যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল

যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল (জন্ম: ২৯ জানুয়ারি, ১৯০৪ - মৃত্যু: ৫ অক্টোবর, ১৯৬৮) আধুনিক পাকিস্তান রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ও শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠাকালীন ব্যক্তিত্ব এবং বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা ছিলেন।[1][2] সংবিধান প্রণেতা হিসেবে দেশের আইন ও শ্রম মন্ত্রী ছিলেন। এছাড়াও তিনি কমনওয়েলথ ও কাশ্মীর বিষয়ক দ্বিতীয় মন্ত্রীয় মর্যাদায় অধিষ্ঠিত ছিলেন।[3] ব্রিটিশ ভারতের বাংলা প্রদেশে জন্মগ্রহণকারী যোগেন্দ্রনাথ পরবর্তীকালে পাকিস্তানের মুখপত্র ছিলেন। ভারত বিভাজনের কয়েক বছর পর তিনি পাকিস্তানে অবস্থান করেন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত বন্দর নগরী ও পাকিস্তানের সাবেক রাজধানী করাচীতে বসবাস করতেন। পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খানের কাছে নিজ পদত্যাগপত্র দাখিল করেন ও অভিবাসিত হয়ে ভারতে চলে আসেন।

যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল
আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়
কাজের মেয়াদ
১৫ আগস্ট, ১৯৪৭  ৮ অক্টোবর, ১৯৫০
সার্বভৌম শাসকষষ্ঠ জর্জ
গভর্নর-জেনারেলমুহাম্মদ আলী জিন্নাহ
খাজা নাজিমুদ্দিন
প্রধানমন্ত্রীলিয়াকত আলি খান
শ্রম মন্ত্রণালয়
কাজের মেয়াদ
১৫ আগস্ট, ১৯৪৭  ৮ অক্টোবর, ১৯৫০
সার্বভৌম শাসকষষ্ঠ জর্জ
রাষ্ট্রপতিলিয়াকত আলি খান
গভর্নর-জেনারেলমুহাম্মদ আলী জিন্নাহ
খাজা নাজিমুদ্দিন
কমনওয়েলথ ও কাশ্মীরবিষয়ক মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১ অক্টোবর, ১৯৪৯  ৮ অক্টোবর, ১৯৫০
সার্বভৌম শাসকষষ্ঠ জর্জ
রাষ্ট্রপতিলিয়াকত আলি খান
গভর্নর-জেনারেলমুহাম্মদ আলী জিন্নাহ
খাজা নাজিমুদ্দিন
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯০৪-০১-২৯)২৯ জানুয়ারি ১৯০৪
বাংলা, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু৫ অক্টোবর ১৯৬৮(1968-10-05) (বয়স ৬৪)
বনগাঁ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
নাগরিকত্বভারত (১৯০৪-১৯৪৭)
পাকিস্তান (১৯৪৭-১৯৬৮)
জাতীয়তাপাকিস্তানী
রাজনৈতিক দলমুসলিম লীগ
ধর্মহিন্দু

রাজনৈতিক জীবন

১৫ আগস্ট, ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজন হয়। এরপর তিনি পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য ও অস্থায়ী সভাপতি হন। দলিত শ্রেণীর নেতা হিসেবে যোগেন্দ্রনাথ কতকগুলো সাধারণ বিষয় নিয়ে মুসলিম লীগের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। তিনি আশা করেছিলেন যে এরফলে দলিত শ্রেণীর লোকেরা লাভবান হবে। ফলশ্রুতিতে তিনি নবগঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তানের মন্ত্রীসভায় আইন ও শ্রম মন্ত্রী হন। এর মাধ্যমে সরকার প্রশাসনে সর্বোচ্চ স্তরের হিন্দু সদস্য হন।

ভারতে বসবাস

পাকিস্তানের হিন্দুনীতির প্রতিবাদে তিনি ১৯৫০ সাল থেকে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত পিতৃপুরুষের ভিটেমাটি ছেড়ে চলে আসেন এবং ভারতে ভারতে এসে বসবাস শুরু করেন এবং ভারতেই থাকেন।[4]

তথ্যসূত্র

  1. Heyworth-Dunne, James (১৯৫২)। Pakistan: the birth of a new Muslim state। University of Michigan: Renaissance Bookshop। পৃষ্ঠা 173। আইএসবিএন ASIN: B000N7G1MG |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য)
  2. Tai Yong Tan, Gyanes Kugaisya (২০০০)। The Aftermath of partition in South Asia:Pakistan। London, UK.: Routledge Publishing Co.। পৃষ্ঠা ix–327। আইএসবিএন 0-203-45766-8।
  3. Ahmad, Salahuddin (২০০৪)। Bangladesh: Past and Present। New Delhi, India: APH Publishing Co.। পৃষ্ঠা 19–371। আইএসবিএন 978-81-7648-469-5।
  4. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৬১১-৬১২, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬

আরও দেখুন

গ্রন্থপঞ্জী

  • Abul Kalam Azad, India Wins Freedom (1988), Orient Longman Limited, India
  • Rajmohan Gandhi, Patel: A Life (1992)

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.