গ্রিস

গ্রিস (গ্রিক: Ελλάδα এলাদ়া বা Ελλάς এলাস্‌) ইউরোপ মহাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশের একটি রাষ্ট্র যা বলকান উপদ্বীপের একেবারে দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত। এর সীমান্তবর্তী রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে উত্তরে বুলগেরিয়া, প্রাক্তন যুগশ্লাভিয়া প্রজাতন্ত্রী মেসিডোনিয়া এবং আলবেনিয়া; পূর্বে তুরস্ক। গ্রিসের মূল ভূমির পূর্বে ও দক্ষিণে এজিয়ান সাগর অবস্থিত, আর পশ্চিমে রয়েছে আইওনিয়ান সাগর। পূর্ব ভূমধ্যসাগরের উভয় অংশে গ্রিসের অনেকগুলো দ্বীপ রয়েছে। গ্রিস ইউরোপ. এশিয়া এবং আফ্রিকার মিলন স্থলে অবস্থিত। বর্তমান গ্রিকদের পূর্বপুরুষ হচ্ছে এক সময়ের পৃথিবী বিজয়ী প্রাচীন গ্রিক সভ্যতা, বাইজান্টাইন সম্রাজ্য এবং প্রায় ৪ শতাব্দীর অটোমান সম্রাজ্য। এই দেশ পশ্চিমা বিশ্বের জ্ঞান বিজ্ঞানের সূতিকাগার এবং গণতন্ত্রের জন্মদায়ক স্থান হিসেবে সুপরিচিত। গ্রিসের আরও কিছু বৃহৎ অবদান হচ্ছে পশ্চিমা দর্শন, অলিম্পিক গেম্‌স, পশ্চিমা সাহিত্য, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার এবং নাটক। সব মিলিয়ে গ্রিসের সভ্যতা সমগ্র ইউরোপে এক সময়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী সভ্যতা হিসেবে পরিগণিত হত। বর্তমানে গ্রিস একটি উন্নত দেশ এবং ১৯৮১ সাল থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য।[10]। এছাড়া এটি ২০০১ সন থেকে ইকোনমিক অ্যান্ড মনিটারি ইউনিয়ন অফ দ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ১৯৫১ সাল থেকে ন্যাটো এবং ১৯৬০ সাল থেকে ওইসিডি-এর সদস্য হিসেবে আছে।

হেলেনিক প্রজাতন্ত্র
Ελληνική Δημοκρατία
Ellīnikī́ Dīmokratía
পতাকা জাতীয় প্রতীক
নীতিবাক্য: Eleftheria i Thanatos, (Greek: "Ελευθερία ή Θάνατος", "Freedom or Death") (traditional)
জাতীয় সঙ্গীত: "Ὕμνος εἰς τὴν Ἐλευθερίαν
Ýmnos is tin Eleftherían
স্বাধীনতার স্তবগান1"
 গ্রিস-এর অবস্থান (dark green)

 Europe-এ (green & dark grey)
 the European Union-এ (green)   [ব্যাখ্যা]

 গ্রিস-এর অবস্থান (dark green)

 Europe-এ (green & dark grey)
 the European Union-এ (green)   [ব্যাখ্যা]

রাজধানী
এবং বৃহত্তম নগরী
অ্যাথেন্স
৩৭°৫৮′ উত্তর ২৩°৪৩′ পূর্ব
সরকারি ভাষা Greek
জাতিগোষ্ঠী 94% Greek,
4% Albanian,
2% others[1][2][3][4]
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ Greek (Officially: Hellenic)
সরকার Unitary parliamentary republic
   রাস্ট্রপতি Prokopis Pavlopoulos
   প্রধানমন্ত্রী Alexis Tsipras MP
আইন-সভা Parliament
Independence from the Ottoman Empire
   Declared 1 January 1822, at the First National Assembly 
   Recognized 3 February 1830, in the London Protocol 
   Current constitution 11 June 1975,
Third Hellenic Republic 
আয়তন
   মোট ১৩১ কিমি (96th)
৫০ বর্গ মাইল
   জল/পানি (%) 0.8669
জনসংখ্যা
   2010 আনুমানিক 11,305,118[5] (74th)
   2011 (preliminary data) আদমশুমারি 10,787,690[6]
   ঘনত্ব 85.3/কিমি (88th)
২২১.০/বর্গ মাইল
মোট দেশজ উৎপাদন
(ক্রয়ক্ষমতা সমতা)
2010 আনুমানিক
   মোট $318.082 billion[7] (37th)
   মাথা পিছু $28,434[7] (29th)
মোট দেশজ উৎপাদন (নামমাত্র) 2010 আনুমানিক
   মোট $305.415 billion[7] (32nd)
   মাথা পিছু $27,302[7] (29th)
জিনি সহগ (২০০৫)33[8]
ত্রুটি: জিনি সহগের মান অকার্যকর
মানব উন্নয়ন সূচক (2010) 0.855[9]
ত্রুটি: মানব উন্নয়ন সূচক-এর মান অকার্যকর · 22nd
মুদ্রা Euro ()2 (EUR)
সময় অঞ্চল EET (ইউটিসি+২)
   গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি) EEST (ইউটিসি+৩)
গাড়ী চালনার দিক right
কলিং কোড 30
ইন্টারনেট টিএলডি .gr3
১. Also the national anthem of Cyprus.
২. Before 2001, the Greek drachma.
৩. The .eu domain is also used, as in other European Union member states.

