশাল মেডিকেল কলেজ (১৯৬৮) |
---|---|
নীতিবাক্য | শিখতে আস, সেবার তরে বেরিয়ে যাও |
ধরন | সরকারি চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় |
স্থাপিত | ১৯৬৮[1] |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় [1] |
শিক্ষার্থী | এমবিবিএসঃ ২২০ ও বিডিএসঃ ৫২ (সেশনপ্রতি) |
স্নাতক | এমবিবিএস, বিডিএস |
স্নাতকোত্তর | এমএস, এমডি, এমফিল, ডিপ্লোমা |
অবস্থান | , ২২.৬৮৮° উত্তর ৯০.৩৬১° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
সংক্ষিপ্ত নাম | শেবামেক / এসবিএমসি |
ওয়েবসাইট | sbmc |

অবস্থান
এই প্রতিষ্ঠানটি বরিশাল শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম কোনে অবস্থিত।
ইতিহাস
১৯৬৪ সালের ৬ নভেম্বর থেকে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ১৯৬৮ সালে এতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। স্থাপনকালীন এর নাম ছিলো বরিশাল মেডিকেল কলেজ যা পরবর্তীতে বরিশালের মহান নেতা, শের-ই-বাংলা (উর্দুঃ 'شیر بنگال'; অর্থঃ 'বাংলার বাঘ') নামে খ্যাত আবুল কাশেম ফজলুল হকের নামে নামকরণ করা হয়।[3]
অবকাঠামো
এখানে রয়েছে ১২০০ শয্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতাল, একটি একাডেমিক ভবন, ৩টি ছাত্রাবাস, ২টি ছাত্রী নিবাস, ২টি ইন্টার্নী ডক্টরস হস্টেল, ১টি নার্সিং কলেজ, ১টি নার্সিং ছাত্রীনিবাস, ১টি নার্সিং ছাত্রাবাস , ১টি মসজিদ, ১টি জিমনেসিয়াম, খেলার মাঠ ইত্যাদি।
অনুষদ ও বিভাগ
এর শিক্ষা কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা পরিচালিত হয়।
ভর্তি
প্রতি বছর এখানে ২৫২জন ছাত্র-ছাত্রী গ্র্যাজুয়েশন কোর্সে (এমবিবিএস ও বিডিএস) ভর্তি হন। এখানে পোস্ট-গ্রাজুয়েশন কোর্সও রয়েছে (এমডি, এমফিল, এমএস, ডিপ্লোমা)। এছাড়াও প্রতি বছর ১০০ জন ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন নার্সিং এ ভর্তি হয় এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি এন্ড নার্সিং সায়েন্স এ ২৫ জন ভর্তি হয়।
চিত্রশালা
- ২০১৩ সালের পূজা উদযাপন পর্ষদ আয়োজিত সরস্বতী পূজা
- পূজা উদযাপন পর্ষদ আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শেবাচিমের শিক্ষার্থীরা (২০১৩)
- পূজা উদযাপন পর্ষদ আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিখ্যাত ব্যান্ডদল 'লালন' (২০১৩)
- দীপাবলির আলোয় আলোকিত জামিলুর রহমান ছাত্রাবাস (২০১৩)
- শেবাচিমের তিনটি ছাত্রাবাস
তথ্যসূত্র
- মো. আবদুল লতিফ (২০১২)। "শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওসিএলসি 883871743।
- "মেডিকেল কলেজ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার - জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৫।
- "ABOUT SBMC"। Sher-e-Bangla Medical College-কলেজ কর্তৃপক্ষ। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৫।