খলিফাদের তালিকা

এটি মুসলিম বিশ্বের খলিফাদের তালিকা। বছরগুলো খ্রিষ্টীয় সন হিসেবে দেয়া হয়েছে।

বিশ্বাসীদের খলিফা
গঠন৮ জুন ৬৩২
প্রথম ধারকআবু বকর
সর্বশেষ ধারকদ্বিতীয় আবদুল মজিদ
লুপ্ত৩ মার্চ ১৯২৪

রাশিদুন খিলাফত (৬৩২-৬৬১)

রাশিদুন খিলাফতের সর্বো‌চ্চ সীমানা (সবুজ চিহ্নিত), ৬৫৪ খ্রিষ্টাব্দ

প্রথম চারজনকে সুন্নি মুসলিমরা খোলাফায়ে রাশেদিন সম্মান করে[1][2]

উমাইয়া খিলাফত (৬৬১-৭৫০/১০৩১)

দামেস্কের খলিফা (৬৬১-৭৫০)

উমাইয়া খিলাফতের সর্বো‌চ্চ সীমানা (সবুজ চিহ্নিত), আনুমানিক ৭৫০ খ্রিষ্টাব্দ।

[1][3]

কর্ডোবার আমির (৭৫৬-৯২৯)

কর্ডোবা খিলাফত (৯২৯-১০৩১)

কর্ডোবা খিলাফত (সবুজ চিহ্নিত), আনুমানিক ১০০০ খ্রিষ্টাব্দ।

(তারা বিশ্বব্যপী স্বীকৃত ছিলেন না, তাদের কর্তৃত্ব স্পেনমাগরিবে সীমাবদ্ধ ছিল)[4][5]

আবদুল্লাহ ইবনুল জুবায়ের (৬৮৪-৬৯২)

আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের ৬৮৪ সালে উমাইয়া খিলাফতের বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন। মক্কায় তিনি খলিফা ঘোষিত হন। কিন্তু ৬৯২ সালে হাজ্জাজ বিন ইউসুফের ছয় মাসব্যাপী অবরোধের পর পরাজিত ও নিহত হন।[6]

আব্বাসীয় খিলাফত (৭৫০-১২৫৮/১৫১৭)

বাগদাদের খলিফা (৭৫০-১২৫৮)

আব্বাসীয় খিলাফতের সর্বো‌চ্চ সীমানা (সবুজ চিহ্নিত), আনুমানিক ৮৫০।

(ইবেরিয়ান উপদ্বীপউত্তর আফ্রিকার কিছু অংশে তারা স্বীকৃত ছিলেন না)[7][8]

(আব্বাসীয় শাসনের শেষের দিকে মুসলিম শাসকরা সুলতান বা অন্যান্য উপাধি ব্যবহার শুরু করেন)

কায়রোর খলিফা (১২৬১-১৫১৭)

(কায়রোর আব্বাসীয় খলিফা মূলত মামলুক সালতানাতের পৃষ্ঠপোষকতায় আনুষ্ঠানিকভাবে খলিফা ছিলেন)[9][10]

  • দ্বিতীয় আল মুসতানসির – ১২৬১-১২৬২
  • প্রথম আল হাকিম – ১২৬২-১৩০২
  • প্রথম আল মুসতাকফি – ১৩০২-১৩৪০
  • দ্বিতীয় আল হাকিম – ১৩৪১-১৩৫২
  • প্রথম আল মুতাদিদ – ১৩৫২-১৩৬২
  • প্রথম আল মুতাওয়াক্কিল – ১৩৬২-১৩৮৩
  • দ্বিতীয় আল ওয়াসিক – ১৩৮৩-১৩৮৬
  • আল মুতাসিম – ১৩৮৬-১৩৮৯
  • প্রথম আল মুতাওয়াক্কিল, পুনরায় ক্ষমতালাভ – ১৩৮৯-১৪০৬
  • আল মুসতাইন – ১৪০৬-১৪১৪
  • দ্বিতীয় আল মুতাদিদ – ১৪১৪-১৪৪১
  • দ্বিতীয় আল মুসতাকফি – ১৪৪১-১৪৫১
  • আল কাইম – ১৪৫১-১৪৫৫
  • আল মুসতানজিদ – ১৪৫৫-১৪৭৯
  • দ্বিতীয় আল মুতাওয়াকিল – ১৪৭৯-১৪৯৭
  • আল মুসতামসিক – ১৪৯৭-১৫০৮
  • তৃতীয় আল মুতাওয়াক্কিল – ১৫০৮-১৫১৭ (প্রথম সেলিমের কাছে উপাধি হস্তান্তর করেন)

