ইমাম রেজার মাজার

ইমাম রেজার মাজার ইরানের মাশহাদে অবস্থিত ইসলাম ধর্মের বার ইমামের অন্তর্ভুক্ত অষ্টম ইমাম ইমাম রেজার মাজার শরীফ। মাজার শরীফের ভবনটিতে একটি জাদুঘর রয়েছে। আয়তনের দিক থেকে এই মসজিদটি পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ এবং ধারন ক্ষমতার দিক থেকে দ্বিতীয় সর্ব বৃহৎ মসজিদ। ভবনটির সাথে ঘোহারশাদ মসজিদ, একটি জাদুঘর, একটি পাঠাগার, চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান[1], একটি সমাধি ক্ষেত্র, রাজাভী ইউনিভার্সিটি অব ইসলামিক সায়েন্সেস, জিয়ারতকারীদের জন্য খাবার ঘর, সালাত আদায়ের জন্য বিশাল কক্ষ এবং আরো অনেক ভবন রয়েছে।

ইমাম রেজার পবিত্র মাজার শরীফ
হারামে মোতাহারে রাজাভী
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
শাখা/ঐতিহ্যআহলে বায়াত
নেতৃত্বImam(s):
Ahmad Alamolhoda
অবস্থান
অবস্থানমাশহাদ, ইরান
প্রশাসনAstan Quds Razavi
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
প্রতিষ্ঠার তারিখ৮১৮ খ্রিস্টাব্দ
নির্দিষ্টকরণ
ধারণ ক্ষমতা৫০০০০০
মিনারসমূহ
মিনারের উচ্চতা৪১ মি (১৩৫ ফু)
ওয়েবসাইট
www.aqr.ir

ইরানের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ইমাম রেজার মাজার ভবনটি অন্যতম একটি।[2][3] মাজার ভবনটির একার আয়তন ২৬৭,০৭৮ মিটার যেখানে মাজারের সাতটি প্রাঙ্গনের আয়তন ৩৩১,৫৭৮ মিটার - মোট ৫,৯৮,৬৫৭ মি (৬৪,৪৩,৮৯০ ফু).[4] প্রতি বছর ইমাম রেজার মাজারে ডাস্ট ক্লিয়ারিং উৎসব পালিত হয়।[5]

ইতিহাস

প্রাথমিক সময়

বিবরণ

বালা সারর মসজিদ

মসজিদের গম্বুজের সাথে প্রধান মিনারত

হেরেমের পশ্চিম পাশে একটি মসজিদ রয়েছে। মসজিদটির নাম বালা সার মসজিদ যার অর্থ মাথার উপর। মজসিদটির এরূপ নামকরণ করার কারণ হল জিয়ারতকারীরা মসজিদটিতে ইমাম রেজার রওজার পশ্চিম দিক থেকে প্রবেশ করে। মাশহাদের পুরাতন মসজিদগুলোর মমধ্যে বাকা সার মমসজিদটি অন্যতম এবং মসজিদটি মাহমুদ গজনীর শাসন আমলের সময় নির্মিত হয়েছিল।

দারর-আল রহমান উদ্যান

এই বারান্দা বা উদ্যানটির মোট আয়তন ৩৬৫ বর্গ মিটার এবং এটি শানে জামহুরি ই ইসলামি এর পূর্ব পাশে অবস্থিত। এটিতে সোনালি রং করা হয়েছে এবং ১৩৭১ হিজরীতে উদ্যানটির উদ্বোধন কর হয়। এখানকার অন্যান্য উদ্যানগুলো হল দর-আল এখলাস, দার-আল-শুকর, দার-আল-সালাম এবং দার-আল- যেকর

আল্লাহভের্দি খান গম্বুজ

আল্লাহভের্দি খানের মাজারের উপর অষ্টকোণী এই গম্বুজটি নির্মাণ করা হয়। আল্লাহভের্দি খান শাহ আআব্বাসের সেনাপতিদের একজন ছিলেন। এটি হেরেমের উত্তর-পূর্ব পাশে অবস্থিত এবং রঙ্গিন টাইলস ও অপরূপ কারুকার্যে সজ্জিত করা হয়েছে। হেরেমের মধ্যে অবস্থিতত কারুকার্যগুলোী মধ্যে এটি অন্যতম।

হাতেম খানি গম্বুজ

এই গম্বুজটি হেরেমের পূর্ব পাশে অবস্থিত। শাহ আব্বাসের অন্যতম মন্ত্রী হাতেম বেইক অর্দবাদি ১০১০ হিজরীতে গম্বুজটি নির্মাণ করেন।

সোনালী গম্বুজ

ছবির মাঝখানে সোনালী গম্বুজটি দেখা যাচ্ছে।

ইমাম রিধার রওজার উপর অবস্থিত সোনালী রঙের গম্বুজটি বেশ গুরুত্ববহন করে। গম্বুজটির উচ্চতা ৩১.২০ মিটার। আলী রেজা আব্বাসসী গম্বুজটির চারপাশে বিশাল লিপি অঙ্কন লরেছেন।

কোরআনের জাদুঘর

জাদুঘরটি আস্তান কুদস জাদুঘরের পাশেই অবস্থিত। জাদুঘরটিতে পবিত্র কোরআন শরীফের মূল্যবান পান্ডুলিপি সংরক্ষিত রয়েছে। পান্ডুলিপিগুলোর মধ্যে কয়েকটি পান্ডুলিপি সোনালী অক্ষরে লেখা হয়েছে। ১৩৬৪ হিজরীতে জাদুঘরটি উদ্বোধন করা হয়। সবচেয়ে পুরাতন পান্ডুলিপিটি হরিণের চামড়ায় কুফি লিপিতে লেখা হয়েছিল এবং এটি প্রথম হিজরী শতাব্দীতে লেখা হয়েছিল।

তথ্যসূত্র

  1. "The Islamic Seminaries At The Holy Shrine"Imam Reza (A.S.) Network। ২০০৮-০৫-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২৬
  2. "Sacred Sites: Mashhad, Iran"। sacredsites.com। ২০১০-১১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৩-১৩
  3. "Religious Tourism Potentials Rich"Iran Daily। জুন ১২, ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২৫
  4. "The Glory of the Islamic World"Imam Reza (A.S.) Network। ২০১০-০৬-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২৫
  5. "غبارروبی حرم رضوی توسط امام خامنه ای"آپارات
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.