আজমগড় জেলা
আজমগড় জেলা হল ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের আজমগড় বিভাগের তিনটি জেলার মধ্যে একটি।
আজমগড় জেলা | |
---|---|
উত্তর প্রদেশের জেলা | |
![]() উত্তরপ্রদেশে আজমগড় জেলার অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | উত্তরপ্রদেশ |
বিভাগ | আজমগড় |
সদর দপ্তর | আজমগড় |
সরকার | |
• লোকসভা কেন্দ্রগুলি | আজমগড়, লালগঞ্জ |
আয়তন | |
• মোট | ৪০৫৪ কিমি২ (১৫৬৫ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৪৬,১৩,৯১৩ |
• জনঘনত্ব | ১১০০/কিমি২ (২৯০০/বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ৮.৫৩ |
জনসংখ্যার উপাত্ত | |
• সাক্ষরতা | ৭০.৯৩% |
• যৌন অনুপাত | ১০১৯ |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
প্রধান মহাসড়ক |
|
ওয়েবসাইট | http://azamgarh.nic.in/ |
ব্যুৎপত্তি
জেলার সদর শহর, আজমগড়ের নামানুসারে এই জেলার নামকরণ করা হয়েছে। বিক্রমজিতের পুত্র আজম, ১৬৬৫ সালে এই শহরটি প্রতিষ্ঠা করেন। নিজামবাদের পরগনার মেহনগরের গৌতম রাজপুত বংশোদ্ভূত বিক্রমজিৎ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তার দুটি পুত্র ছিল, আজম ও আজমত।[1] এটি ঋষি দুর্বাসার স্থান হিসাবেও পরিচিত, তাঁর আশ্রমটি টন এবং মাঝুই নদীর সঙ্গমের কাছে ফুলপুর উপ-জেলায় ছিল,[2] ,ফুলপুর উপ-জেলা সদর থেকে ৬ কিলোমিটার (৪ মা) উত্তরে।
ইতিহাস
ঐতিহাসিক জনসংখ্যা | ||
---|---|---|
বছর | জন. | ব.প্র. ±% |
১৯০১ | ১১,০৩,৪৬৯ | — |
১৯১১ | ১০,৬৩,৯৫১ | −০.৩৬% |
১৯২১ | ১০,৮৯,৪৭১ | +০.২৪% |
১৯৩১ | ১১,২০,০৫৯ | +০.২৮% |
১৯৪১ | ১২,৯৮,৯৯২ | +১.৪৯% |
১৯১ | ১৪,৯৮,০৯২ | +০.০১% |
১৯৬১ | ১৬,৯০,৫৩৬ | +০.০১% |
১৯৭১ | ১৯,৯৫,৬৮৫ | +১.৬৭% |
১৯৮১ | ২৪,৯৩,৭৫৭ | +২.২৫% |
১৯৯১ | ৩১,২৮,৬২৩ | +২.২৯% |
২০০১ | ৩৯,৩৯,৯১৬ | +২.৩৩% |
২০১১ | ৪৬,১৩,৯১৩ | +১.৫৯% |
সূত্র:[3] |
ষোড়শ শতকের শেষের দিকে, আজমগড় জেলা থেকে একজন গৌতম রাজপুত দিল্লির মুঘলরাজদরবারে অন্তর্ভুক্ত হন। সেখানে তিনি আরও বেশি প্রতিপত্তি অর্জনের সন্ধানে গিয়েছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য সফল হয়েছিল, রাজদরবার থেকে অবশেষে তাঁকে আজমগড় অঞ্চলে ২২টি পরগনা পুরস্কার প্রদান করা হয়। এখান থেকে একটি পারিবারিক বংশলতিকা শুরু হয়, যে বংশের বংশধরেরা এই অঞ্চলের রাজা হয়ে ওঠেন। এটি উন্নতির একটি সাধারণ রাস্তা, এইভাবে অখ্যাত কোন বংশ প্রভাবশালী হয়ে উঠতে পারে।[4]
ঔপনিবেশিক যুগ
১৮০১ সালে, লখনউ এর ওয়াজিররা জেলাটিকে ব্রিটিশদের হাতে তুলে দেয়। আজমগড়ের হিন্দু ও মুসলমান উভয় ধর্মের ভূমি মালিকেরাই (রৌতারা নামে পরিচিত) ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সিপাহী বিদ্রোহে সহায়তা করেছিলেন। ১৮৫৭ সালের ৩রা জুন স্থানীয় পদাতিক সৈন্যবাহিনীর ১৭তম রেজিমেন্ট আজমগড়ে বিদ্রোহ করেছিল, তারা তাদের কয়েকজন অফিসারকে হত্যা করেছিল এবং সরকারী সম্পত্তি লুট করে ফৈজাবাদ নিয়ে যায়। জেলাটি গোর্খা ও বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল, কর্নেল কেলি ১৮৫৮ সালের অক্টোবরে এই অবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে আনেন।