মউ জেলা
মৌ বা মউ জেলা আরতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের একটি অন্যতম জেলা। মৌ শহর হচ্ছে জেলা সদর যা পূর্ব উত্তর প্রদেশের তাঁত শাড়ি উৎপাদনের অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি। ১৯৮৮ সালের ১৯ নভেম্বর মৌ জেলা আজমগড় থেকে আলাদা জেলা হিসাবে উৎকীর্ণ হয়। এটি রাজ্যের দক্ষিণ-পূর্বাংশে অবস্থিত এবং সদর দপ্তর মৌনাথ ভঞ্জনে অবস্থিত। জেলাটি দক্ষিণে গাজীপুর জেলা, পূর্বে বালিয়া জেলা, পশ্চিমে আজমগড় জেলা এবং উত্তরে গোরখপুর ও দেওরিয়া জেলা দ্বারা বেষ্টিত।
মৌ জেলা | |
---|---|
উত্তর প্রদেশের জেলা | |
![]() উত্তর প্রদেশের মৌ জেলার অবস্থান | |
দেশ | ![]() |
রাজ্য | উত্তর প্রদেশ |
বিভাগ | আজমগড় |
সদর দপ্তর | মৌ |
তহশিল | মৌ ঘৌসি |
সরকার | |
• লোকসভা | ঘৌসি |
• বিধানসভা | ঘৌসি, মধুবন, মৌনাথ ভঞ্জন (সদর), মোহাম্মদবাদ গোহানা |
আয়তন | |
• মোট | ১৭১৩ কিমি২ (৬৬১ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২২,০৫,১৭০ |
• জনঘনত্ব | ১৩০০/কিমি২ (৩৩০০/বর্গমাইল) |
জনমিতি | |
• সাক্ষরতা | ৭৫.১৬ শতাংশ |
• লিঙ্গ অনুপাত | ৯০ |
সময় অঞ্চল | আইএসটি(+০৫:৩০) |
প্রধান মহাসড়ক | NH-29 |
ওয়েবসাইট | http://mau.nic.in/ |
ইতিহাস
ঐতিহাসিক জনসংখ্যা | ||
---|---|---|
বছর | জন. | ব.প্র. ±% |
১৯০১ | ৪,৮৬,৯৪৯ | — |
১৯১১ | ৪,৬৪,৪৭২ | −০.৪৭% |
১৯২১ | ৪,৭৩,৯৩৫ | +০.২% |
১৯৩১ | ৪,৯০,০৫২ | +০.৩৩% |
১৯৪১ | ৫,৬৭,৮৫১ | +১.৪৮% |
১৯৫১ | ৬,৫৪,২০৮ | +১.৪৩% |
১৯৬১ | ৭,৬৮,১৫৭ | +১.৬২% |
১৯৭১ | ৯,২৬,২৬৩ | +১.৮৯% |
১৯৮১ | ১১,২৬,৮৭৯ | +১.৯৮% |
১৯৯১ | ১৪,৪৬,৫৫৩ | +২.৫৩% |
২০০১ | ১৮,৫৪,৯৫০ | +২.৫২% |
২০১১ | ২২,০৫,৯৬৮ | +১.৭৫% |
উৎস:[1] |
ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে অঞ্চলের মধ্যে মৌ হচ্ছে একমাত্র প্রাচীনতম জায়গা। প্রাচীন মানব সাংস্কৃতিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষ একাধিক স্থানে পাওয়া যায় যা এই অঞ্চলে মানুষের বসবাসের দীর্ঘ ইতিহাসের যথেষ্ট প্রমাণ দেয়। মৌ এর পরিচিত প্রত্নতাত্ত্বিক ইতিহাস প্রায় ১৫০০ বছর পুরনো, যখন পুরো অঞ্চলটি ঘন ঘন বনে ঢাকা ছিল। যারা তমসা নদীর তীরে বসবাস করত, তারা প্রাচীনতম বাসিন্দা এবং এই অঞ্চলের শাসক হিসাবে বিবেচিত হয়।[2]