রসমঞ্জুরী

রসমঞ্জুরী বাংলার এক বিখ্যাত মিষ্টি। মিষ্টি প্রস্তুত করা হয় দুধ, ছানাক্ষীর ও চিনির দ্বারা। মিষ্টিতে ব্যবহৃত ঘন রসের স্বাদের জন্য এই মিষ্টির নাম রসমঞ্জুরী। গাইবান্ধা জেলার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি এটি। দেখতে রসমালাইয়ের মতো হলেও প্রস্তুত প্রণালির কারণেই এর স্বাদ অনন্য।

রসমঞ্জুরী
উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশ
অঞ্চল বা রাজ্যগাইবান্ধা
প্রধান উপকরণদুধ, ছানা, ক্ষীর
ভিন্নতারসমালাই, ক্ষীরতোয়া
রন্ধনপ্রণালী: রসমঞ্জুরী  মিডিয়া: রসমঞ্জুরী

ইতিহাস

গাইবান্ধা শহরে কমবেশি প্রায় সব মিষ্টির দোকানেই রসমঞ্জুরী পাওয়া যায়। রমেশ ঘোষ, গাইবান্ধা মিষ্টান্ন ভান্ডার, নাড়ু মিষ্টান্ন ভান্ডার, জলযোগসহ সব দোকানেই পাওয়া যায় রসমঞ্জুরী। তবে শুরুটা রমেশ ঘোষের হাত ধরে। দোকানের স্বত্বাধিকারী এখন রমেশ ঘোষের আত্মীয় বাদল চন্দ্র ঘোষ। দোকানের সঙ্গে যুক্ত আছেন রমেশ ঘোষের স্বজনেরাই। ১৯৪৮ সালের জুন মাসে ওডিশার এক কারিগরকে নিয়ে রমেশ ঘোষ শুরু করেন রসমঞ্জুরী বানানো। শুরুতে রসমঞ্জুরীগুলো লম্বা আকারের বানানো হতো। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আকারে বদল এসেছে। এখন এটি গোল করেই বানানো হয়। [1]

প্ৰস্তুত প্রণালী

রসমঞ্জুরীর বড় অংশজুড়ে থাকে দুধ ও ছানা। দুধ ঘন করে ক্ষীর বানানো হয়। এরপর ছানা আর ময়দা মিশিয়ে তৈরি হয় মিষ্টিগুলো। মিষ্টির বেশির ভাগটাই থাকে ছানা। আনেক দোকানে মেশিনে গোল গোল মিষ্টিগুলো বানানো হয়। কোনো কোনো দোকানে এগুলো হাতেও বানানো হয়। মিষ্টিগুলো এরপর চিনির রসে সেদ্ধ করা হয়। এরপর নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় এনে রসে ভেজানো মিষ্টি, ক্ষীরে মেশানো হয়। এই ভাবে প্রস্তুত হয় রসমঞ্জুরী। খুব গরম না পড়লে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা রসমঞ্জুরী ভালো থাকে।

তথ্যসূত্র

  1. "রসমঞ্জরীর রসের জাদু"। প্রথম আলো। ১০ অক্টোবর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৭
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.