গোবিন্দপুর, সোনারপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা
গোবিন্দপুর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার সোনারপুর থানার অন্তর্গত একটি প্রত্নস্থল। ১৭৩০ খ্রিষ্টাব্দে কবি অযোধ্যারাম দাস রচিত মহীরাবণ পালা নামক পুঁথিতে এই গ্রামের উল্লেখ রয়েছে।[n 1]
লক্ষ্মণসেনের তাম্রশাসন
১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে গোবিন্দপুর গ্রামের কালা-কর্পূর পুকুর থেকে সেন সম্রাট লক্ষ্মণসেনের তাম্রশাসন আবিষ্কৃত হয়। ১১৮১ খ্রিষ্টাব্দে উৎকীর্ণ এই তাম্রলিপিটি সংস্কৃত ভাষায় প্রাকৃত লিপিতে ৫৩টি লাইন খোদিত রয়েছে। এই শাসন থেকে জানা যায় যে, লক্ষ্মণসেন রাজ্যাভিষেকের দ্বিতীয় বর্ষে ব্যাসদেব শর্মণ নামক একজন বাৎস্যগোত্রীয় সাম্বেদীয় ব্রাহ্মণকে বর্ধমানভুক্তির অন্তর্গত জাহ্নবী বা ভাগীরথী নদীর তীরে পশ্চিম খাটিকায় বেতড্ডচতুরকে বিডদারশাসন গ্রামটি নিষ্কর সম্পত্তি হিসেবে দান করেন। লক্ষ্মণসেনের সান্ধিবিগ্রহিক নারায়ণ দত্ত এই দানে দূতের কাজ করেন।[2]:৯৯
পাদটীকা
- অযোধ্যারামেতে বলে করিয়া প্রণাম/জাহ্নবীর পূর্ব্বেতে গোবিন্দপুর গ্রাম[1]
তথ্যসূত্র
- মহীরাবণ পালা, অযোধ্যারাম দাস, ১৭৩০ খ্রিস্টাব্দ
- সাগর চট্টোপাধ্যায়, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার পুরাকীর্তি, প্রকাশনা প্রত্নতত্ত্ব ও সংগ্রহালয় অধিকার, পশ্চিমবঙ্গ সরকার, ৩৩ চিত্তরঞ্জন অ্যাভেনিউ, কলকাতা-৭০০০১২, প্রথম প্রকাশ, ২০০৫
This article is issued from
Wikipedia.
The text is licensed under Creative
Commons - Attribution - Sharealike.
Additional terms may apply for the media files.