রায়বেরেলী জেলা
রায়বেরেলী জেলা অথবা রায় বেরেলি জেলাও লেখা হয়, এটি উত্তর ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের একটি জেলা। রায়বেরেলী শহরটি জেলা সদর। জেলাটি লখনউ বিভাগের অন্তর্গত।
রায়বেরেলী জেলা | |
---|---|
উত্তর প্রদেশের জেলা | |
![]() উত্তর প্রদেশে রায়বারেলি জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক (রায়বেরেলী): ২৬°১৩′৪৮″ উত্তর ৮১°১৪′২৪″ পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | উত্তরপ্রদেশ |
বিভাগ | লখনউ |
সদর দপ্তর | রায়বেরেলী |
তহশিল | রায়বেরেলী |
সরকার | |
• লোকসভা কেন্দ্রগুলি | ১. রায়বেরেলী (লোকসভা কেন্দ্র)- বাছরাওয়ান, হরচন্দপুর, রায়বেরেলী, সরেণী, উনচাহার ২. আমেঠি (লোকসভা কেন্দ্র) (আংশিক) - সালন |
• বিধানসভা কেন্দ্রগুলি | ১. বাছরাওয়ান ২. হরচন্দপুর ৩. রায়বেরেলী ৪. সালন ৫. সরেণি ৬. উনচাহার [1] |
আয়তন | |
• মোট | ৪৬০৯ কিমি২ (১৭৮০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৩৪,০৫,৫৫৯ |
• জনঘনত্ব | ৭৪০/কিমি২ (১৯০০/বর্গমাইল) |
জনসংখ্যার উপাত্ত | |
• সাক্ষরতা | ৭০% |
• যৌন অনুপাত | ৯৪১ |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
প্রধান মহাসড়ক | এনএইচ ৩০, এনএইচ ৩১, এনএইচ ৩৩০এ, এনএইচ ১২৮; এনএইচ ৩৩৫ |
ওয়েবসাইট | http://raebareli.nic.in/ |
ভূগোল
জেলাটি মোট ৪,৬০৯ বর্গ কিমি অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত। জেলার প্রধান নদী হল - গঙ্গা এবং সাঁই। প্রথমটি ডালমৌয়ের কাছে ৫৪ মাইল ধরে এই জেলার কিনারা দিয়ে গেছে এবং ৪০ টন ওজনের নৌকাগুলি এর ওপর দিয়ে যেতে পারে; দ্বিতীয় নদীটি উত্তর পশ্চিম দিক থেকে দক্ষিণ পূর্ব দিকে বয়ে গেছে। এখানকার প্রধান ফসল হল - চাল, ডাল, গম, যব, বাজরা এবং পোস্ত। রায়বেরেলি শহরটি আওধ ও রোহিলখণ্ড রেলপথের একটি শাখা দ্বারা লখনউ শহরের সাথে যুক্ত, যা ১৮৯৮ সালে বারাণসী পর্যন্ত প্রসারিত হয়েছিল।
অর্থনীতি
২০০৬ সালে, পঞ্চায়েতী রাজ্য মন্ত্রক, দেশের ২৫০টি সর্বাধিক পিছিয়ে পড়া জেলার মধ্যে রায়বেরেলীকে একটি বলে ঘোষণা করে (মোট ৬৪০টি জেলার মধ্যে)।[2] এটি, উত্তরপ্রদেশের ৩৪টি জেলার মধ্যে একটি, যা বর্তমানে পশ্চাদপদ অঞ্চল অনুদান তহবিল কর্মসূচী (বিআরজিএফ) থেকে অনুদান পাচ্ছে।[2]
কেন্দ্রীয় সরকারের ভারতের স্মার্ট সিটি কর্মসূচির মাধ্যমে সহায়তা পাওয়ার জন্য রাজ্য সরকার রায়বেরেলীকে মনোনীত করেছিল। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের আরও কিছু রাজ্যের সঙ্গে রায়বেরেলীও স্মার্ট সিটির জন্য তকমা পেতে ব্যর্থ হয়।[3]
এই জেলার উনচাহারে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে (ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশন, এনটিপিসি)।[4]
জনসংখ্যার উপাত্ত
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে রায়বেরেলী জেলার জনসংখ্যা ৩,৪০৫,৫৫৯ জন।[5] এই জনসংখ্যা পানামা[6] বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাট অঞ্চলের জনসংখ্যার প্রায় সমান।[7] জনসংখ্যার ভিত্তিতে ভারতে এর স্থান ৯৭তম (মোট ৬৪০ জেলার মধ্যে)। জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব ৭৩৯ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (১,৯১০ জন/বর্গমাইল)। এর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০০১ - ২০১১ এর দশকে ১৮.৫১% ছিল। রায়বেরেলীতে প্রতি এক হাজার পুরুষের জন্য ৯৯১ মহিলা (লিঙ্গ অনুপাত) রয়েছে, এবং এখানে সাক্ষরতার হার ৬৯.০৪%।
ঐতিহাসিক জনসংখ্যা | ||
---|---|---|
বছর | জন. | ব.প্র. ±% |
১৯০১ | ১০,৩৩,৫৭১ | — |
১৯১১ | ১০,১৬,৬৮৯ | −০.১৬% |
১৯২১ | ৯,৩৬,৪৪২ | −০.৮২% |
১৯৩১ | ৯,৭৪,২৩৭ | +০.৪% |
১৯৪১ | ১০,৬৫,২৯৬ | +০.৯% |
১৯৫১ | ১১,৫৭,৪৬১ | +০.৮৩% |
১৯৬১ | ১৩,১৬,০৯৫ | +১.২৯% |
১৯৭১ | ১৫,০৪,১৮৭ | +১.৩৪% |
১৯৮১ | ১৮,৭৯,২৪৮ | +২.২৫% |
১৯৯১ | ২৩,০৯,৯২৮ | +২.০৮% |
২০০১ | ২৮,৭২,৩৩৫ | +২.২% |
২০১১ | ৩৪,০৫,৫৫৯ | +১.৭২% |
সূত্র:[8] |
তথ্যসূত্র
- "Constituencies"। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৮।
- Ministry of Panchayati Raj (৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯)। "A Note on the Backward Regions Grant Fund Programme" (PDF)। National Institute of Rural Development। ৫ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১।
- "Government names nine new smart cities. Read more at: //economictimes.indiatimes.com/articleshow/62569505.cms?from=mdr&utm_source=contentofinterest&utm_medium=text&utm_campaign=cppst"। The Economic Times। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৯।
|title=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - "Explosion at Indian Coal Power Plant Kills 29, Injures 85""। Bloomberg.com। ২ নভেম্বর ২০১৭।
- "Rae Bareli District : Census 2011-2019 data"। Census 2011। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৯।
- US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০১।
Panama 3,460,462 July 2011 est.
- "2010 Resident Population Data"। U. S. Census Bureau। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।
Connecticut 3,574,097
- Decadal Variation In Population Since 1901
- 2011 Census of India, Population By Mother Tongue
- M. Paul Lewis, সম্পাদক (২০০৯)। "Awadhi: A language of India"। Ethnologue: Languages of the World (16th সংস্করণ)। Dallas, Texas: SIL International। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৮।