সমুদ্রমন্থন
সমুদ্রমন্থন (সংস্কৃত ভাষার দেবনাগরী লিপিতে समुद्रमन्थन) হলো হিন্দু পুরাণগুলিতে উল্লিখিত সর্বাধিক জনপ্রিয় শ্রুতি৷ ভাগবত পুরাণ, বিষ্ণুপুরাণ ও মহাভারত প্রভৃতি হিন্দু পুঁথি পুস্তকে এই ঘটনার বিবরণ পাওয়া যায়৷ সমুদ্রমন্থনের ঘটনাটি অমৃৃত তথা অমরত্বের সন্ধান দেয়৷

নামকরণ
জনশ্রুতি

স্বর্গের রাজা দেবরাজ ইন্দ্র তার হস্তীবাহন ঐরাবতে চড়ে দুর্বাসা মুনির নিকট উপস্থিত হলে তার নির্দেশে বনদেবী একটি অপরূপ মাল্য নির্মাণ করেন ও তার প্রতি উৎসর্গ করেন৷ ইন্দ্র ঐ মাল্য উপহার গ্রহণ করেন এবং নিজেকে অনহংবাদী দেবতা রূপে প্রমাণিত করার জন্য মালাটি ঐরাবতের শুঁড়ে রাখেন৷ ঐরাবত জানতো যে ইন্দ্র নিজের অহংকার সংবরণ করতে পারেন না ফলে বাহনটি ঐ বরণমালা ছুড়ে মাটিতে ফেলে দেয়৷ এই ঘটনায় মুনি ক্রোধান্বিত হন, কারণ মালাটিতে বনশ্রীর বাস ছিলো, শুধু তাই নয় সেটি দেবতার প্রতি মুনির একমাত্র প্রসাদ নিবেদন ছিলো৷ দুর্বাসা মুনি ইন্দ্র সহ সমস্ত দেবতাদের অভিশম্পাত দেন যে তারা তাদের সমস্ত বল, ভাগ্য ও শক্তির সহিত প্রিজন নিয়োগবিধুর থাকবে৷[3]
এই খবর শুনে অসুরকুল দেবতাদের সহজে পরাস্ত করতে যুদ্ধের আহ্বান দেন৷ ফলে যুদ্ধ শেষে অসুরেরা দেবতাদের সাথে যুদ্ধে জয় লাভ করেন এবং অসুররাজ মহাবলী সমস্ত বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের নিয়ন্ত্রন নিজ হস্তোগত করেন৷ দেবতাগণ বিষ্ণুর সাহায্যপ্রার্থী হন৷ তিনি দেবতাগণকে নির্দেশ দেন তারা যেন অসুরগণের সাথে কুটনৈতিকভাবে সম্বন্ধ্য স্থাপন করে৷ দেবগণ অসুরকুলের সাথে আঁতাত করে আলাপ আলোচনায় বসে এবং নিজেদের মধ্যে ঠিক করেন যে তারা সমুদ্রমন্থনের মাধ্যমে অমৃৃতের খোঁজ আনবেন এবং তা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেবেন৷ যদিও বিষ্ণু দেবতাদের আশ্বস্ত করেন যে তিনি ষড়যন্ত্র করে এমন ব্যবস্থা করবেন যেন ঐ অমৃৃত শুধুমাত্র দেবতারাই আস্বাদিত করতে পারেন৷
ক্ষীরসাগরে সমুদ্রমন্থনের প্রক্রিয়াটি বেশ দীর্ঘ সময় ধরে চলেছিলো৷ এক্ষেত্রে মন্দর পর্বত মন্থনদণ্ড হিসাবে এবং শিবের স্কন্ধসঙ্গী নাগরাজ বাসুকী মন্থনরজ্জু হিসাবে ব্যবহৃৎ হয়েছিলো৷
