ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চট্টগ্রাম

ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চট্টগ্রাম (ইংরেজি: University of Science & Technology Chittagong, USTC) হচ্ছে একটি বাংলাদেশী বেসরকারি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।[2] বিশ্ববিদ্যালয়টি ব্যক্তিগত অনুদানের মাধ্যমে ১৯৮৯ সালের ১৩ মে প্রতিষ্ঠিত হয়।[3] প্রথমদিকে এটি প্রায়োগিক স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হিসাবে কাজ করে; পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে এটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়।[4]

University of Science & Technology Chittagong (USTC)
নীতিবাক্যRead
ধরনCoeducational
উপাচার্যজাতীয় অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম
শিক্ষার্থী> ১০,০০০[1]
অবস্থান
চট্টগ্রাম
,
বাংলাদেশ
শিক্ষাঙ্গনশহুরে
রঙসমূহবন্য সবুজPale Blue
সংক্ষিপ্ত নামUSTC
অধিভুক্তিUniversity Grants Commission Bangladesh
ওয়েবসাইটwww.ustc.ac.bd
বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রবেশদ্বার

সংগঠন ও প্রশাসন

শিক্ষা কার্যক্রম

  • বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রযুক্তি অনুষদ
  • চিকিৎসা অনুষদ
  • মৌলিক মেডিকেল ও ফার্মাসিউটিকেল বিজ্ঞান অনুষদ
  • ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ
  • সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক অনুষদ
  • ইংরেজি শিক্ষা অনুষদ
  • জৈব রসায়ন ও জৈবপ্রযুক্তিবিদ্যা অনুষদ

কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার

ইউএসটিসিতে আছে ৬ তলা গ্রন্থাগার ভবন।[1] গ্রন্থাগারটিতে ৩টি শাখা আছে যাতে একসাথে ১৫০জন পাঠক পড়তে পারেন। ইউএসটিসি এর সংগ্রহ খুব সমৃদ্ধ। যথা-

  • বই ৬৭৯১ +
  • জার্নাল ৫২২১ +
  • বই ব্রিটিশ কাউন্সিল দ্বারা দীর্ঘমেয়াদী ঋণের মমাধ্যমে সরবরাহ ককরা হহয়েছে, চট্টগ্রাম ৫০ কপি ননবায়নযোগ্য।
  • অডিও ও ভিডিও ক্যাসেট ১০০ +
  • রেফারেন্স উৎস ১৯০ +

আবাসন

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ছাত্রীদের জন্য গুলমেহের নামে একটি হল রয়েছে। এটি বিদেশী ও দূর থেকে আগত ছাত্রীদের আবাসন সমস্যার সমাধান করে। ছাত্রদের জন্য রয়েছে সায়েদুর রহমান আন্তর্জাতিক হল। ইন্টার্নি করুয়াদের জন্য আলাদা হোস্টেল রয়েছে।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থী

একাডেমিক ব্লক (বামে) এবং কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার (ডানে), পুরাতন হাসপাতাল ভবন

১৯৮৯ এ ইউএসটিসি শুরুর সময় মাত্র দুইজন অধ্যাপক ও নয়জন প্রভাষক ছিলেন। কিন্তু এখন পূর্ণসময় পাঠদানকারী শিক্ষকের সংখ্যা ১৪৮জন। ইউএসটিসিতে ৫হাজার শিক্ষার্থী আছেন। তার মধ্যে ৮৫%বিদেশী যারা ভারত (প্রধানত কাশ্মীর, আসাম ও মনিপুর), নেপাল, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, ভূটান, জর্দান, যুক্তরাষ্ট্র, মালদ্বীপ (অল্পসংখ্যক) এবং ফিলিস্তিন থেকে এসেছেন।[5] The average ratio of teacher-student is 1:20.[6]

মিলনায়তন

ইউএসটিসির অন্যতম অদ্বিতীয় সুবিধা হচ্ছে এর মিলনায়তন কক্ষটি। কক্ষটি সম্পূর্ণ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত এবং এর ধারণক্ষমতা ১হাজার জন। এখানে ১হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার একটি গ্যালারিও আছে। মিলনায়তনটি সাধারণত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কনফারেন্স ও সেমিনারের জন্য ব্যবহৃত হয়।

সহশিক্ষা কার্যক্রম

বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের জন্য সহশিক্ষা কার্যক্রমের আয়োজন করে থাকে যেমন- খেলাধুলা, বিতর্ক, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সকল সহশিক্ষা কার্যক্রম "স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল অভ ইউএসটিসি" দ্বারা আয়োজিত হয়।

তথ্যসূত্র

  1. About USTC। "Relevant Informations"। ২০০৭-০৩-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-১২-২৫
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৬ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০১৩
  3. http://www.bangladeshdir.com/health/private-medical-college/university-of-science-and-technology-chittagong-ustc/
  4. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২২ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০১৫
  5. Hasan Jahid Tusher, Back from Chittagong (২০০৫-০৪-২৭)। "An institute with a vision"। The Daily Star। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-১২-১৯
  6. Background of USTC। "History of USTC"। ২০০৭-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-১২-২৪

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.