ভিসেন্তে ফিওলা
ভিসেন্তে ইতালো ফিওলা (ইংরেজি: Vicente Ítalo Feola; জন্ম: ২০ নভেম্বর, ১৯০৯ - মৃত্যু: ২৬ নভেম্বর, ১৯৭৫) সাও পাউলোতে জন্মগ্রহণকারী ইতালিয় ভাষাভাষী ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের কোচ ছিলেন। তবে তিনি সর্বসমক্ষে ভিসেন্তে ফিওলা নামেই পরিচিত ছিলেন। সাঁউ পাউলুতেই তিনি বসবাস করতেন ও সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৫৮ সালে জাতীয় ফুটবল দলকে প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপের শিরোপা লাভে তার অনবদ্য ভূমিকার জন্য ফুটবল বিশ্বে স্মরণীয় হয়ে আছেন।
![]() | |||
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ভিসেন্তে ইতালো ফিওলা | ||
জন্ম | ২০ নভেম্বর ১৯০৯ | ||
জন্ম স্থান | সাও পাউলো, ব্রাজিল | ||
মৃত্যু | ২৬ নভেম্বর ১৯৭৫ ৬৬) | (বয়স||
মৃত্যুর স্থান | সাও পাউলো, ব্রাজিল | ||
দলসমূহ পরিচালিত | |||
বছর | দল | ||
১৯৩৭–১৯৩৮ | সাঁউ পাউলু এফসি | ||
১৯৩৯ | সাঁউ পাউলু এফসি | ||
১৯৪১–১৯৪২ | সাঁউ পাউলু এফসি | ||
১৯৪৮–১৯৪৯ | সাঁউ পাউলু এফসি | ||
১৯৪৭–১৯৫০ | সাঁউ পাউলু এফসি | ||
১৯৫৫–১৯৫৬ | সাঁউ পাউলু এফসি | ||
১৯৫৮ | ব্রাজিল | ||
১৯৫৯ | সাঁউ পাউলু এফসি | ||
১৯৬১ | বোকা জুনিয়র্স | ||
১৯৬৬ | ব্রাজিল |
ক্রীড়া জীবন
সাঁউ পাউলু এফসিতে কোচের দায়িত্ব পালনকালে ফিওলা ১৯৪৮ ও ১৯৪৯ সালে ক্লাবকে ক্যাম্পিওনাতো পাউলিস্তা শিরোপা জয়ে সহায়তা করেন। সেলেকাও খ্যাত ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান হিসেবে তিনি ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে ১৭ বছর বয়সী পেলেকে অন্তর্ভুক্ত করে সারা বিশ্বকে চমক দেখান। সুইডেনে অনুষ্ঠিত ঐ বিশ্বকাপে অদ্যাবধি একমাত্র দলরূপে ব্রাজিল ইউরোপের মাটি থেকে অ-ইউরোপীয় দেশ হিসেবে জয়লাভ করে। প্রতিযোগিতা চলাকালীন তিনি সুইডেনের হিন্দাস এলাকায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেছিলেন।
১৯৬১ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে আর্জেন্টিনার বোকা জুনিয়র্স ক্লাবের ম্যানেজার ছিলেন। ১৯৬৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলের পক্ষ হয়েও কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। তার দিক-নির্দেশনায় ব্রাজিল দলটি ৭৪টি খেলায় অংশ নেয়। এতে দলটি ৫৫ খেলায় জয়, ১৩ খেলায় ড্র এবং ৬টি খেলায় পরাজিত হয়েছিল।
১৯৫৮ ফিফা বিশ্বকাপ
১৯৫৮ সালে সুইডেনে অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপে ব্রাজিলের কোচ হিসেবে ফিওলা দলে কিছু কঠোর নিয়ম আরোপ করেন। খেলোয়াড়দের চল্লিশটি ব্যাপার না করার আদেশ একটি তালিকা আকারে দেওয়া হয়। এসব নিয়মের মধ্যে ছিলো মাথায় হ্যাট পরিধান বা ছাতা ব্যবহার করা যাবে না, অফিসিয়াল ড্রেসে থাকা অবস্থায় ধূমপান করা যাবে না, দলের বাইরে থেকে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলা যাবে না ইত্যাদি। সেসময় ব্রাজিল ফুটবল দলই ছিলো একমাত্র দল যাদের নিজস্ব একজন মনঃস্তাত্বিক (কারণ ১৯৫০ সালের ফাইনালের দুঃসহ স্মৃতি তখনো কিছু খেলোয়াড়কে মানসিকভাবে অস্থিতিশীল করে রেখেছিলো) ও ডেন্টিস্ট (কারণ জাতিগত কারণে অনেক খেলোয়াড়েরই দাঁতের সমস্যায় ভুগতেন, এর ফলে দাঁতের সংক্রমণের কারণে তাদের মাঠের নৈপূণ্যতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতো) ছিলো। সেসময় বাছাইপর্বের খেলাগুলো পর্যবেক্ষণের জন্য ব্রাজিল দলের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধিকে ইউরোপে পাঠানো হয়েছিলো।
১৯৬৬ ফিফা বিশ্বকাপ
গ্রুপ পর্যায়ে হাঙ্গেরীর বিরুদ্ধে ২য় খেলায় ব্রাজিল হেরে যায়। এর পূর্বে বুলগেরিয়ার বিরুদ্ধে জয়ী হলেও পেলে গুরুতর আঘাত পান। তারপরও ফিওলা সকলকে আশ্চর্যান্বিত করে গ্রুপের শেষ খেলায় পর্তুগালের বিপক্ষে পেলেকে মাঠে নামান। তিনি পুরো রক্ষণভাগ পরিবর্তন করে ফেলেন। এমনকি গোলরক্ষকও বাদ পড়েননি। আক্রমণভাগে তিনি জায়ারজিনহো এবং পরিবর্তিত দু'জন খেলোয়াড়কে দেন। মধ্যমাঠে তিনি প্রথম খেলার ন্যায় সাজান। যদিও তিনি জানতে যে, পেলে তখনো তার মারাত্মক জখমকে কাটিয়ে উঠতে পারেনি।[1][2]
তথ্যসূত্র
গ্রন্থপঞ্জী
- Enciclopédia do Futebol Brasileiro, Volume 2 - Lance, Rio de Janeiro: Aretê Editorial S/A, 2001.
পূর্বসূরী![]() |
ফিফা বিশ্বকাপ বিজয়ী ম্যানেজার ১৯৫৮ |
উত্তরসূরী![]() |
টেমপ্লেট:São Paulo Futebol Clube managers টেমপ্লেট:Boca Juniors managers