বিভিন্ন গ্রন্থের একাধিক সংস্করণে এরকম অনুমান করা হয় যে, বিষ্ণু আন্দাজ করতে পেরেছিলেন দীর্ঘকালীন টানাটানিতে মন্থনরজ্জু হিসাবে ব্যবহৃত বাসুকী নাগ বিষোদ্গার করতে পারে৷ আবার দেবতারা প্রাথমিকভাবে বাসুকীনাগের মুখের দিকটিই ধরেছিলো আর অসুরগণ ধরেছিলো লেজের অংশ৷ এই নিয়ে অসুররা বেশ অসন্তুষ্টও ছিলো কারণ কোনো জন্তুরই মাথার দিক থেকে লেজের দিক অধিক অপবিত্র থাকে৷ এসময়ে মহাবিশ্বের অধিপতি হিসাবে অসুররাই বাসুকীনাগের মাথার দিকটি ধরে সমুদ্রমন্থন করতে চেয়েছিলো৷ বিষ্ণু তাদের চাহিদা ও নিজের আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে দেবতাদের এ বিষয়ে সম্পর্কে জ্ঞাত না করিয়ে তাদেরকেই লেজের দিকটি ধরতে অনুরোধ করেন৷ এক্ষেত্রে বিষ্ণুর প্রতি-মনস্তত্ত্ব জয়ী হয়৷
অসুররা বাসুকীনাগের মাথার দিক ধরে থাকার দাবী জানায় আবার দেবতারাও শ্রীবিষ্ণুর পরামর্শে তার লেজের দিক ধরেই সমুদ্রমন্থন করা শুরু করে৷ সমুদ্রের মাঝে মন্দর পর্বতটি স্থান পেলে প্রতিটি মন্থন ঘুর্ণনের সাথে একটু একটু করে এটি সমুদ্রে নিমজ্জিত হওয়া শুরু করে৷ তখন এই সমস্যার নিষ্পত্তি করতে বিষ্ণু কূর্ম অবতারের রূপ ধারণ করেন এবং মন্দর পর্বতকে জলে নিমজ্জিত হওয়া থেকে উদ্ধার করতে নিজের বিশাল খোলক দিয়ে মন্দর পর্বতকে নীচ থেকে ধরে রাখেন৷ অসুররা এর ফলে বাসুকী নাগের মুখ থেকে বের হওয়া বিষে সিক্ত হতে থাকে৷ দেবতারা এবং অসুররা পর্যায়ক্রমে মন্থনরজ্জু বাসুকীনাগকে নিজেরদের দিকে টানতে থাকলে মধ্যবর্তী মন্দর পর্বতও একবার বামে একবার ডানে ঘুরতে থাকলে সমুদ্র মন্থিত হওয়া শুরু হয়৷
সমুদ্র মন্থনের ফলে মথিত সমুদ্র তথা ক্ষীরসাগর থেকে একাধিক দ্রব্যাদি উত্থিত হয়েছিলো তাদের মধ্যে একটি ছিলো মারণ বিষ, যা হলাহল বা কালকূট নামে পরিচিত৷ আবার অন্যান্য একাধিক সংস্করণে বর্ণিত রয়েছে যে হলাহল সমুদ্রমন্থনে নয় বরং মন্থন রজ্জু হিসাবে ব্যবহৃৎ নাগরাজ বাসুকীনাগই অত্যাধিক ঘুর্ণন ও দেবাসুরে অবিরত টানাটানির কারণে ঐ বিষোদ্গার করে৷ ফলে দেবতা এবং অসুররা বেশ আতঙ্কিত হয়েছিলেন কারণ অমৃত প্রাপ্তির পূর্বেই এরকম মারণ বিষ সমস্ত সৃৃষ্টিকে বিনাশ করার ক্ষমতা রাখে৷ দেবগণ তখন ভগবান শিবের দ্বারস্থ হন এবং আত্মরক্ষার নিবেদন জানান৷ শিব তখন ত্রিভূবন রক্ষার্থে ঐ বিষ পান করলে তিনি কণ্ঠে অগ্নিসম জ্বলন অনুভব করেন৷
আবার অন্যকিছু আঞ্চলিক সংস্করণ অনুসারে শিব ঐ হলাহল পান করলে তার সমস্ত শরীরজুড়ে অসহ্য যন্ত্রনা করা শুরু হয়৷ স্বামী শিবের এরূপ দশা তার স্ত্রী পার্বতীর পক্ষে দেখা সম্ভব ছিলো না৷ ফলে তিনি তৎক্ষণাৎ শিবের কণ্ঠে আঙ্গুল রাখেন এবং পান করা বিষ শিবের কণ্ঠ থেকে গ্রাসনালীতে নামতে বাধা সৃৃষ্টি করেন এবং নিজ মায়াবলে তা ঐ স্থলেই শাশ্বতভাবে আটক করেন৷ ফলস্বরূপ তার কণ্ঠ নীল হয়ে ওঠে এবং এজন্য তিনি "নীলকণ্ঠ" নাম পান৷[4]
