শাফায়াত (ইসলাম)
শাফায়াত বলতে ইসলামী পরিভাষায় কল্যাণ ও ক্ষমার জন্য আল্লাহ তায়ালার নিকট নবি-রাসুলগনের সুপারিশ করাকে বোঝায়। হাশরের ময়দানে মহান আল্লাহর কাছে নবি-রাসুলরা শাফায়াত করবে।
ইসলাম |
---|
এর ধারাবাহিক নিবন্ধের অংশ: |
|
আরো দেখুন
|
![]() |
তাৎপর্য
কিয়ামতের দিন আল্লাহ মানুষের সব কাজকর্মের হিসাব নেবেন। তারপর আমল অনুযায়ী প্রত্যেকের জন্য জান্নাত ও জাহান্নাম নির্ধারণ করবেন। এসময় নবি-রাসুল ও পুণ্যবান বান্দাগণ আল্লাহর দরবারে শাফায়াত করবেন। ফলে অনেক পাপীকে মাফ করে দেওয়া হবে। এরপর তাদের জান্নাতে দেওয়া হবে।
শাফায়াতের কারণ
মূলত দুটি কারণে শাফায়াত করে হবে। যথা:
- পাপীদের ক্ষমা করা বা পাপ মার্জনা করার জন্য।
- পুণ্যবানদের মর্যাদা বৃদ্ধি ও কল্যাণ লাভের জন্য।
প্রকারভেদ
শাফায়াত দুই ধরনের। যথা:
- শাফায়াতে কুবরা
- শাফায়াতে সুগরা
শাফায়াতে কুবরা
কিয়ামতের দিন যখন মানুষ অসহনীয় দুঃখ-কষ্টে নিপতিত থাকবে তখন হযরত আদম (আ.), হযরত নূহ (আ.), হযরত মুসা (আ.) প্রভৃতি নবিদের নিকট উপস্থিত হয়ে শাফায়াতের অনুরোধ করবে। তারা সকলেই অপারগতা প্রকাশ করবে। এসময় সবাই মহানবী (স.) এর নিকট উপস্থিত হবে। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) সাজদাহ করবেন এবং আল্লাহর প্রশংসা ও তার মর্যাদা বর্ণনা করবেন। তারপর তিনি তার রবের নিকট সুপারিশ করার অনুমতি চাইবেন। আল্লাহ তা‘আলা তাকে অনুমতি দিবেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (সা.) ( তাদের জন্য ) সুপারিশ করবেন। একে শাফায়াতে কুবরা (সর্বশ্রেষ্ঠ শাফায়াত) বলা হয়।
এরূপ শাফায়াতের অধিকার একমাত্র মহানবী (স.) এর থাকবে। এছাড়াও নবি করিম (স.) জন্নাতিগণকে জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য আল্লাহ তায়ালার নিকট সুপারিশ করবেন। এর পরেই জান্নাতিগণ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।
হাদিসে শাফায়াত
মহানবী (স.) এর অনেক হাদিসে শাফায়াত করার কথা বলেছেন।
তিনি বলেছেন,
আমাকে শাফায়াত (করার অধিকার) দেওয়া হয়েছে।
— সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম
অন্য একটি হাদিসে তিঁনি বলেছেন,
পৃথিবীতে কত ইট ও পাথর আছে, আমি তার চেয়েও বেশি লোকের জন্য কিয়ামতের দিন শাফায়াত করবো।
— মুসনাদ আহমদ
আরও পড়ুন
- ইবরাহীম ইবন আব্দুল্লাহ্ আল-হাযেমী লিখিত "শাফা‘আত এবং শাফা‘আতকারীদের বর্ণনা"