সেলজুক খিলাফত (১০৩৭-১০৯২)

অন্যান্য খিলাফত (৯০৯-১২৬৯)

ফাতেমীয় খিলাফত (৯০৯-১১৭১)

ফাতেমীয় খিলাফতের সর্বো‌চ্চ সীমানা (সবুজ চিহ্নিত), আনুমানিক ৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দ।

(ফাতেমীয়রা শিয়াদের ইসমাইলি শাখা থেকে উদ্ভূত। সুন্নিদের কাছে তারা স্বীকৃত নয়)[11][12]

  • আল মাহদি বিল্লাহ – ৯০৯-৯৩৪ (ফাতেমীয় রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা)
  • আল কাইম বিআমরিল্লাহ – ৯৩৪-৯৪৬
  • আল মনসুর বিল্লাহ – ৯৪৬-৯৫৩
  • আল মুইজ লিদেনিল্লাহ – ৯৫৩-৯৭৫
  • আল আজিজ বিল্লাহ – ৯৭৫-৯৯৬
  • আল হাকিম বি আমরিল্লাহ – ৯৯৬-১০২১
  • আলি আজ জাহির – ১০২১-১০৩৬
  • আল মুসতানসির বিল্লাহ – ১০৩৬-১০৯৪
  • আল মুসতালি – ১০৯৪-১১০১
  • আল আমির – ১১০১-১১৩০
  • আল হাফিজ – ১১৩০-১১৪৯
  • আল জাফির – ১১৪৯-১১৫৪
  • আল ফাইজ – ১১৫৪-১১৬০
  • আল আজিদ – ১১৬০-১১৭১

আলমোহাদ খিলাফত (১১৪৫-১২৬৯)

আলমোহাদ রাজত্বের সর্বো‌চ্চ সীমানা (সবুজ চিহ্নিত), আনুমানিক ১২০০।

(ব্যাপকভাবে স্বীকৃত নয়, উত্তর আফ্রিকার অংশবিশেষ ও ইবেরিয়ান উপদ্বীপে কার্যকর ছিল)[13][14]

  • আবদুল মুমিন – ১১৪৫-১১৬৩
  • আবু ইয়াকুব ইউসুফ – ১১৬৩-১১৮৪
  • ইয়াকুব আল মনসুর – ১১৮৪-১১৯৯
  • মুহাম্মদ আন নাসির – ১১৯৯ – ১২১৩
  • দ্বিতীয় আবু ইয়াকুব ইউসুফ – ১২১৩-১২২৪
  • প্রথম আবদুল ওয়ালিদ – ১২২৪
  • আবদুল্লাহ আল আদিল – ১২২৪-১২২৭
  • ইয়াহিয়া – ১২২৭-১২৩৫
  • প্রথম ইদ্রিস – ১২২৭-১২৩২
  • দ্বিতীয় আবদুল ওয়াহিদ – ১২৩২-১২৪২
  • আলি – ১২৪২-১২৪৮
  • উমর – ১২৪৮-১২৬৬
  • দ্বিতীয় ইদ্রিস – ১২৬৬-১২৬৯

উসমানীয় খিলাফত (১৫১৭-১৯২২)

উসমানীয় খিলাফতের সর্বো‌চ্চ সীমানা, ১৬৮৩।

শাসকদের সুলতান বলে ডাকা হত, পরবর্তীতে প্রজাদের কাছ থেকে পাওয়া উপাধি ব্যবহার শুরু হয়.[15][16]