রত্নসমূহ

সমুদ্রমন্থনে সমস্ত প্রকার ভেষজসমূহ এবং চৌদ্দ প্রকার রত্ন উত্থিত হয়, যা দেবতাগণ এবং অসুরগণের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যায়৷ যদিও পুরাণে ১৪ টি রত্নোত্থানের কথা উল্লেখ রয়েছে কিন্তু অন্যান্য বিভিন্ন পুস্তকে এই রত্নের সংখ্যা ৯ থেকে ১৪ অবধি উল্লেখ পাওয়া যায়৷ সর্বাধিক উল্লেখপ্রাপ্ত রত্নগুলি শিব, বিষ্ণু, মহর্ষি, দেব এবং অসুরগণের মধ্যে ভাগাভাগি হয়৷ বিষপান করে দেব ও অসুর উভয়কে রক্ষা করার জন্য ভগবান শিব বিশেষ রত্নের অধিকারী হন৷[5] রত্ন ও ভেষজ ছাড়াও তিন প্রকার দেবী এই সমুদ্র মন্থনের ফলে ক্ষীরসাগর থেকে উত্থিত হন৷ তারা হলেন,
- লক্ষ্মী: তিনি হলেন সৌভাগ্য এবং ঐশ্বর্যের দেবী৷ তিনি বিষ্ণুকে নিজের স্বামী রূপে গ্রহণ করেন৷
- অপ্সরা: মন্থনের ফলে একাধিক সুদর্শনা নারীর সৃৃষ্টি হয় যথা, রম্ভা, মেনকা, পুঞ্জীস্থলা এবং আরো অনেক অপ্সরা৷ তারা প্রত্যেকেই গন্ধর্বদের নিজেদের সঙ্গী রূপে চয়ন করেন৷
- বারুণী: একপ্রকার জোর জবরদস্তি করেই অসুররা তাকে নিজেদের ভাগে টেনে নেন অপিরচ্ছন্নতার সহিত তার জন্ম হয় এবং তিনি ছিলেন তর্কবাগিনী৷
এরপরে তিন প্রকার দৈবপ্রজাতির পশু উত্থিত হয়৷ সেগুলি হলো,
- কামধেনু বা সুরভি, যা সংস্কৃত ভাষাতে কামধুক নামেও পরিচিত৷ যজ্ঞ করার সময় ঘৃৃতাহুতি দেওয়ার রীতি রয়েছে ব্রাহ্মণদের মধ্যে৷ যজ্ঞকারী মুনি ঋষিদের ঘি এর অভাব পূরণ করার জন্য প্রজাপতি ব্রহ্মা তাদেরকে কামধেনু দান করেন৷
- ঐরাবত এবং উত্থিত অন্যান্য হস্তীকুল দেবরাজ ইন্দ্র নিজ হস্তোগত করেন৷
- উচ্চৈঃশ্রবা: সাতমুখী দৈব এই ঘোটকটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে৷ কেউ বলেন দেবরাজ ইন্দ্র এটি গ্রহণ করেন আবার কেউ বলেন অসুররাজ বালী এটির অধিপতি স্বীকৃত হন৷
উত্থিত মহামূল্যবান রত্নতিনটি হলো,
- কৌস্তুভ মণি: এটি হলো অতিমূল্যবান এটি দৈব রত্ন৷ কৌশলে শ্রীবিষ্ণু এটি হস্তোগত করেন৷
- পারিজাত: এটি হলো একটি দৈব সদা প্রস্ফুটিত গাছ৷ এই গাছের ফুল কখনো শুষ্ক বা মূহ্যমান হয়না৷ দেবতারা এটিকে ইন্দ্রলোকে প্রেরণ করার ব্যবস্থা করেন৷
- শার্ঙ্গ: শৃৃঙ্গ শব্দ থেকে গত এই দৈব ও শক্তিশালী ধনুটি বিষ্ণুকে প্রদান করা হয়৷
এছাড়াও উত্থিত হয়,
- চন্দ্র: চন্দ্রদেব মন্থনে উত্থিত হন ও নিজ জ্যোতিসহ ভগবান শিবের শীর্ষে শোভা পান৷
- ধন্বন্তরি: ধন্বন্তরি হলেন দেবতাদের চিকিৎসক তথা দেববৈদ্য৷ কিছু কিছু উল্লেখে তিনিই অমৃৃতভাণ্ড নিয়ে উঠে আসেন, আবার কোথাও এদুটিকে ভিন্ন রত্ন হিসাবে গণ্য করা হয়েছে৷