[5] সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য বিদ্রোহী ছিলেন প্রয়াত জনাব লাল মোহাম্মদ চিভতাভিন। পরবর্তীকালে অনেক স্থানীয় ভূমি মালিক ব্রিটিশদের দ্বারা চূর্ণ হয়ে যায়।[6] পরবর্তীতে, আজমগড়ের বাসিন্দারা ১৯৪২ সালে অসহযোগ আন্দোলন এবং ভারত ছাড়ো আন্দোলন-সহ বিভিন্ন জাতীয় আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন।[1] ঐতিহাসিক, সমাজ সংস্কারক, জাতীয়তাবাদী রাহুল সাংকৃত্যায়ন এই জেলার কানাইলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
ভূগোল
আজমগড় জেলাটি ৪,০৫৪ বর্গকিলোমিটার (১,৫৬৫ মা২) এলাকা জুড়ে রয়েছে। জেলাটি গঙ্গা এবং ঘাগরা নদীর মধ্যে অবস্থিত।[1] আজমগড় জেলার পূর্বদিকে আছে মউ, উত্তরে গোরক্ষপুর, দক্ষিণ-পূর্বে গাজীপুর, দক্ষিণ-পশ্চিমে জৌনপুর, পশ্চিমে সুলতানপুর এবং উত্তর-পশ্চিমে আম্বেদকর নগর জেলা।[7]
জমির ঢাল উত্তর-পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বিস্তৃত। মোটামুটিভাবে বলতে গেলে, জেলাটি সমান্তরাল শৈলশিরার একটি ধারা নিয়ে গঠিত, যার শিখরগুলি নদীর প্রবাহ বরাবর সমতল বা ফাঁপা হয়ে পড়েছে; শৈলশিরার মাঝে মাঝে ধানের জমি, এবং তারই মধ্যে বহু প্রাকৃতিক জলাশয়।[5]
আজমগড় জেলাটি ৭টি উপজেলা এবং ২২টি ব্লকে বিভক্ত। জেলায় ৪,১০৬টি গ্রাম (৩,৭৯২টি জনবসতিপূর্ণ এবং ৩১৪টি বসতিহীন) রয়েছে।[1]
তথ্যসূত্র
- "Azamgarh"। Azamgarh district administration। ২৯ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১০।
- ""Durvasa Ashram in Azamgarh official public information web page""। ৭ জুন ২০০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৯।
- Decadal Variation In Population Since 1901
- Fox, Richard Gabriel (১৯৭১)। Kin, Clan, Raja, and Rule: Statehinterland Relations in Preindustrial India। University of California Press। পৃষ্ঠা 106–107। আইএসবিএন 978-0-52001-807-5।
- One or more of the preceding sentences একটি প্রকাশন থেকে অন্তর্ভুক্ত পাঠ্য যা বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনে: চিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। "Azamgarh"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ। 3 (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা 79।[[বিষয়শ্রেণী:উইকিসংকলনের তথ্যসূত্রসহ ১৯১১ সালের এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা থেকে উইকিপিডিয়া নিবন্ধসমূহে একটি উদ্ধৃতি একত্রিত করা হয়েছে]]
- http://chestofbooks.com/reference/Encyclopedia-Britannica-1/Azamgarh.html
- "Azamgarh"। UP online। ১৪ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১০।