  • প্রথম সেলিম – ১৫১৭-১৫২০ (মামলুক সালতানাতের পরাজয়ের পর ১৫১৭ খ্রিষ্টাব্দে তৃতীয় আল মুতাওয়াক্কিলের কাছ থেকে সেলিমের কাছে উপাধি হস্তান্তরিত হয়)
  • প্রথম সুলাইমান – ১৫২০-১৫৬৬
  • দ্বিতীয় সেলিম – ১৫৬৬-১৫৭৪
  • তৃতীয় মুরাদ – ১৫৭৪-১৫৯৫
  • তৃতীয় মুহাম্মদ – ১৫৯৫-১৬০৩
  • প্রথম আহমেদ – ১৬০৩-১৬১৭
  • প্রথম মোস্তফা – ১৬১৭-১৬১৮
  • দ্বিতীয় উসমান – ১৬১৮-১৬২২
  • প্রথম মোস্তফা, পুনরায় ক্ষমতালাভ – ১৬২২-১৬২৩
  • চতুর্থ মুরাদ – ১৬২৩-১৬৪০
  • প্রথম ইবরাহিম – ১৬৪০-১৬৪৮
  • চতুর্থ মুহাম্মদ – ১৬৪৮-১৬৮৭
  • দ্বিতীয় সুলাইমান – ১৬৮৭-১৬৯১
  • দ্বিতীয় আহমেদ – ১৬৯১-১৬৯৫
  • দ্বিতীয় মোস্তফা – ১৬৯৫-১৭০৩
  • তৃতীয় আহমেদ – ১৭০৩-১৭৩০
  • প্রথম মাহমুদ – ১৭৩০-১৭৫৪
  • তৃতীয় উসমান – ১৭৫৪-১৭৫৭
  • তৃতীয় মোস্তফা – ১৭৫৭-১৭৭৪
  • প্রথম আবদুল হামিদ – ১৭৭৪-১৭৮৯
  • তৃতীয় সেলিম – ১৭৮৯-১৮০৭
  • চতুর্থ মোস্তফা – ১৮০৭-১৮০৮
  • দ্বিতীয় মাহমুদ – ১৮০৮-১৮৩৯
  • প্রথম আবদুল মজিদ – ১৮৩৯-১৮৬১
  • আবদুল আজিজ – ১৮৬১-১৮৭৬
  • পঞ্চম মুরাদ – ১৮৭৬
  • দ্বিতীয় আবদুল হামিদ – ১৮৭৬-১৯০৯ (কার্যকরভাবে খলিফা উপাধি ব্যবহার করেন)

১৯০৮ থেকে শুরু করে পরবর্তী সময় উসমানীয় সুলতানরা নির্বাহী ক্ষমতাবিহীন সাংবিধানিক সম্রাট হিসেবে বিবেচিত হতেন। এসময় ক্ষমতা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত পার্লামেন্ট ক্ষমতা ভোগ করত।

তুর্কি প্রজাতন্ত্রের অধীন খিলাফত (১৯২২-১৯২৪)

খলিফার অফিস গ্র্যান্ড ন্যাশনাল এসেম্বলির কাছে হস্তান্তর করা হয়। ১৯২৪ এর ৩ মার্চ তারা অফিস বিলুপ্ত করে এবং তুরস্ক প্রজাতন্ত্র কর্তৃক ধর্মনিরপেক্ষতাকে নীতি হিসেবে বহাল রাখে। উসমান পরিবারের বর্তমান প্রধান হলেন বায়েজিদ উসমান। খলিফার অফিস বিলুপ্তির পর তুরস্কের গ্র্যান্ড ন্যাশনাল এসেম্বলি রাষ্ট্রে ইসলামের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হিসেবে আলাদা কার্যালয় স্থাপন করে।

শরিফিয়ান খিলাফত (১৯২৪)

খলিফার পদ পুনরায় প্রতিষ্ঠার জন্য শেষ চেষ্টা করা হয় হুসাইন বিন আলির পক্ষ থেকে। তিনি ছিলেন হেজাজের রাজামক্কার শরিফ। ১৯২৪ এর ১১ মার্চ তিনি খিলাফত দাবি করেন এবং ৩ অক্টোবর পর্যন্ত তা বজায় ছিল। এরপর তিনি তার পুত্র আলী বিন হুসাইনকে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। আলী বিন হুসাইন খলিফার উপাধি ধারণ করেননি।[17]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

গ্রন্থপঞ্জি

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.