- হলাহল: সমুদ্রমন্থনের সময় অমৃতের পূর্বে বিষ উত্থিত হয়৷ আবার ভিন্ন মতে বাসুকী নাগ ক্রমাগত ঘুর্ণনে ক্লান্ত হয়ে এই বিষোদ্গার করেন৷ পরিশেষে ভগবান শিব এই হলাহল পান করে কণ্ঠে ধারণ করেন৷
এক পুরাণ থেকে অন্য পুরাণে, রামায়ণ, মহাভারতে এই রত্নগুলির সামান্য পরিবর্তন দেখা যায়৷ অন্যান্য রত্নগুলি হলো,[5]
- শঙ্খ: এটি হলো শ্রীবিষ্ণুর শঙ্খ পাঞ্চজন্য৷
- অলক্ষ্মী: দেবী অলক্ষ্মী বা দেবীর লক্ষ্মীর জ্যেষ্ঠাভগিনীও মন্থনের ফলে উত্থিত হন৷ তিনি ছিলেন দুর্ভাগ্যের দেবী৷
- উত্থিত ছত্র বরুণ দেবকে প্রদান করা হয়৷
- উত্থিত কর্ণকুণ্ডল দেবরাজ ইন্দ্র তার মাতা অদিতির জন্য সংরক্ষিত করেন৷
- কল্পতরু: কল্পতরু বা কল্পকবৃৃক্ষ হলো একটি দৈব ইচ্ছাপুরণকারী বৃৃক্ষ৷
- নিদ্রা বা শ্লথ
অন্তিম রত্ন অমৃৃত

মন্থনরত ক্ষীরসাগর থেকে অন্তিমে দৈব বৈদ্য তথা ধন্বন্তরি অমরত্বের পীযূষ স্বরূপ একটি অমৃৃতের পাত্র নিয়ে উত্থিত হন৷ অমৃৃত প্রাপ্তির জন্য দেবতা ও অসুরদের মধ্যে প্রচণ্ড যুদ্ধ শুরু হলো৷ অসুরদের কবল থেকে অমৃতের পাত্রটিকে রক্ষা করার জন্য পক্ষীরাজ গরুড় তৎক্ষণাৎ পাত্রটিকে নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে অন্যত্র উড়ে চলে যায়৷
এসময়ে দেবতাদের অনুরোধে বিষ্ণু তার মোহময়ী মোহিনী রূপ ধারণ করেন এবং নিজের যৌবন ও রূপ লাবণ্য দিয়ে অসুরদের অমৃৃতেরাাপ্রতি মনযোগ নষ্ট করে দেন৷ একই সাথে ছলনার আশ্রয়ে তাদের সামনে থেকেই অমৃৃতের পাত্রটি নিজ হস্তোগত করে দেবতাদের মধ্যে অমৃৃত বিতরণ করা শুরু করেন এবং নিজেও সামান্য অমৃৃত পান করেন৷ অসুরদের দলের থেকে রাহু ও কেতু নামে দুটি অসুর দেবগণের দলে ছদ্মবেশে লুকিয়ে ছিলো৷ তারাও অমৃতের স্বাদ উপভোগ করে৷ ভাস্বর প্রকৃৃতির কারণে সূর্যদেব ও চন্দ্রদেব দুই অসুরের গতিপ্রকৃৃৃতি বুঝে তাদের ছদ্মবেশ ধরে ফেলে৷ তারা উভয়ে বিষ্ণুর মোহিনী অবতারকে সমস্ত বিষয়টি জানালে অসুরদ্বয়ের অমৃৃত গলাধকরণের পূর্বেই তিনি তার সুদর্শন চক্র দিয়ে তাদের মাথা ও ধর আলাদা করে দেন৷ আলাদা হওয়া ধরটিই পরবর্তীকালে বিভিন্ন গ্রহরূপ ধারণ করে৷ এবং অসুরদের ওপর দেবতাদের পুনর্বিজয় প্রাপ্তির মাধ্যমে পৌরাণিক এই অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি৷
কুম্ভমেলার আদিকথা
