ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহের রাজধানীর তালিকা
ভারত দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। ১২০ কোটি জনসংখ্যা বিশিষ্ট এই দেশ বিশ্বের সর্বাপেক্ষা জনবহুল গণতন্ত্র। এই দেশ ২৯টি রাজ্য ও ৭টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নিয়ে গঠিত ও সাংবিধানিক ব্যবস্থা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি ফেডারেল সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র।[1] পুদুচেরি ও দিল্লি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সহ সমস্ত রাজ্য নির্বাচিত সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়। বাকি পাঁচটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা নিযুক্ত প্রশাসক দ্বারা শাসিত হয়। ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে রাজ্য পুনর্গঠন আইন অনুসারে, রাজ্যগুলিকে ভাষার ভিত্তিতে পুনুরগঠিত করা হয়।[2] তারপর থেকে তাদের গঠন কম-বেশি অপরিবর্তিতই থেকেছে। প্রত্যেক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বিভিন্ন প্রশাসনিক রাজ্যে বিভক্ত।
ক্রমায়ন অনুযায়ী ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহের তালিকা |
---|
![]() |
|
রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহের রাজধানীগুলিকে প্রশাসনিক, আইনবিভাগীয় ও বিচারবিভাগীয় রাজধানী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। প্রশাসনিক রাজধানীতে প্রশাসনিক অধিকরণগুলি অবস্থিত, আইনবিভাগীয় রাজধানীতে বিধানসভা গুলি অবস্থিত এবং বিচারবিভাগীয় রাজধানীতে রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির উচ্চ আদালতগুলি অবস্থিত। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে
রাজধানী
পাদটীকা
- অন্ধ্রপ্রদেশ পুনর্গঠন আইন, ২০১৪ অনুসারে তেলঙ্গানা রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর, দুই রাজ্যের যৌথ রাজধানী হিসেবে পরবর্তী দশ বছর হায়দ্রাবাদকে গণ্য করা হবে। ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যে অমরাবতী এই রাজ্যের ভবিষ্যত রাজধানী হবে।
- ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত শিলং আসাম ও মেঘালয়ের যৌথ ত্রাজধানী ছিলShilong was the joint capital of Assam and Meghalaya until 1971.[3]
- চণ্ডীগড় পাঞ্জাব ও হরিয়ানা এই দুই রাজ্যের রাজধানী। এছাড়া এটি একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।[4]
- রায়পুর ছত্তীসগঢ় তাজ্যের অন্তর্বর্তীকালীন রাজধানী। নয়া রায়পুর শহরকে রাজ্যের ভবিষ্যত রাজধানী হিসেবে স্থির করা হয়েছে।
- পানাজি ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে পর্তুগীজ শাসনাধীব গোয়ার রাজধানী ছিল।[5]
- নাগপুর ১৮৬১ থেকে ১৯৫০ পর্য্যন্ত ব্রিটিশ ভারতের মধ্য প্রদেশ ও বেরারের রাজধানী ছিল।[6] এই প্রদেশই ছিল স্বাধীন ভারতে গঠিত মধ্য প্রদেশের মূল অংশবিশেষ।[6] নাগপুর এই নবগঠিত রাজ্যের রাজধানী ছিল।[7] ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে মধ্য প্রদেশ থেকে বিদর্ভ অঞ্চলকে বিভক্ত করা হয় এবং বম্বে রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে নাগপুর মহারাষ্ট্র রাজ্যের দ্বিতীয় রাজধানীতে পরিণত হয়।[8] (১৮৬১–১৯৫৬)
- লাহোর ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী ছিল।[9] বর্তমানে এটি পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত।
- ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দ হতে গ্যাংটক সিক্কিমের রাজধানী ছিল। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে সিক্কিম ভারতে অন্তর্ভুইক্ত হয়।[10]
- ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দ হতে মাদ্রাজ মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির রাজধানী ছিল। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে এই প্রেসিডেন্সিকে মাদ্রাজ রাজ্য হিসেবে পুনর্গঠিত করা হয়। ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে এই রাজ্যের নতুন নামকরণ করা হয় তামিল নাড়ু
