জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলূম ফরিদাবাদ মাদ্রাসা

জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলূম ফরিদাবাদ মাদ্রাসা (ইংরেজি: Jamia Arabia Imdadul Uloom Faridabad Madrasah) সংক্ষিপ্ত উচ্চারণঃ ফরিদাবাদ মাদ্রাসা জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলূম। ঢাকা শহরের প্রাচীন ও বৃহৎ দ্বীনী বিদ্যাপীঠ। বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে গেন্ডারিয়ায় এলাকায় জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলূম ফরিদাবাদ মাদ্রাসার অবস্থান। মুজাহিদ আজম আল্লামা শামসুল হক ফরিদপুরী রহ, এর হৃদয় নিংড়ানো এখলাস ও ইসলামের প্রচার-প্রসারে তাঁর নিষ্ঠা ও ঐকান্তিকতার মিনার হচ্ছে এই ফরিদাবাদ মাদরাসা— যা আজ দেশের শীর্ষস্থানীয় দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের মধ্যে অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফরিদাবাদ মাদ্রাসা।[1]

জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলূম মাদ্রাসা
ফরিদাবাদ মাদ্রাসা
মসজিদুল বেলাল রাযি
উত্তরসূরীআল্লামা শামসুল হক ফরিদপুরী
গঠিতজানুয়ারি ১৯৫৬ (1956-01)
প্রতিষ্ঠাতাআল্লামা শামসুল হক ফরিদপুরী
ধরণবেসরকারী শিক্ষা বোর্ড
আইনি অবস্থা‌ইসলামি সংগঠন
উদ্দেশ্যবাংলাদেশের কওমি মাদরাসাসমূহের পাঠ্যসূচি প্রণয়ন, উন্নয়ন এবং সনদ প্রদান ইত্যাদি
পেশাগত উপাধি
জামিয়া আরাবিয়া
অবস্থান
স্থানাঙ্ক২৩.৬৯৮২৭৪° উত্তর ৯০.৪২২০৬৬° পূর্ব / 23.698274; 90.422066
যে অঞ্চলে কাজ করে
 বাংলাদেশ
সদস্যপদ
+৫,০০০ কওমি মাদ্রাসা"Information"। jamiafaridabad.com। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৬
দাপ্তরিক ভাষা
বাংলা আরবি ইংরেজি উর্দু ফার্সী
মুহতামিম
হযরত মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস সাহেব দাঃবাঃ
প্রধান অঙ্গ
মজলিসে শূরা, মজলিসে আমেলা
বাজেট
১২,০০,০০,০০০
স্টাফ
৭৫
স্বেচ্ছাকর্মী
৩৫
ওয়েবসাইটfaridabadmadrasa.com
প্রাক্তন নাম
জামিয়া আরাবিয়া উলূম মাদ্রাসা

ইতিহাস

আল্লামা শামসুল হক ফরিদপুরী রহ. ১৯৫৬ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। নাম করণ করেন নিজের দাদাপীর হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. এর নামে। এ প্রতিষ্ঠানটির প্রথম মুরুব্বী ও মুতাওয়াল্লী ছিলেন সদর সাহেব হুজুর রহ. নিজেই এবং মুহতামিম ছিলেন তাঁর পীরভাই, সহপাঠী ও সহকর্মী হযরত মুহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর রহ.। এ দুই বুযুর্গের তত্ত্বাবধান, পরিচালনা, মেহনত ও পরিশ্রম, এখলাস-লিল্লাহিয়্যাত এবং বিনিদ্র রজনীর আহাজারিকে পুঁজি করেই এ জামিয়ার পথ চলা। তাঁদের পরেও বুযুর্গগণের তত্ত্বাবধানের ধারা আজও অব্যাহত রয়েছে।

অবস্থান

বাংলাদেশে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে দিয়ে বয়েগেছে ঢাকা শহর এই ঢাকার দক্ষিণ সিটিতে অবস্থিত ফরিদাবাদ মাদ্রাসা বর্তমানে পুরনো ঢাকা গেন্ডারিয়া এলাকায় মাদ্রাসার অবস্থান।

