কর্ডোবা আমিরাত
কর্ডোবা আমিরাত (Arabic: إمارة قرطبة, Imārah Qurṭuba) ছিল ৭৫৬ থেকে ৯২৯ সালের মধ্যে ইবেরিয়ান উপদ্বীপে অবস্থিত একটি স্বাধীন আমিরাত। এর রাজধানী ছিল কর্ডোবা।
কর্ডোবা আমিরাত | |||||
إمارة قرطبة Imārah Qurṭuba (আরবি) | |||||
| |||||
| |||||
![]() কর্ডোবার অবস্থান ৯২৯ সালে কর্ডোবা আমিরাত (সবুজ) | |||||
রাজধানী | কর্ডোবা | ||||
ভাষাসমূহ | ধ্রুপদি আরবি, বার্বার, মোজারাবিক, মধ্যযুগীয় হিব্রু | ||||
সরকার | রাজতন্ত্র | ||||
ইতিহাস | |||||
- | প্রথম আবদুর রহমান নিজেকে কর্ডোবার আমির ঘোষণা করেন | ১৫ মে ৭৫৬ | |||
- | তৃতীয় আবদুর রহমান নিজেকে কর্ডোবার খলিফা ঘোষণা করেন[1] | ১৬ জানুয়ারি ৯২৯ | |||
বর্তমানে অংশ | ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() | ||||
সতর্কীকরণ: "মহাদেশের" জন্য উল্লিখিত মান সম্মত নয় |
ইতিহাস
৭১১-১৮ সময়কালে উমাইয়ারা হিস্পানিয়া জয় করার পর ইবেরিয়ান উপদ্বীপ উমাইয়া খিলাফতের একটি প্রদেশ হিসেবে পরিগণিত হয়। শাসকরা কর্ডোবাতে রাজধানী স্থাপন করেন এবং উমাইয়া খলিফাদের প্রাদেশিক শাসক বা ওয়ালি হিসেবে শাসনকার্য পরিচালনা করেন।
৭৫৬ সালে প্রথম আবদুর রহমান আব্বাসীয় খলিফাদের কর্তৃত্ব অস্বীকার করে কর্ডোবার স্বাধীন আমির হন। ৭৫০ সালে উমাইয়ারা নিজেদের অবস্থান হারানোর পর তিনি ছয় বছর পালিয়ে থাকেন। স্থানীয় শাসকদের মধ্যে যারা উমাইয়া শাসনকে অস্বীকার করে তিনি তাদের পরাজিত করেন এবং স্থানীয় সামন্তদের একত্রিত করে আমিরাত গঠন করেন।[2] তবে আবদুর রহমান কর্তৃক আন্দালুসের এই একত্রীকরণ কর্ম সম্পূর্ণ (টলেডো, জারাগোজা, পেমপ্লোনা, বার্সেলোনা) হতে ২৫ বছরের বেশি সময় নেয়।
পরবর্তী একশত পঞ্চাশ বছর তার বংশধররা আমিরাত শাসন করতে থাকেন। আন্দালুসের অন্যত্র তাদের আনুষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রণ ছিল। উত্তর আফ্রিকার পশ্চিমের কিছু অংশেরও উপরও তাদের নিয়ন্ত্রণ ছিল। তবে মূল নিয়ন্ত্রণ ছিল খ্রিষ্টান সীমান্তে। আমিরদের প্রতিযোগিতার ফলে নিয়ন্ত্রণ বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। উদাহরণস্বরূপ, আমির আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদের ক্ষমতা খোদ কর্ডোবার বাইরে বিস্তৃত ছিল না।
৯১২ সালে ক্ষমতাপ্রাপ্ত তৃতীয় আবদুর রহমানের শাসনকালে আমিরাতের রাজনৈতিক পতন প্রকট হয় উঠে। তিনি দ্রুত আন্দালুসে উমাইয়া শক্তিকে পুনপ্রতিষ্ঠিত করেন এবং উত্তর আফ্রিকার পশ্চিমে এর বিস্তার ঘটান। ৯২৯ সালে নিজস্ব কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা ও ইবেরিয়ান উপদ্বীপের সংঘাত দূর করার জন্য তিনি নিজেকে খলিফা ঘোষণা করেন। এর মাধ্যমে বাগদাদের আব্বাসীয় খিলাফত ও উত্তর আফ্রিকায় তার প্রতিযোগী তিউনিসের ফাতেমীয় খিলাফতের সামনে আমিরাতের অবস্থান উন্নীত হয়।
তথ্যসূত্র
- Azizur Rahman, Syed (২০০১)। The Story of Islamic Spain। Goodword Books। পৃষ্ঠা 129। আইএসবিএন 978-81-87570-57-8।
[Emir Abdullah died on] 16 Oct., 912 after 26 years of inglorious rule leaving his fragmented and bankrupt kingdom to his grandson ‘Abd ar-Rahman. The following day, the new sultan received the oath of allegiance at a ceremony held in the "Perfect salon" (al-majils al-kamil) of the Alcazar.
- Barton, 37.