এজিয়ান সাগর
এজিয়ান সাগর (/[অসমর্থিত ইনপুট: 'ɨ']ˈdʒiːən/; গ্রিক: Αιγαίο Πέλαγος; তুর্কী: Ege Denizi[1]) বলকান অঞ্চল এবং আনাতোলিয়ান পেনিনসুলার মধ্যমর্তী একটি সাগর। এটি ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ভূত হয়েছে। গ্রীস এবং তুরস্কের মাঝে এই সাগরের অবস্থান। এটি দার্দেনেলাস ও বসফরাস প্রণালী দ্বারা মারমারা উপসাগর ও কৃষ্ণ সাগরের সাথে যুক্ত হয়েছে। এই সাগরে এজিয়ান দ্বীপগুলোর অবস্থান।

এজিয়ান সাগর একসময় আর্কিপেলাগো (গ্রীক শব্দ, Αρχιπέλαγος, যার অর্থ প্রধান সাগর) নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু ইংরেজিতে এর অর্থ বিবর্তিত হয়ে এজিয়ান আইল্যান্ড বা আইল্যান্ড গ্রুপ (দ্বীপমালা)-এ পরিণত হয়।
ভূগোল
এজিয়ান সাগরের আয়তন প্রায় ২১৪০০০ বর্গ কিলোমিটার। দ্রাঘিমাংশ বরাবর এই সাগরের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬১০ কিলোমিটার বা ৩৮০ মাইল এবং অক্ষাংশ বরারবর দৈর্ঘ্য ৩০০ কিলোমিটার বা ১৯০ মাইল। এজিয়ান সাগরের সর্বোচ্চ গভীরতা ৩৫৪৩ মিটার। এই সাগরেই এজিয়ান দ্বীপপুঞ্জের অবস্থান। সাগরের দক্ষিণ দিকে কিথেরা, অ্যান্তিকিথেরা, ক্রিট, কাওস, কার্পাথোস ও রোডস দ্বীপগুলি সাগরটির সীমানা নির্দেশ করে।
ইতিহাস

বর্তমান এজিয়ান সাগর উপকূলবর্তী অঞ্চলের ইতিহাস প্রায় ৪০০০ খৃষ্টুপূর্বে সূচনা হয়েছিল। এর আগে এজিয়ান সাগরের সর্বত্র পানি পৃষ্ঠ বর্তমানের চেয়ে প্রায় ১৩০ মিটার নিচু ছিল। বর্তমানে যে উপকূল দেখা যায়, তার অভ্যুত্থান প্রায় ৭০০০ খৃষ্টপূর্বের দিকে।[2] ব্রোঞ্জ যুগ পরবর্তীকালে গ্রীস ও এজিয়ান সাগর অঞ্চল একত্রে এজিয়ান সভ্যতা নামে পরিচিতি পায়। প্রাযীনকালে এই সাগরের তীরবর্তী অঞ্চলেই বিশ্বের প্রাচীনতম দুইটি সভ্যতা মিনোয়ান ও মিসেনিয়ান গ্রিসের উত্থান হয়েছিল।[3]
এরপরে শহর কেন্দ্রিক রাজ্য এথেন্স এবং স্পার্টার উত্থান হয়। এগুলো এথেনিয়ান সাম্রাজ্য ও হেলেনিক সভ্যতার অন্তর্গত। প্লেটো গ্রীকদের এজিয়ান সাগরের তীরে অবস্থান সম্পর্কে বলেছিলেন যে, ব্যাঙ যেভাবে পুকুরে অবস্থান করে, তেমনি গ্রীকরা এজিয়ান সাগর-তীরে বাস করে।[4]
তথ্যসূত্র
- Ege Denizinin Orijinal Adı Nedir?, তুর্কী নৌবাহিনী ওয়েবসাইট
- Tjeerd H. van Andel and Judith C. Shackleton (Winter ১৯৮২)। Late Paleolithic and Mesolithic Coastlines of Greece and the Aegean]। 9,। Journal of Field Archaeology। পৃষ্ঠা 445–454।
- Tracey Cullen, Aegean Prehistory: A Review (American Journal of Archaeology. Supplement, 1); Oliver Dickinson, The Aegean Bronze Age (Cambridge World Archaeology).
- John F. Cherry, Despina Margomenou, and Lauren E. Talalay। The familiar phrase giving rise to the title Prehistorians Round the Pond: Reflections on Aegean Prehistory as a Discipline।
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিভ্রমণে Aegean Sea সম্পর্কিত ভ্রমণ নির্দেশিকা রয়েছে। |
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে এজিয়ান সাগর সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
- "Cultural Portal of the Aegean Archipelago"। Foundation of the Hellenic World। ১০ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১২।