নির্মাণ

আল্লামা শামসুল হক ফরিদপুরী রহ ১৯৫৬ সালে মাদ্রাসাটি নির্মাণ করেন। নাম করণ করেন নিজের দাদাপীর হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ নামে নির্মাণ করেন।

স্থাপিতঃ

১৩৭৫ হিজরী তে মাদ্রাসাটি নির্মিত হয়। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দ তে পুনরায় সম্পূর্ণ করা হয়।

শিক্ষা ব্যবস্থা

ওয়ালামাইকরামগণ রা বলেছেন ভবিষ্যতেও দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম, বুযুর্গ ও আল্লাহওয়ালাগণের পরিচালনা ও তত্ত্বাবধানেই জামিয়ার সার্বিক উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। বাংলা ভাষায় ইসলামী বই-পুস্তক রচনা, অনুবাদ ও ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় যথার্থ গবেষণা পরিচালনার মতো যোগ্য আলেম সাহিত্যকর্মী সৃষ্টির লক্ষ্যে ষাটের দশকের শেষ দিকে এ মাদরাসাতেই ‘ইদারাতুল মাআরিফ’ প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ‘বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া’ ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে এ মাদ্রাসায় এবং প্রতিষ্ঠাকাল থেকে প্রায় এক যুগ বেফাকের প্রধান কার্যালয়ও ছিল এ মাদরাসাতে। মকতব, হেফজখানা, কিতাব বিভাগ ও ফতোয়া বিভাগে আড়াই হাজারেরও বেশি ছাত্র এখানে আবাসিক থেকে পড়ালেখা করছে।

শিক্ষার বিষয়

অর্ধশতাধিক বিজ্ঞ উস্তাদের তত্ত¡াবধানে ‘তালিবে ইলম’রা রাতদিন কুরআন-হাদীসের ইলম অন্বেষণে নিমগ্ন। পড়ালেখার পাশাপাশি ছাত্রদের আমল-আখলাক ও আত্মশুদ্ধির প্রতিও সমান গুরুত্ব প্রদান করা হয়। কোরআন-সুন্নাহর আলোকে সাহাবা, তাবেঈন, তাবে তাবেঈন, আইম্মায়ে মুজতাহিদীন, আকাবির ও সালফে সালেহীনের আদর্শে উম্মাহ্র যোগ্য রাহবার তৈরীর লক্ষ্যে অর্ধ শতাব্দীকালেরও বেশি সময় যাবত জামিয়া সংগ্রাম ও সাধনা অব্যাহত রেখেছে। সবার মাঝে সহীহ আক্বীদা-বিশ্বাস ও সুন্নতের প্রচার-প্রসারের প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।

আয়তন

মাদ্রাসার সর্বমোট আয়তন: ৪.৬ একর চতুর পাশে রয়েছে চারটি ভবন পশ্চিম পাশে বেলাল রাযিঃ মসজিদ।

প্রতিষ্ঠাতা

বর্ণনা

এ লক্ষ্যে যোগ্য দাঈ ও মুবাল্লিগ তৈরীর পাশাপাশি জামিয়ার মুখপত্র হিসেবে প্রকাশিত হচ্ছে ‘মাসিক নেয়ামত’। জামিয়ার রয়েছে আটটি বহুতল ছাত্রাবাস ও শিক্ষাভবন এবং সুবিশাল মসজিদে বেলাল রাযি.। নির্মানাধীন মসজিদে বেলাল রাযি. এর আয়তন প্রায় ১২০০০ বর্গফুট। দুটি উন্মুক্ত পাঠাগার ছাড়াও ফতোয়া বিভাগ ও মাসিক নেয়ামতের জন্য রয়েছে পৃথক পাঠাগার।

মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ৫,০০০ হাজারেরও বেশি, মোট প্রধান শিক্ষক ৬ জন আলেমগণের সংখ্যা মোট ৪৫৭ জন কুরআনে হাফেজদের সংখ্যা ১৬৯০ জন।

চিত্রশালা

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "মাদ্রাসার তথ্য বাতায়ন"। ১ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬

বহিঃসংযোগ


This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.