মুসা আল কাজিম

'মুসা বিন জাফর আল কাজিম (আরবি: موسى بن جعفر الكاظم) (আবুল হাসান, আবু আবদ আল্লাহ, আবু ইব্রাহিম, এবং আল কাজিম (যিনি নিজের ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন) নামেও পরিচিত) ছিলেন সপ্তম শিয়া ইমাম। তিনি তার পিতা ষষ্ঠ ইমাম জাফর আল-সাদিকের পর ইমাম হন। সুন্নি মুসলমানগণ তাকে একজন খ্যাতিমান জ্ঞান সম্পন্ন আলেম হিসেবে বিবেচনা করেন। তিনি আব্বাসীয় খলিফা আল মনসুর, আল হাদি, আল মাহদি এবং হারুনুর রশিদ এর সমসাময়িক ছিলেন। তিনি বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হন এবং সর্বশেষে তিনি বাগদাদের সিন্দি ইবনে শাহাক কারাগার শাহাদাত বরণ করেন। অষ্টম শিয়া ইমাম আলি আল রিদা এবং ফাতিমা বিনতে মুসা তার সন্তানদের মধ্যে অন্যতম ছিল।[2][11][12][13]

মুসা আল কাজিম
موسى الكاظم  (আরবি)

৭ম দ্বাদশবাদি শিয়া ইমাম
জন্মআনুমানিক (৭৪৫-১১-১০)১০ নভেম্বর ৭৪৫ খ্রিষ্টাব্দ[1]
(৭সফর ১২৮হিজরী)
মৃত্যুআনুমানিক ৪ সেপ্টেম্বর ৭৯৯(799-09-04) (বয়স ৫৩)
(২৫ রজব১৮৩ হিজরী)
মৃত্যুর কারণবিষ প্রয়োগে মৃত্যু
সমাধিআল-কাজিমিয়া মসজিদ, ইরাক
৩৩°২২′৪৮″ উত্তর ৪৪°২০′১৬.৬৪″ পূর্ব
অন্যান্য নামমুসা ইবনে জাফর
উপাধি
স্থিতিকাল৭৬৫-৭৯৯ খ্রিস্টাব্দ
পূর্বসূরীজাফর আল-সাদিক
উত্তরসূরীআলি আল রিদা
দাম্পত্য সঙ্গীউম্মুল বানিন নাজমাহ[5]
and 3 others
সন্তান
পিতা-মাতাজাফর আল-সাদিক
হামিদাহ খাতুন[2][3]

জন্ম এবং প্রাথমিক জীবন

আব্বাসীয় ও উমাইয়াদের মধ্যে দ্বন্দের সময় মুসা আল কাজিম জন্মগ্রহণ করেন। তার বয়স যখন চার বছর তখন প্রথম আব্বাসীয় খলিফা আস সাফাহ ক্ষমতা গ্রহণ করেন। তার মাতা হামিদাহ উত্তর আফ্রিকার বার্বা‌র বা আন্দালুসিয়ার দাসী ছিলেন। আল কাজিম একটি বিশাল পরিবারে বেড়ে উঠেন। এখানে তার নয় বোন এবং ছয় ভাইও এক সাথে বেড়ে উঠেন। তার জ্যেষ্ঠ ভাই ইসমাইল ইবনে জাফর তার পিতা জাফর আল সাদিকের পূর্বেই মারা যান। শিয়া মতাবলম্বীদের মতে, মুসা আল কাজিমকে ঐশ্বরিক বাণীর মাধ্যমে তার পিতার পর পরবর্তী ইমাম হিসেবে মনোনীত করা হয়।[13]

কিছু সূত্রমতে, আল কাজিম শৈশব থেকেই ধার্মিক ছিলেন। মুহাম্মদ বাকির মজলিসি একটি ঘটনায় উপস্থিত ছিলেন যেখানে আবু হানিফা জাফর আল-সাদিককে তার পরামর্শের জন্য ডেকে পাঠান। অন্য আরেকটি ঘটনার প্রসঙ্গক্রমে, আবু হানিফা জাফর আল সাদিককে অভিযোগ করেন:“আমি দেখেছি তোমার ছেলের, মুসা, সামনে দিয়ে যখন লোকজন হেঁটে যায় তখন সে সালাত আদায় করে। সে তাদেরকে হেঁটে যাওয়া থেকে বিরত রাখে না।"[lower-alpha 1]

জাফর আল সাদিক তার ছেলেকে তার সম্মুখে নিয়ে আসার জন্য আদেশ দিলেন এবং তাকে এর সত্যতার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন। আল কাজিম উত্তর দিলেন, “জ্বি বাবা, আমি যার ইবাদত করি তিনি তাদের (যারা সামনে দিয়ে হেঁটে যান), থেকেও খুব নিকটে থাকেন;[lower-alpha 2]

আল্লাহ, মহান এবং পরাক্রমশালী, এরশাদ করেন, আমরা তোমাদের ঘাড়ের শাহ ধমনীর থেকেও নিকটে।"[lower-alpha 3] এই উত্তর শুনে ইমাম তার ছেলেকে জড়িয়ে ধরেন এবং বলেন, “আমার পিতা মাতা তোমার ছায়াতলে থাকুন, ও তিনি সে যার গোপনীয়তা ফাঁস হয়ে গেছে!"[14]

তথূসূত্র

  1. Shabbar, S.M.R. (১৯৯৭)। Story of the Holy Ka’aba। Muhammadi Trust of Great Britain। ২৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০১৩
  2. A Brief History of The Fourteen Infallibles। Qum: Ansariyan Publications। ২০০৪। পৃষ্ঠা 135–143।
  3. "The Infallibles Taken from Kitab al Irshad By Sheikh al Mufid"al-islam.org। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১১-২০
  4. Sharif al-Qarashi, Bāqir. The Life of Imam Musa Bin Ja'far al-Kazim (as). Trans. Jāsim al-Rasheed. Najaf, Iraq: Ansariyan Publications, n.d. Print. Pgs. 59-60, 596, and 622
  5. A Brief History of The Fourteen Infallibles। Qum: Ansariyan Publications। ২০০৪। পৃষ্ঠা 137।
  6. al-Irshad, by Shaikh Mufid [p.303]
  7. Kashf al-Ghumma, by Abu al-Hasan al-Irbili [vol.2, p.90 & 217]
  8. Tawarikh al-Nabi wa al-Aal, by Muhammad Taqi al-Tustari [p. 125-126]
  9. al-Anwar al-Nu`maniyya, by Ni`mat Allah al-Jaza’iri [vol.1, p.380]
  10. Umdat al-Talib, by Ibn Anba [p. 266 {footnote}]
  11. Sharif al-Qarashi2 2000, পৃ. 128
  12. Tabatabai 1975, পৃ. 181
  13. Donaldson, Dwight M. (১৯৩৩)। The Shi'ite Religion: A History of Islam in Persia and Irak। BURLEIGH PRESS। পৃষ্ঠা 152–160।
  14. Sharif al-Qarashi2 2000, পৃ. 198
  1. Muslims are instructed to say their prayer toward a point called Qibla, a point that symbolizes the unity of God. So it is not appropriate traditionally to walk in front of someone who is directing his face toward Qibla.
  2. Meaning "people walking before me does not prevent me from facing God, as God is not at Qibla or in Kaaba as people might imagine, but He is with me".
  3. Quran, 50:16
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.