আলি আল রিদা

'আলি বিন মুসা আল-রেজা (আরবি: علي بن موسى الرضا) মূলত আবু আল-হাসান নামে পরিচিত। এছাড়া আলি আল-রেজা নামেও ডাকা হত। (c. ২৯ ডিসেম্বর ৭৬৫ – ২৩ আগস্ট ৮১৮)[2] বিশেষ ভাবে পরিচিত পারস্যে ইমাম রাজী (ফার্সি: امام رضا)। তিনি ছিলেন তার পিতা মুসা আল-কাদিম এর ও পুত্র মোহাম্মাদ আল-জায়েদ এর পূর্বে নবী মুহাম্মদ এর বংশের অষ্টম শিয়া মুসলিম। মকতব ও সুফি সাক্ষ্য দিয়েছেন, তিনি খুব বুদ্ধিমান ও মেধাবী ছিলেন। তার সময়ে আব্বাসীয় খলিফার শিয়া বিদ্রোহ ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যার জন্য তাকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তখন একটি নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে বসবাস করতেন। খলিফা আল মামুনের পার্থিব বিষয় নিয়ে ইমামের সাথে জড়িত থাকতে হয়। যার কারণে তাকে উত্তরসূরি হিসেবে নিয়োগ করেন এই সমস্যার জন্য একটি সমাধান বের করতে। তিনি তখন একটি আইন বাতলে দেন। তবে আল-মামুনের কাছে ইমাম আরও বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। [4][5]

এটা ইমাম রেজা এর সমাধি মাশহাদএটি ইসলামের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে বেশি পরিদর্শনকৃত পবিত্র স্থান
আলি আল রিজা
علي رضا ع  (আরবি)

অষ্টম দ্বাদশবাদি শিয়া ইমাম
জন্মআনু. (৭৬৬-০১-০১)১ জানুয়ারি ৭৬৬ খ্রীঃ[1]
(১১ জিলকদ ১৪৮ হিজরী)
মদিনা, আব্বাসীয় সম্রাজ্য
মৃত্যুআনু. ২৬ মে ৮১৮(818-05-26) (বয়স ৫৩)
(১৭ই সফর ২০৩ হিজরী)
বৃহঃ, পারস্য, আব্বাসীয় সম্রাজ্য
মৃত্যুর কারণবিষক্রিয়া দ্বারা মৃত্যু অধিকাংশ শিয়া মুসলিমের মতে
সমাধিইমাম রেজার মাজার, ইরান
৩৬°১৭′১৩″ উত্তর ৫৯°৩৬′৫৬″ পূর্ব
অন্যান্য নামআলি ইবনে মুসা
উপাধি
স্থিতিকাল৭৯৯-৮১৯ খ্রীঃ
পূর্বসূরীমুসা আল-কাদিম
উত্তরসূরীমুহাম্মাল আল-যায়েদ
দাম্পত্য সঙ্গীসাবিকা আক-খাইরুন[2]
সন্তানমুহাম্মাল আদ-তক্বী
পিতা-মাতামুসা আল-কাদিম
উম্মে বানিন নাজমা[2]

জন্ম ও পারিবারিক জীবন

১১ই জিলকদ ১৪৮ হিজরী মোতাবেক (২৯ ডিসেম্বর, ৭৬৫ খ্রীঃ) একটি পুত্র সন্তান লাভ করেন মদিনার ইমাম মুসা আল-কাদিম। যে শিশুটি শিয়া ইসলামে দ্বাদশ ইমামের আষ্টম ইমাম হয়ে ছিলেন। তিনি তার নিজ যোগ্যতা দ্বারা বাবার অবস্থান ধরে রাখেন। তিনি হলেন আলি আল-রিদা। মূল নাম আলি, উপাধি আল রিদা বা আল রাজি। তবে তাকে ডাকা হত আবুল হাসান আল তানি নামে। তিনি তার দাদা জাফর আর সাদিকের মৃত্যুর এক মাস পর জন্মগ্রহণ করেন।[6] তার মা নাজমা ছিলেন অত্যন্ত ধার্মিক মহিলা।"[5]

ইমাম হিসেবে পদবী

অষ্টম ইমাম তার বাবার মৃত্যুর পর এক বিষেশ আদেশ বলে বাবার স্থালাভিসিক্ত হন। আর ইমামত এর মত মর্যাদা পূর্ণ আসনে আরোহন করেন। [7] এ সময়ে ইমামের অনেক সঙ্গি হয়েছিল বিশেষ করে মুসা আল-কাদিম[8] যেমন মুখজুমি বলেন এক দিন নির্বাহক এবং উত্তরাধিকারী হিসাবে তাকে ডেকে আমাদের সংগৃহীত এবং অধিকারের কথা উল্লখ করেছেন।" [9]

