রাজস্থান
রাজস্থান (রাজস্থানী ও হিন্দি: राजस्थान, উচ্চারিত [raːdʒəsˈtʰaːn] (
রাজস্থান राजस्थान | |
---|---|
রাজ্য | |
![]() Location of Rajasthan in India | |
![]() Map of Rajasthan | |
স্থানাঙ্ক (Jaipur): ২৬.৫৭২৬৮° উত্তর ৭৩.৮৩৯০২° পূর্ব | |
Country | ![]() |
Established | 1 November 1956 |
রাজধানী | জয়পুর |
Largest city | জয়পুর |
Districts | 33 total |
সরকার | |
• Governor | Kalyan Singh |
• Chief Minister | Vasundhara Raje (BJP) |
• Legislature | Unicameral (200 seats) |
• Parliamentary constituency | 25 |
• High Court | Rajasthan High Court |
আয়তন | |
• মোট | ৩৪২২৩৯ কিমি২ (১৩২১৩৯ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | 1st |
জনসংখ্যা (2015) | |
• মোট | ৭,৩৫,২৯,৩২৫ |
• ক্রম | 8th |
সময় অঞ্চল | IST (ইউটিসি+05:30) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | IN-RJ |
HDI | ![]() |
HDI rank | ১২তম (২০১৫) |
লিঙ্গ অনুপাত | ৮৫৬♀/♂ |
Literacy | 67% (35th) |
Official language | Hindi[1] |
Additional official language | English, Punjabi |
ওয়েবসাইট | rajasthan.gov.in |
প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহে স্থান পেয়েছে সিন্ধু সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ, যা পাওয়া গেছে কালিবঙ্গা তে; রাজ্যের একমাত্র শৈল শহর বা হিল স্টেশন প্রাচীন আরাবল্লির পর্বতমালার মাউন্ট আবুতে অবস্থিত দিলওয়ারা মন্দির, যা জৈন ধর্মাবলম্বীদের তীর্থক্ষেত্র; এবং পূর্ব রাজস্থানে, ভরতপুরের কাছাকাছি কেওলাদেও জাতীয় উদ্যান (একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান) [2], যা পাখিরালয়ের জন্য বিখ্যাত। রাজস্থানে তিনটি জাতীয় বাঘ সংরক্ষণাগার রয়েছে, এগুলি হল সওয়াই মাধোপুরের রণথম্ভোর জাতীয় উদ্যান, আলওয়ার এর সারিস্কা টাইগার রিজার্ভ এবং কোটার মুকুন্দ্র হিল টাইগার রিজার্ভ।
১৯৪২ সালের ৩০শে মার্চ রাজ্যটি গঠিত হয়েছিল [২] যখন রাজপুতানা - এই অঞ্চলের উপর নির্ভরশীলতার জন্য ব্রিটিশ রাজ এই নাম দিয়েছিল [3] - ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়। এই রাজ্যের রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর হল জয়পুর। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলির মধ্যে রয়েছে যোধপুর, কোটা, বিকাণীর, আজমের ও উদয়পুর।
ভৌগোলিক অবস্থান
রাজস্থান রাজ্যের রাজধানী জয়পুর। রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য হল উত্তর-পূর্ব থেকে দক্ষিণ পশ্চিমে বিস্তৃত আরাবল্লী পর্বত ও থর মরুভূমি এবং প্রাচীন নগরী কালিবঙ্গানের নিকট ঘগ্গর নদীর বিলীনস্থল।
বিশ্বের প্রাচীনতম পর্বতমালাগুলির অন্যতম আরাবল্লী পর্বতশ্রেণী এই রাজ্যে অবস্থিত। আরাবল্লীর মাউন্ট আবু রাজস্থানের একমাত্র শৈলশহর। মাউন্ট আবুতেই প্রসিদ্ধ জৈন তীর্থক্ষেত্র দিলওয়াড়া মন্দির অবস্থিত। পূর্ব রাজস্থানে দুটি জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্প রয়েছে। এগুলি হল রণথম্ভোর জাতীয় উদ্যান ও সারিস্কা। এছাড়াও ভরতপুরের কাছে রয়েছে কেওলাদেও জাতীয় উদ্যান, যা অতীতে পক্ষীপর্যটনের জন্য বিখ্যাত ছিল।
রাজনীতি


