দারাসবাড়ি মাদ্রাসা

দারাসবাড়ি মাদ্রাসা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা, রাজশাহীর অন্যতম প্রত্নতাত্বিক স্থাপনা হিসেবে বিবেচিত। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা[1]

দারাসবাড়ি মাদ্রাসা
দারাস বাড়ী মসজিদ সংলগ্ন মাদ্রাসা ঢিবি
সাধারণ তথ্য
শহরচাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা
দেশবাংলাদেশ
স্বত্বাধিকারীবাংলাদেশ প্রত্নতাত্বিক অধিদপ্তর

অবস্থান

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বালিয়াদিঘি এলাকায় অবস্থিত দারাসবাড়ি মসজিদের ১৫০ মি. পূর্বদিকে দারাসবাড়ি মাদ্রাসা অবস্থিত।[2]

অবকাঠামো

এই স্থাপনাটি বর্গাকারে নির্মিত। এর প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য ৫১.৫২ মিটার। এ স্থাপনার মাঝামাঝি অংশে ৩৭.৫০ মি. পরিমাপের বর্গাকার চত্বরের পশ্চিম বাহু ব্যতিত অপর তিন বাহুতে এক সারি করে প্রকোষ্ঠ এবং তিন বাহুর মধ্যবর্তী স্থানে পাশাপাশি তিনটি ইমাম এর জন্য কোঠা আছে। নামাজের এই তিনটি কোঠার পশ্চিম দেয়ালে তিনটি অবতল মেহরাব আছে। পোড়ামাটির ফলক ও নকশাকার ইট দ্বারা দেয়ালগুলো অলংকৃত।[3]

এখানে মোট কক্ষের সংখ্যা ৩৭ টি। ওয়াক্তিয়া মসজিদ ১টি, অধ্যক্ষের অফিস রুম মধ্যখানে ১টি। মাদ্রাসার মোট ৩ টি দরজা রয়েছে যা এর অবশিষ্ঠাংশে এখনো স্পষ্ট।

ইতিহাস

এটি বাংলাদেশের সবচাইতে প্রাচীন মাদ্রাসার নিদর্শন। বাংলার স্বাধীন সুলতান আলাউদ্দীন শাহের রাজত্বকালে ১৫০২ খ্রিষ্টাব্দে ১লা রমজান তারিখে সুলতানের আদেশে বাংলার আদি রাজধানী গৌড়ের ফিরোজপুর এলাকায় দারুস বাড়ী মাদ্রাসা নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। সুবিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অঞ্চল হতে শিক্ষার জন্য এখানে সমবেত হতেন এবং বাংলার বুকে সর্বপ্রথম এই বিশ্ববিদ্যালয় হতে বোখারি ও মুসলিমসহ সিহাহ সিত্তাহ হাদিস শিক্ষা দেওয়া হতো। হুসেন শাহ্ পরবর্তী সময়ে ঢাকার সোরগাঁয়ে মাদ্রাসা হতে সিহাহ সিত্তাহ হাদিস শিক্ষা দেওয়া হতো। মোহাম্মদ বিন ইয়াজদান বখশ নামক এক আলেমকে দিয়ে বোখারী শরীফ নকল করিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার গড়ে তোলা হয়।[4][5]

আরো দেখুন

চিত্রশালা

তথ্যসূত্র

  1. চক্রবর্তী, রজনীকান্ত (জানুয়ারি ১৯৯৯)। গৌড়ের ইতিহাস (PDF) (1 & 2 সংস্করণ)। Bankim Chatterjee Street, Calcutta 700 073: Dev's Publishing।
  2. মোহাম্মদ জাকারিয়া, আবুল কালাম (এপ্রিল ১৯৯৮)। "রাজশাহী বিভাগ - ইতিহাস-ঐতিহ্য"। বরেন্দ্র অঞ্চলের ইতিহাস - বরেন্দ্র অঞ্চলের পূরাকীর্তি (১ম সংস্করণ)। পৃষ্ঠা ৩১৮।
  3. তরু, মাযহারুল ইসলাম (ডিসেম্বর ১৯৯০)। জেলা নবাবগঞ্জ এর ইতিকথা। পৃষ্ঠা ৪৮।
  4. খাঁন, এম. আবিদ আলী (মার্চ ১৯৮৭)। গৌড় ও পান্ডুয়ার স্মৃতিকথা। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। পৃষ্ঠা ৮০।
  5. করিম, আবদুল (জানুয়ারী ১৯৯৪)। মুসলিম বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্য। বাংলা একাডেমী। পৃষ্ঠা ১২০।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.