ইতিহাস

প্রাচীন কাল

এজিয়ান সাগরের তীরে সুপ্রাচীন কালে ইউরোপের প্রথম উন্নত সভ্যতা গড়ে উঠেছিল, বর্তমান আধুনিক ইউরোপকে এর ফসল বললে অত্যুক্তি হবে না। Minoan এবং Mycenean সভ্যতার উত্থানের ফলে গ্রিসের বিভিন্ন অঞ্চলে স্বতন্ত্র জেলা এবং সরকার ও সমাজ কাঠামো বিশিষ্ট রাজ্যের সৃষ্টি হয়। এই রাজ্যগুলো স্পার্টা এবং এথেন্সের অধীনে একত্রিত হয়ে পার্সিয়ানদের অগ্রযাত্রাকে প্রতিহত করেছিল। এথেন্সে গ্রিসের প্রথম সমৃদ্ধ সভ্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু পরবর্তীকালে এথেন্স ও স্পার্টার মধ্যে সংঘাতের সৃষ্টি হয় যার পরিণতি পেলোপোনেশীয় যুদ্ধ। এ সময় পার্সিয়ানদের হাতে স্পার্টার পতন হয়। এর পর মাত্র এক শতাব্দীর মধ্যে সকল গ্রিকরা আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের নেতৃত্বে একত্রিত হয়ে পার্সীয়দের প্রতিহত করে। ১৪৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এখানে রোমান সম্রাজ্যের সূচনা হয়।

রোমান যুগ

রোমান যুগের সূচনায় হেলেনীয় সমাজ ও সংস্কৃতির কোন পরিবর্তন না হলেও এর ফলে আবশ্যিকভাবেই গ্রিস তার রাজনৈতিক স্বাধীনতা হারায়। খ্রিস্ট ধর্ম বিকাশের পূর্ব পর্যন্ত এখানে হেলেনীয় সংস্কৃতি টিকে ছিল। গ্রিস রোমের একটি প্রদেশে পরিণত হয় এবং তখনও গ্রিস প্রবল প্রতাপে পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের সংস্কৃতিকে প্রভাবান্বিত করে চলে। এরপর রোমান সাম্রাজ্য দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়; একভাগের নাম পূর্ব রোমান সম্রাজ্য যা গ্রিকদের সাম্রাজ্য নামে প্রতিষ্ঠা পায় এবং পরবর্তীকালে বাইজান্টাইন সম্রাজ্য নাম ধারণ করে। অন্য অংশ ছিল কনস্টান্টিনোপ্‌ল কেন্দ্রিক যার নাম ছিল বাইজান্টিয়াম। বাইজান্টাইন রাজত্বের সময় গ্রিক আগ্রাসী সকল শক্তির মধ্যে হেলেনীয় ভাবধারার প্রভাব সৃষ্টিতে সমর্থ হয় এবং এ সময়েই সিসিলিএশিয়া মাইনর থেকে অনেকে গ্রিসে বসতি স্থাপন করে। একাদশ ও দ্বাদশ শতাব্দীকে গ্রিসে বাইজান্টাইন শিল্পকলার স্বর্ণযুগ বলা হয়। তবে ১২০৪ থেকে ১৪৫৮ সালের মধ্যে সংঘটিত ক্রুসেডের সময় ধর্মের নামে প্রতিষ্ঠিত কিছু সেনাদল দ্বারা গ্রিস আক্রান্ত হয়। ১৪৫৩ সালের ২৯ মে তারিখে কনস্টান্টিনোপ্‌লের পতনের পূর্ব পর্যন্ত এখানে বাইজান্টাইন সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত ছিল।

