মজঃফরনগর জেলা
মজঃফরনগর জেলা হল উত্তর ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের একটি জেলা। এটি সাহারানপুর বিভাগের একটি অংশ। মজঃফরনগর শহরটি জেলা সদর। এই জেলাটি জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের অংশ।
মজঃফরনগর জেলা | |
---|---|
উত্তর প্রদেশের জেলা | |
![]() উত্তরপ্রদেশে মজঃফরনগর জেলার অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | উত্তরপ্রদেশ |
বিভাগ | সাহারানপুর |
সদর দপ্তর | মজঃফরনগর |
তহশিল | সদর, বুধনা, জনসাথ, খাতৌলি |
সরকার | |
• লোকসভা কেন্দ্র | মজঃফরনগর |
• বিধানসভা কেন্দ্রগুলি | মজঃফরনগর, বুধনা, চরতওয়াল, খাতৌলি, মীরাপুর, পুরকাজী |
আয়তন | |
• মোট | ২৯৯১ কিমি২ (১১৫৫ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৪১,৪৩,৫১২ |
• জনঘনত্ব | ১৪০০/কিমি২ (৩৬০০/বর্গমাইল) |
জনসংখ্যার উপাত্ত | |
• সাক্ষরতা | ৬৯.১২ শতাংশ[1] |
• যৌন অনুপাত | ৮৮৯/১০০০ |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
প্রধান মহাসড়ক |
|
ওয়েবসাইট | http://muzaffarnagar.nic.in/ |
ইতিহাস
মধ্যযুগীয় সময়কাল
মজঃফরনগরের প্রথম মধ্যযুগীয় ইতিহাস ইন্দো-মুঘল আমল অবধি অস্পষ্ট। তৈমুরের সেনাবাহিনী ১৩৯৯ সালে এই অঞ্চল দিয়ে দিল্লির পথে চলেছিল; এখানকার লোকেরা তাদের বাধা দিতে ব্যর্থ হয়েছিল। মুঘল সম্রাট আকবরের সময়, মজঃফরনগর জেলার বেশিরভাগ অংশ, সারওয়াত নামে পরিচিত ছিল। তখন এই অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করত গ্রামের তাগা / ত্যাগী ব্রাহ্মণদের মহল। তারা সাহারানপুরের সরকারের (বৃত্ত) অন্তর্ভুক্ত ছিল। আকবর সরওয়াতের পরগনা সৈয়দ মাহমুদ খান বরাহকে দান করেছিলেন তিনি এবং তাঁর বংশধরেরা ১৭শ শতাব্দী পর্যন্ত এই অঞ্চল শাসন করেছিলেন। খাঁ জাহান লোদি হিসাবে নিজেকে জাহির করা, পীর খান লোদিকে হত্যার পরে, শাহ জাহান মৃত পীর খান লোদির উপাধি এবং সরওয়াতের পরগনা দিয়েছিলেন সৈয়দ মোজাফফর খান বারহাকে। তাঁ পুত্র মুনাওয়ার লস্কর খান বারহা এই শহরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং পিতার সম্মানে নামকরণ করেছিলেন মজঃফরনগর, এবং সরওয়াতও মজঃফরনগর হয়ে গেল।[2]
আধুনিক যুগ
বিংশ শতাব্দীতে, মজঃফরনগর জেলা, ঘন ঘন লুটপাট, খুন, অপহরণ এবং ডাকাতির ঘটনার জন্য কুখ্যাতি অর্জন করেছিল।[3]
ব্লক সমূহ
জেলাটি ৯ টি ব্লকে[4] ভাগে বিভক্ত, এগুলি হল: ১. মোজাফফরনগর ২. বুধনা ৩. বাঘরা ৪. শাহপুর ৫. পূর্বকাজী ৬. চরতওয়াল ৭. মোরনা সুকার্তালের কাছে (ঐতিহাসিক স্থান) ৮. জনসাথ ৯. খাতৌলি।
জনসংখ্যার উপাত্ত
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে মজঃফরনগর জেলার জনসংখ্যা ৪,১৪৩,৫১২,[6] লেবানন[7] বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অরেগনের জনসংখ্যার প্রায় সমান।[8] জনসংখ্যার ভিত্তিতে এটি ভারতে ১২৫ তম স্থান অর্জন করেছে (মোট ৬৪০ জেলার মধ্যে)[6] জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব ৯৬০ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (২,৫০০ জন/বর্গমাইল)।[6] এর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০০১ - ২০১১ এর দশকে ১৬.৮% ছিল।[6] মজঃফরনগরে প্রতি এক হাজার পুরুষের জন্য ৮৮৬ জন মহিলা (যৌন অনুপাত) রয়েছে,[6] এবং একটি সাক্ষরতার হার ৭০.১১%।[6]
এই জেলার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০%ই সংখ্যালঘু জনসংখ্যা। [9]
ভারতের ২০১১ সালের আদমশুমারির সময়ে এই জেলার জনসংখ্যার ৮৭.০২% লোক হিন্দিতে এবং ১২.৫৮% উর্দুতে তাদের প্রথম ভাষা হিসাবে কথা বলত।[10]
ঐতিহাসিক জনসংখ্যা | ||
---|---|---|
বছর | জন. | ব.প্র. ±% |
১৯০১ | ৮,৬৭,১৭৭ | — |
১৯১১ | ৭,৯৯,৩৩১ | −০.৮১% |
১৯২১ | ৭,৮৬,১৮৭ | −০.১৭% |
১৯৩১ | ৮,৮৫,৮৭৭ | +১.২% |
১৯৪১ | ১০,৪৬,৩৮২ | +১.৬৮% |
১৯৫১ | ১২,০৯,৭৭১ | +১.৪৬% |
১৯৬১ | ১৪,২৯,৯৬১ | +১.৬৯% |
১৯৭১ | ১৭,৮১,৫৭৯ | +২.২২% |
১৯৮১ | ২২,৪৮,৪৮৩ | +২.৩৫% |
১৯৯১ | ২৮,৪২,৫৪৩ | +২.৩৭% |
২০০১ | ৩৫,৪৩,৩৬২ | +২.২৩% |
২০১১ | ৪১,৪৩,৫১২ | +১.৫৮% |
সূত্র:[11] |
শিক্ষা
চৌধুরী চৌধুরী চরণ সিংহ বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত মজঃফরনগর মেডিকেল কলেজ এই জেলায় অবস্থিত।
তথ্যসূত্র
- "District-specific Literates and Literacy Rates, 2011"। Registrar General, India, Ministry of Home Affairs। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১০-১০।
- "Brief District History"। Muzaffarnagar district website। ২০১৩-০৯-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৯-০৯।
- "The streets of fear"। India Today। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১৭।
- "Administration"। Muzaffarnagar.nic.in। ২০১২-০৫-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৮-০৮।
- "Muzaffarnagar Religion Census 2011"। Office of the Registrar General and Census Commissioner, India। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-১২।
- "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।
- US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০১।
Albania 2,827,800 July 2011 est.
- "2010 Resident Population Data"। U. S. Census Bureau। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।
Oregon 3,831,074
- "Archived copy"। ১৭ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১।.
- 2011 Census of India, Population By Mother Tongue
- Decadal Variation In Population Since 1901