বসুন্ধরা রাজে
(২০০৩-০৮,২০১৩-১৮)

অশোক গহলোত
(১৯৯৮-০৩,২০০৮-১৩)

ভৈরোঁ সিং শেখায়াত
(১৯৯৩-৯৮)

ভৈরোঁ সিং শেখায়াত
(১৯৭৭-৮০,১৯৯০-৯২)

হরি দেব যোশী

শিব চরণ মাথুর

মোহন লাল সুখাদিয়া
ইতিহাস
স্বাধীনতার পর রাজপুতানা নামে পরিচিত রাজপুত শাসিত দেশীয় রাজ্যগুলি ভারতে যোগ দেয়। এই রাজ্যগুলিকে একত্রিত করে ১৯৪৯ সালের ৩০শে মার্চ রাজস্থান রাজ্যটি গঠিত হয়। পূর্বতন রাজপুতানা ও বর্তমান রাজস্থান রাজ্যের মধ্যে একমাত্র পার্থক্য হল এই রাজ্যে ব্রিটিশ ভারতীয় আজমের-মারওয়াড় প্রদেশটিও সংযুক্ত হয়। ভৌগোলিকভাবে রাজপুতানার বাইরে অবস্থিত মধ্যপ্রদেশের সুমেল-তাপ্পা অঞ্চলটিও রাজস্থানের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
প্রশাসনিক বিভাজন
রাজস্থানে মোট ৩৩টি জেলা ও ৭টি বিভাগ রয়েছে : জয়পুর , যোধপুর , আজমের , উদয়পুর , বিকানের , কোটা এবং ভরতপুর
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান




অর্থনীতি
ছাগ প্রতিপালন
ছাগ প্রতিপালনে এই রাজ্য ভারতে শীর্ষ স্থানে রয়েছে। বার্ষিক প্রায় ২ কোটি প্রতিপালিত হয়।
পর্যটন
রাজস্থান ভারতের একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। একাধিক ঐতিহাসিক স্থাপনার রাজ্য রাজস্থানের পর্যটন উষ্ণ আতিথেয়তা ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত হোটেল ও রিসর্টের জন্য বিখ্যাত। রাজস্থানের প্রধান প্রধান পর্যটন গন্তব্য হল জয়পুর, উদয়পুর, যোধপুর ও জৈসলমের। এই শহরগুলি রেল, সড়ক ও বিমানপথে ভারত ও বহির্ভারতের অন্যান্য শহরের সঙ্গে সুসংযুক্ত।
খেলাধূলা
ক্রিকেট এখানে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। সওয়াই মানসিং স্টেডিয়াম রাজ্যের প্রধান স্টেডিয়াম। এখানে আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। রাজস্থান রয়্যালস দলটি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ-এ রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করে।
জনসংখ্যার উপাত্ত
ভাষা
হিন্দি এ রাজ্যের সরকারি ভাষা এবং সর্বাধিক কথিত ভাষা (২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যার ৯০.৯১%)। এছাড়া প্রচলিত ভাষাগুলি হল ভিলি (৪.৬০%), পাঞ্জাবি (২.০১%) এবং উর্দু (১.১৭%)। [1] ত্রি-ভাষা সূত্রে অধীন শেখানো ভাষাগুলি হল:[4]
প্রথম ভাষা: হিন্দি, দ্বিতীয় ভাষা: ইংরেজি, তৃতীয় ভাষা: উর্দু / সিন্ধি / পাঞ্জাবি / সংস্কৃত / গুজরাটি।
২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে
অতিসাম্প্রতিক কালে রাজস্থানের স্থানীয় ভাষাকে সরকারীভাবে মর্যাদা দেওয়ার দাবি তোলা হয় এবং রাজস্থানের সমস্ত ভাষা তথা ধুন্ধারী, হাড়াউতি, লাম্বাডি, মারওয়ারী, মেওয়ারীকে মিলিত ভাবে রাজস্থানী ভাষাগোষ্ঠী তৈরীর দাবী জোরদার হয় ৷[6]
পরিবহন