মক্কা যাওয়ার সময় [[ইয়াজিদ ইবনে সালিত বর্ণানা দিয়েছেন সপ্তম ইমাম প্রথমে আলি ও পরে ইমাম বলে বিবেচিত হবেন। একই কথা বলেন, ইমাম মুসা আল-কাজিম আলী বিন আতিক, থেকে বর্ণিত" "আলী আমার সন্তানদের শ্রেষ্ঠতম এবং আমি তাঁর দিকেই আমার প্রত্যাবর্তণ করেছি।"[10][11]

তাঁর যুগের রাজনৈতিক পরিস্থিতি

বাদশা হরুনুর রশিদ মারা যান ৮০৯ সাল। আর এর পর শুরু হয় বাদশার দুই ছেলে আব্বাসীয় সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রিতিমত যুদ্ধ শুরু করে দেন। এক ছেলে আল-আমিন। তার মা ছিল আরব আর তাই তিনি আরবের সমর্থন লাভ করেছিল এবং তার সৎভাই আল মামুনের মা ছিল ফারসি আর তিনি পারস্যের সমর্থন লাভ করেছিলেন।[12] মামুন তার ভাইকে হারানোর পর তিনি খোরাসান যাওয়ার ডাক পেয়েছিলেন। .[13] Firstly, Ma'mun offered al-Ridha the caliphate. পরে তিনি বুঝতে পারে বিষয়টি ছিল রাজনৈতিক খেলা।[14]

আলী আল-রিদার তার ভাইদের উপদেশ

ইমাম আলি আল-রাদির মাজার সরণি মাশহাদ, খোরাসান

বিতর্ক

এ টা সেই কোরআন,যার লিপি আলি আল-রিদা লিখেছেন, বর্তমানে এটি কোম জাদুঘর, ইরান এ সংরক্ষিত আছে।

কর্মসমূহ

আল-রিসালাহ আল-দাহবানিহ

সহিফাহ

আইন আল আকবার আর রিদা

ফিকহুর রিদা

সুফিবাদ থেকে সংযোগ

নিদ্ধারিত আহকাম

মৃত্যু

রেজা মসজিদের ইমাম

আরো দেখুন

  • আলী আল-হাদী
  • হাজর খাতুন মসজিদ
  • হাসান আল-আসকারি
  • হাসান ইবনে আলী
  • মুহাম্মাদ আল বাকের
  • মুহাম্মাদ আল-মাহদী
  • মুসা আল-কাজিম
  • গোল্ডেন চেইন এর হাদীস
  • আল-রিসালাহ আল-দাহবানিহ
  • আল-Sahifat আল-রিদা

টীকা

    তথ্যসূত্র

    1. Shabbar, S.M.R. (১৯৯৭)। Story of the Holy Ka'aba। Muhammadi Trust of Great Britain। ২২ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০১৩
    2. A Brief History of The Fourteen Infallibles। Qum: Ansariyan Publications। ২০০৪। পৃষ্ঠা 137।
    3. al-Qummi, Shaykh Abbas (১৯৯৮)। "2"। The Last Journey, Translation of Manazile Akherah। Aejazali Turabhusain Bhujwala। Qum: Imam Ali Foundation। পৃষ্ঠা 62–64।
    4. Tabåatabåa'åi, Muhammad Husayn (১৯৮১)। A Shi'ite Anthology। Selected and with a Foreword by Muhammad Husayn Tabataba'i; Translated with Explanatory Notes by William Chittick; Under the Direction of and with an Introduction by Hossein Nasr। State University of New York Press। পৃষ্ঠা 49–50 & 138–139। আইএসবিএন 9780585078182।
    5. Donaldson, Dwight M. (১৯৩৩)। The Shi'ite Religion: A History of Islam in Persia and Irak। BURLEIGH PRESS। পৃষ্ঠা 161–170।
    6. W. Madelung (১ আগস্ট ২০১১)। "ALĪ AL-REŻĀ, the eighth Imam of the Emāmī Shiʿites."Iranicaonline.org। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৪
    7. Tabasi, Mohammad Mohsen (2007)। "Imam Ridha in the narrations of Ahl al-Sunnah"Kowsar Culture (72): 67। সংগ্রহের তারিখ September 2014 এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
    8. Al-Kulayni Arazi, Sheikh Abu Jafar Muhammad Ibn Yaqub Ibn Isha। Al Kafi। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০১৫
    9. Tabarsi, Fazl ibn HassanElam al-Vora Be-A'lam al-Hoda। Vol. 2। পৃষ্ঠা 50।
    10. Sykes, Sir Percy (২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। A History Of Persia। Routledge। পৃষ্ঠা 2–। আইএসবিএন 978-1-136-52597-1।
    11. Dungersi, Mohammed Raza (১৯৯৬)। A Brief Biography of Imam Ali bin Musa (a.s.): al-Ridha। Bilal Muslim Mission of Tanzania। পৃষ্ঠা 6–। আইএসবিএন 978-9976-956-94-8।

    বহিঃসংযোগ

    টেমপ্লেট:Shia Imams

    This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.