মধ্যযুগীয় হিন্দু আস্তিকতাবাদ এই জনশ্রুতিটিরই একটি সামান্য অতিরিক্ত পার্থিব বিস্তৃৃতকরণ করে৷ আঞ্চলিক শ্রুতি অনুসারে দেবতারা অসুরদের থেকে অমৃত সরিয়ে নেওয়ার সময় কিছু ফোঁটা অমৃত পৃথিবীর চারটি আলাদা আলাদা জায়গায় গিয়ে পড়ে৷ এগুলি হলো, হরিদ্বার, প্রয়াগরাজ (প্রয়াগ),[6] ত্রিম্বক (নাসিক) এবং উজ্জয়িনী৷[7] শ্রুতি অনুসারে এই জায়গাগুলিতে বিশেষ অলৌকিক শক্তি রয়েছে৷ এই কারণেঅ উক্ত চারটি অঞ্চলে প্রতি বারো বছর অন্তর কুম্ভমেলার আয়োজন করা হয়৷ হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করে মেলা চলাকালীন ঐ জলে স্নান করে মোক্ষ লাভের পথ প্রশস্ত হয়৷
কিন্তু একাধিক পৌরাণিক গ্রন্থ ও অন্যান্য প্রাচীন পুস্তকে সমুদ্রমন্থনকালে প্রাপ্ত অমৃতের পাত্র থেকে পৃথিবীতে অমৃৃত পড়ার বা উক্ত চারটি নির্দিষ্ট জায়গার কোনো উল্লেখ নেই৷[7][8] শুধু তাই-ই নয় কোনো প্রাচীন বইতেই কুম্ভমেলার উল্লেখ পাওয়া যায় না৷ ফলতই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পণ্ডিতবর্গ তথা আর.বি. ভট্টাচার্য, ডি.পি. দুবে ও বিদেশী গবেষক কমা ম্যাকলীন মনে করেন হিন্দু পৌরাণিক সূত্র ও বিখ্যাত জনশ্রুতিগুলির সাথে কুম্ভমেলার গল্পটি যুক্ত করা পুরাকাল বা মধ্যযুগীয় নয় বরং আধুনিককালেই তেরী এবং নিছকই আধ্যাত্মিকতা বৃৃদ্ধির প্রয়াস৷[9]
তথ্যসূত্র
- http://spokensanskrit.org/index.php?mode=3&script=hk&tran_input=sea&direct=es&anz=100
- http://spokensanskrit.org/index.php?mode=3&script=hk&tran_input=kshira&direct=se&anz=100
- Story of Maha Kumbh Mela from Srimad Bhagvatam
- https://mdaily.bhaskar.com/news/JM-why-lord-shiva-is-called-neelkantha-1703387.html
- Wilson, Horace Hayman (১৮৪০)। The Vishnu Purana।
- https://www.indiatoday.in/amp/education-today/featurephilia/story/allahabad-to-be-renamed-as-prayagraj-a-look-at-up-govt-s-renaming-streak-1368908-2018-10-16
- Kama MacLean (আগস্ট ২০০৩)। "Making the Colonial State Work for You: The Modern Beginnings of the Ancient Kumbha Mela in Allahabad"। The Journal of Asian Studies। 62 (3): 873–905। doi:10.2307/3591863। জেস্টোর 3591863।
- Arvind Krishna Mehrotra (২০০৭)। The Last Bungalow: Writings on Allahabad। Penguin। পৃষ্ঠা 289। আইএসবিএন 978-0-14-310118-5।
- Kama Maclean (২৮ আগস্ট ২০০৮)। Pilgrimage and Power: The Kumbh Mela in Allahabad, 1765-1954। OUP USA। পৃষ্ঠা 88–89। আইএসবিএন 978-0-19-533894-2।