রাজস্থান অনেক জাতীয় মহাসড়ক দ্বারা সংযুক্ত রয়েছে। সর্বাধিক পরিচিত হল জাতীয় মহাসড়ক ৮, যা ভারতের প্রথম ৪-৮ লেনের মহাসড়ক। [40] রাজস্থানের রেলপথ ও বাস নেটওয়ার্ক - উভয়ক্ষেত্রেই আন্তঃনগর (ইন্টার-সিটি) পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে। সমস্ত প্রধান শহর বায়ু, রেল এবং সড়ক দ্বারা সংযুক্ত আছে। জয়পুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রাজস্থানের প্রধান বিমানবন্দর এবং বিমানবন্দর টি দেশের অন্যান্য বড় শহরের সাথে সরাসরি যুক্ত।
বায়ু
রাজস্থানের তিনটি প্রধান বিমানবন্দর আছে - এগুলি হল জয়পুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যোধপুর বিমানবন্দর এবং উদয়পুর বিমানবন্দর। এছাড়া সম্প্রতি চালু হয়েছে বিকানের বিমানবন্দর এবং জৈসলমের বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দরগুলি রাজস্থানের সঙ্গে ভারতের প্রধান শহরগুলির, যেমন দিল্লি এবং মুম্বাইয়ের সংযোগ স্থাপন করে। কোটাতে আরেকটি বিমানবন্দর আছে কিন্তু বাণিজ্যিক / বেসামরিক উড়ানের জন্য এখনও উন্মুক্ত নয়। আজমের এর কিষাণগড় এ কিষানগড় বিমানবন্দরটি ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নির্মাণ করছে।
রেল
রাজস্থান রেলপথ দ্বারা ভারতের প্রধান শহরগুলির সাথে সংযুক্ত। [7] রাজস্থান রাজ্যের প্রধান রেল স্টেশনগুলি হল জয়পুর, কোটা, আজমের, যোধপুর, ভরতপুর, বিকাণের, আলওয়ার, আবু রোড ও উদয়পুর। কোটা সিটি হল একমাত্র বিদ্যুচ্চালিত স্টেশন যেখানে ভারতের তিনটি রাজধানী এক্সপ্রেস এবং দেশের বিভিন্ন প্রধান শহর থেকে ট্রেন আসে। এছাড়াও একটি আন্তর্জাতিক রেলপথে যোধপুর (ভারত) থেকে করাচি (পাকিস্তান) পর্যন্ত থর এক্সপ্রেস চলাচল করে। তবে, এটি বিদেশী নাগরিকদের জন্য খোলা নয়।
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- "Report of the Commissioner for linguistic minorities: 50th report (July 2012 to June 2013)" (PDF)। Commissioner for Linguistic Minorities, Ministry of Minority Affairs, Government of India। পৃষ্ঠা 22। ৮ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪।
- "World Heritage List"।
- R.K. Gupta; S.R. Bakshi (১ জানুয়ারি ২০০৮)। Studies In Indian History: Rajasthan Through The Ages The Heritage Of Rajputs (Set Of 5 Vols.)। Sarup & Sons। পৃষ্ঠা 143–। আইএসবিএন 978-81-7625-841-8।
- "51st REPORT OF THE COMMISSIONER FOR LINGUISTIC MINORITIES IN INDIA" (PDF)। nclm.nic.in। Ministry of Minority Affairs। ১৫ জুলাই ২০১৫। পৃষ্ঠা 44। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- http://www.censusindia.gov.in/2011census/C-16.html
- "Rajasthani language to soon get official status: Meghwal"। www.indiatoday.in। ১৯ অক্টোবর ২০১৬। অজানা প্যারামিটার
|uaaccessdate=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - "Rajasthan Railways"। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬।
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে রাজস্থান সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
{{উইকিসংবাদ}} টেমপ্লেটে একটি নিবন্ধের লিঙ্ক দেয়া প্রয়োজন। একটি বিষয়শ্রেণীর সংযোগ করতে {{উইকিসংবাদ বিষয়শ্রেণী}} ব্যবহার করুন।
- State Government of Rajasthan - Official home page
- Rajasthan Tourism Development Corp. - Official home page
- কার্লি-এ রাজস্থান (ইংরেজি)
- Rajasthan Tourism
- About Rajasthan
![]() |
উইকিভ্রমণে Rajasthan সম্পর্কিত ভ্রমণ নির্দেশিকা রয়েছে। |