জিয়ৎ কুণ্ড

জিয়ৎ কুণ্ড বগুড়ার মহাস্থানগড়ে অবস্থিত একটি কূপ ও বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।[1]

জিয়ৎ কুণ্ড
স্থানীয় নাম অমর কুণ্ড
ধরনপ্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন
অবস্থানকাহালু উপজেলা
অঞ্চলবগুড়া জেলা
মালিকবাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর
সূত্র নংBD-E-03-125

ইতিহাস

জিয়ৎ কুণ্ডের নির্মাণকাল সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায় না তবে ইতিহাসবিদগণ মনে করেন, রাজা পরশুরামের শাসনামলে তার দ্বারাই এই কূপটি খনন করা হয়েছিল। সে অনুসারে এই কূপটি খনন করা হয় ১৮শ-১৯শতকের মাঝামাঝি সময়ে পরশুরাম প্রাসাদের নির্মাণের সময়ে।

অনেকই মনে করেন স্থানীয় জনগণের পানির অভাব দূর করতে রাজা পরশুরাম কূপটি খনন করেছিলেন।

অবকাঠামো

অমর কূপ নামে স্থানীয়ভাবে পরিচিত এ কূপের উপরিভাগের ব্যাস ৩.৮৬ মিটার ও নিচের দিকে ক্রমশই ছোট হয়ে গিয়েছে। একটি চতুষ্কোণ গ্রানাইটের পাথর খন্ড কূপের ভিতর উপরিভাগে পূর্বদিকে বসানো রয়েছে। ধারণা করা হয়, পানি উত্তোলনের সুবিধার্থে এটি ব্যবহার করা হতো। কূপটির তলদেশ পর্যন্ত দুই সাড়িতে আর বেশ কিছু পাথরের খন্ড নির্মাণের সময়ই যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

কিংবদন্তী

আবার কিংবদন্তী অনুসারে, এই কূপের পানিতে অলৌকিক ক্ষমতা ছিল যা পান করলে মৃতরাও জীবিত হয়ে উঠতো। এ কিংবদন্তী অনুসারে, রাজা পরশুরাম যখন শাহ সুলতান বলখী মহীসওয়ারের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিলেন তখন তিনি এই কূপের পানির সাহায্যে মৃত সৈনিকদের জীবিত করতেন। এটি শাহ সুলতান শোনার পর তিনি একটি চিলের সাহায্যে একটুকরু গরুর মাংস এই কূপে ফেলে দেন। এরপর থেকে এ কূপের পানির অলৌকিক ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।

চিত্রশালা

তথ্যসূত্র

  1. বাংলার পুরাকীর্তির সন্ধানে; খন্দকার মাহমুদুল হাসান; আইএসবিএন:978-984-495-119-8
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.