পাপুয়া নিউগিনি জাতীয় ক্রিকেট দল

আইসিসি’র পূর্ব এশিয়া/প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী দল হিসেবে আধিপত্য বিস্তার করছে। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় গেমসের ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ৫টি আসরের সবগুলোতেই দলটি অংশগ্রহণ করেছে।[3][5] এছাড়াও দলটি আইসিসি ট্রফির সবগুলো আসরেই খেলেছে।[6] বর্তমানে একদিনের আন্তর্জাতিকে সবচেয়ে বেশী রান করার রেকর্ড গড়েছে পাপুয়া নিউগিনি দল। ২০০৭ সালে নিউ ক্যালিডোনিয়া’র বিপক্ষে ৫৭২/৭ সংগ্রহের মাধ্যমে বিশ্বরেকর্ড নিজেদের করে নেয়।[7] ১৮৯০-এর দশকে পাপুয়া অঞ্চলের ধর্মপ্রচারকারীদের মাধ্যমে ক্রিকেট খেলার প্রচলন ঘটে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই স্থানীয় জনসাধারণের কাছে খেলাটি জনপ্রিয়তা পেতে থাকে। তবে খেলাগুলোয় সবসময় নিয়ম-কানুন কঠোরভাবে পালন করা হতো না। প্রায়শঃই দলগুলোয় পঞ্চাশের অধিক খেলোয়াড়ের অংশগ্রহণ দেখা যেতো। জাতিসংঘের অনুমোদনক্রমে অস্ট্রেলিয়া নিউগিনি অঞ্চলের দায়িত্বভার নেয়ার পূর্ব-পর্যন্ত সেখানে ক্রিকেটের প্রচলন ঘটেনি।[3]

১৯৭৫ সালে[3] স্বাধীনতালাভের পূর্বেই ১৯৭৩ সালে[2] আইসিসি’র সহযোগী সদস্যের মর্যাদা লাভ করে পাপুয়া নিউগিনি দল। ঐ বছরই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল পাপুয়া নিউগিনি সফরে আসে। খেলায় ৪ উইকেটে জয়লাভ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল।[8] দলের পক্ষে ছয়জন আদিবাসী খেলোয়াড় অংশ নেয়। এ সময় থেকেই আদিবাসী খেলোয়াড়দের জাতীয় দলে আধিপত্য বিস্তার করে।[3]

১৯৭৯ সালে প্রথম আইসিসি ট্রফিতে অংশগ্রহণ করে। কিন্তু প্রথম রাউন্ডেই দলটি বিদায় নেয়।[9] ঐ বছরের শেষদিকে প্রথম দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় দলটি স্বর্ণপদক লাভ করে। এরপর থেকেই প্রতিটি প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক লাভ করছে পাপুয়া নিউগিনি।[3][5] ১৯৮০-৮১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া যায় পাপুয়া নিউগিনি ক্রিকেট দল।[10] এর পরের বছরই ১৯৮২ সালে দলটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাদের সেরা ফলাফল হিসেবে স্থাননির্ধারণী খেলায় বাংলাদেশ দলকে পরাজিত করে তৃতীয়স্থান লাভ করে।[11]

• এস/এন: শার্ট নাম্বার