মেগ টিলি
মেগ টিলি (ইংরেজি: Meg Tilly; জন্ম: মার্গারেট এলিজাবেথ চ্যান, ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৬০)[1] হলেন একজন কানাডীয়-মার্কিন অভিনেত্রী ও ঔপন্যাসিক।[2] তিনি অ্যাগনেস অব গড (১৯৮৫) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন[3] এবং শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ হল সাইকো টু (১৯৮৩), দ্য বিগ চিল (১৯৮৩), মাসকেরেড (১৯৮৮) এবং ভ্যালমন্ট (১৯৮৯)। সাইকো টু ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে স্যাটার্ন পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। টিলি বোম্ব গার্লস (২০১২-১৩) টিভি ধারাবাহিকে অভিনয় করে ২০১৩ সালে নাট্যধর্মী ধারাবাহিকে সেরা প্রধান অভিনেত্রী বিভাগে কানাডীয় স্ক্রিন পুরস্কার অর্জন করেন।
মেগ টিলি | |
---|---|
Meg Tilly | |
![]() ২০১৩ সালে টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে টিলি | |
জন্ম | মার্গারেট এলিজাবেথ চ্যান ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৬০ লং বিচ, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
পেশা | অভিনেত্রী, ঔপন্যাসিক |
কার্যকাল | ১৯৮০-৯৫; ২০০০-বর্তমান (অভিনয়) ১৯৯৪-বর্তমান (লেখনী) |
দাম্পত্য সঙ্গী | টিম জিনারমান (বি. ১৯৮৩; বিচ্ছেদ. ১৯৮৯) জন ক্যালি (বি. ১৯৯৫; বিচ্ছেদ. ২০০২) ডন ক্যালামে (বি. ২০০২) |
সঙ্গী | কলিন ফার্থ (১৯৮৯-১৯৯৪) |
সন্তান | ৩ |
আত্মীয় | জেনিফার টিলি (বোন) |
টিলি ছয়টি উপন্যাস রচনা করেছেন, তন্মধ্যে রয়েছে পরকাপাইন (২০১৭), যেটির জন্য তিনি শিলা এ. এগফ শিশু সাহিত্য পুরস্কারের ফাইনালিস্ট হয়েছিলেন। মেগ টিলি অভিনেত্রী জেনিফার টিলির ছোট।
প্রারম্ভিক জীবন
টিলি ১৯৬০ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি ক্যালিফোর্নিয়ার লং বিচে জন্মগ্রহণ করেন।[4] তার মাতা প্যাট্রিশিয়া অ্যান (জন্মনাম: টিলি) একজন কানাডীয় শিক্ষক এবং তার পিতা হ্যারি চ্যান একজন ব্যবসায়ী।[5] তার পিতা চীনা-মার্কিন, অন্যদিকে তার মাতা আইরিশ ও ফিনীয় বংশোদ্ভূত।[6] তার বড় বোন জেনিফার টিলি (জ. ১৯৫৮)।[7]
টিলির যখন তিন বছর বয়স, তখন তার পিতামাতার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। বিবাহবিচ্ছেদের পর টিলি তার মা ও সৎ বাবা জন ওয়ার্ডের নিকট ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার টেক্সাডা আইল্যান্ডে বড় হন। টিলি পরবর্তী কালে বলেন ওয়ার্ড খুবই উগ্র স্বভাবের ছিলেন।[8] তার সৎবাবার হাত থেকে রেহাই পেতে তিনি ১২ বছর বয়সে নাচের তালিম নেওয়া শুরু করেন,[8] এবং কয়েক বছরেই তিনি দক্ষ ব্যালেরিনা হয়ে ওঠেন।[5]
তথ্যসূত্র
- "Meg Tilly Biography"। ফিল্ম রেফারেন্স। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- টেলিং, জিলিয়ান (৬ জুন ২০১৭)। "Meg Tilly Hated Being Hit On in Hollywood: Why Her Quiet Life Now (on an Island!) Couldn't Be More Different"। পিপল (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- "Meg Tilly"। গোল্ডেন গ্লোব (ইংরেজি ভাষায়)। হলিউড ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশন। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- According to the State of California. California Birth Index, 1905–1995. Center for Health Statistics, California Department of Health Services, Sacramento, California.
- "Meg Tilly Biography"। টার্নার ক্লাসিক মুভিজ। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- "Meg Tilly is Asian Irish"। এশিয়ান্স। ১৭ মার্চ ২০১১। ডিসেম্বর ২৯, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- রোজ, টিফানি (১৯ নভেম্বর ২০০৪)। "Jennifer Tilly: Little voice, big talent"। দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট। লন্ডন। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- চিউ, আলেক্সিস (১১ সেপ্টেম্বর ২০০৬)। "Scars of Her Youth"। পিপল। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে মেগ টিলি সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
- প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে মেগ টিলি
(ইংরেজি) - রটেন টম্যাটোসে মেগ টিলি (ইংরেজি)