রাজনীতি

গ্রিসের রাজনীতি একটি সংসদীয় প্রতিনিধিত্বমূলক বহুদলীয় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কাঠামোয় সংঘটিত হয়। সরকারপ্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা সরকারের উপর ন্যস্ত। আইন প্রণয়নের ক্ষমতা সরকার এবং আইনসভা উভয়ের উপর ন্যস্ত। বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ ও আইনসভা হতে স্বাধীন।

প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ

প্রশাসনিকভাবে গ্রিসে মোট ১৩ টি প্রশাসনিক অঞ্চল রয়েছে। এরা আবার সর্বমোট ৫৪ টি প্রিফেকচারে বিভক্ত।

Mapসংখ্যা]প্রশাসনিক অঞ্চলরাজধানীআয়তন (বর্গ কি.মি.)জনসংখ্যা
Atticaএথেন্স৩,৮০৮৩,৭৬১,৮১০
কেন্দ্রীয় গ্রিসLivadia১৫,৫৪৯৬০৫,৩২৯
কেন্দ্রীয় মেসিডোনিয়াThessaloniki১৮,৮১১১,৮৭১,৯৫২
CreteIraklio৬,৩৩৬৬০১,১৩১
East Macedonia and ThraceKomotini১৪,১৫৭৬১১,০৬৭
EpirusIoannina৯,২০৩৩৫৩,৮২০
আইওনীয় দ্বীপপুঞ্জCofu২,৩০৭২১২,৯৮৪
উত্তর এজিয়ানMytilene৩,৮৩৬২০৬,১২১
PeloponneseTripoli১৫,৪৯০৬৩৮,৯৪২
১০দক্ষিণ এজিয়ানErmoupoli৫,২৮৬৩০২,৬৮৬
১১ThessalyLarissa১৪.০৩৭৭৫৩,৮৮৮
১২পশ্চিম গ্রিসPatras১১,৩৫০৭৪০,৫০৬
১৩পশ্চিম মেসিডোনিয়াKozani৯,৪৫১৩০১,৫২২
-Mount Athos (Autonomous)Karyes৩৯০২,২৬২

ভূগোল

আয়তন ১৩১৯৯০ বগ (km)

অর্থনীতি

জনসংখ্যা

গ্রিসের জনস্ংখ্যা ১১,৩০৫১১৮ জন (২০১১ সন অনুজায়ি

সংস্কৃতি

তথ্যসূত্র

  1. "Demographics of Greece"। European Union National Languages। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১০
  2. "Greece"The World Factbook। Central Intelligence Agency। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১১
  3. "Πίνακας 7: Αλλοδαποί κατά υπηκοότητα, φύλο και επίπεδο εκπαίδευσης – Σύνολο Ελλάδας και Νομοί" [Table 7: Foreigners by citizenship, gender and educational level -Whole of Greece and Prefectures] (PDF) (Greek ভাষায়)। Greek National Statistics Agency। ২৮ এপ্রিল ২০১১ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১১
  4. "Demography Report 2010" (PDF)Eurostat Yearbook 2010Eurostat। ৯ এপ্রিল ২০১১ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১১
  5. "Total Population"Eurostat। ১ জানুয়ারি ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১০
  6. "'Πίνακας 1: Προσωρινά αποτελέσματα του Μόνιμου Πληθυσμού της Ελλάδος'" (PDF)। National Statistical Service of Greece: Ανακοίνωση προσωρινών αποτελεσμάτων Απογραφής Πληθυσμού 2011, 22 Ιουλίου 2011।
  7. "Greece"। International Monetary Fund। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০১১
  8. "Distribution of Family Income – Gini Index"The World Factbook। Central Intelligence Agency। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১০
  9. "Human Development Report 2010" (PDF)। United Nations। ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১০
  10. "Member States of the EU: Greece"European Union। europa.eu। ২০০৭-০৪-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৪-০৭

DIDAR MULTI MEDIA CENTER didarulislamshibpur@gmail.com

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.