- দেরাদুন উত্তরাখণ্ড রাজ্যের অন্তর্বর্তীকালীন রাজধানী। গৈরসাইঁ শহরকে রাজ্যের ভবিষ্যতের নতুন রাজধানী হিসেবে স্থির করা হয়েছে।[11]
তথ্যসূত্র
- Library of Congress 2004।
- Sharma 2007, পৃ. 49।
- Baruah 1999, পৃ. xiii।
- Menon ও Banerjea 2002, পৃ. 5।
- Ring 1996, পৃ. 288।
- Boland-Crewe ও Lea 2002, পৃ. 155।
- Kumāra 1998, পৃ. 136।
- Kini 1974, পৃ. 34–35।
- Kippen 2006, পৃ. 26।
- Spate 1953, পৃ. 200।
- Sati ও Kumar 2004, পৃ. 9–10।
উৎস
- Baruah, Sanjib (১৯৯৯)। India Against Itself: Assam and the Politics of Nationality। University of Pennsylvania Press। আইএসবিএন 978-0-8122-3491-6। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১২।
- Boland-Crewe, Tara; Lea, David, সম্পাদকগণ (১৫ নভেম্বর ২০০২)। The Territories and States of India। Europa। আইএসবিএন 978-1-85743-148-3। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১২।
- "Country Profile: India" (PDF), Library of Congress Country Studies (5th সংস্করণ), Library of Congress Federal Research Division, ডিসেম্বর ২০০৪, সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১১
- Khandewale, Shrinivas Vishnu (১৯৮৯)। Industrial Area and Regional Resources: A Case Study of Nagpur Industrial Area। Mittal Publications। আইএসবিএন 978-81-7099-134-2। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১২।
- Mathew, George (১৯৯৫)। Status of Panchayati Raj in the States of India, 1994। Concept Publishing Company। আইএসবিএন 978-81-7022-553-9। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০১২।
- Kini, N. G. S. (১৯৭৪)। The City Voter in India: A Study of 1967 General Elections in Nagpur। Abhinav Publications। আইএসবিএন 978-0-88386-524-8। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১২।
- Kumāra, Braja Bihārī (১ জানুয়ারি ১৯৯৮)। Small States Syndrome In India। Concept Publishing Company। আইএসবিএন 978-81-7022-691-8। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১২।
- Kippen, James (২০০৬)। Gurudev's Drumming Legacy: Music, Theory, and Nationalism in the Mr̥daṅg Aur Tablā Vādanpaddhati of Gurudev Patwardhan। Ashgate Publishing। আইএসবিএন 978-0-7546-5424-7। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১২।
- Menon, N. R. Madhava; Banerjea, D. (২০০২)। Criminal Justice India Series: Haryana, 2002। Allied Publishers in collaboration with National University of Juridical Sciences। আইএসবিএন 978-81-7764-518-7। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১২।
- "Post-Independence Era", History of Andhra Pradesh, Government of Andhra Pradesh, সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১২
- Ring, Trudy (১ জানুয়ারি ১৯৯৬)। Asia and Oceania: International Dictionary of Historic Places। Taylor & Francis। আইএসবিএন 978-1-884964-04-6। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১২।
- Sati, Vishwambhar Prasad; Kumar, Kamlesh (২০০৪)। Uttaranchal: Dilemma Of Plenties And Scarcities। Mittal Publications। আইএসবিএন 978-81-7099-898-3। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১২।
- Sharma, B. K. (আগস্ট ২০০৭)। Introduction to the Constitution of India (4th সংস্করণ)। Prentice Hall। আইএসবিএন 978-81-203-3246-1।
- Spate, Oskar Hermann Khristian (১৯৫৩)। The Changing Map Of Asia A Political Geography। Taylor & Francis। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১২।