অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস

অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস (ইংরেজি: Andrew Symonds; জন্ম: ৯ জুন, ১৯৭৫) ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ার সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের পক্ষে তিনি অল-রাউন্ডারের ভূমিকা পালন করেন। দুইবার ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ডানহাতি মধ্যমসারির ব্যাটসম্যান এবং মিডিয়াম পেসঅফ-স্পিনে দক্ষতা প্রদর্শন করেন। এছাড়াও তিনি ফিল্ডিংয়েও সমান দক্ষ ছিলেন। রয় ডাকনামে তিনি পরিচিতি পেয়েছেন।[1]

অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস
২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে সাইমন্ডস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামঅ্যান্ড্রু সাইমন্ডস
জন্ম (1975-06-09) ৯ জুন ১৯৭৫
বার্মিংহাম, ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস, ইংল্যান্ড
ডাকনামরয়, সাইমো
উচ্চতা১৮৭.৫ সেন্টিমিটার (৬ ফুট ১.৮ ইঞ্চি)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় পার্শ্ব
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩৮৮)
৮ মার্চ ২০০৪ বনাম শ্রীলঙ্কা
শেষ টেস্ট২৬ ডিসেম্বর ২০০৮ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৩৯)
১০ নভেম্বর ১৯৯৮ বনাম পাকিস্তান
শেষ ওডিআই৩ মে ২০০৯ বনাম পাকিস্তান
ওডিআই শার্ট নং৬৩
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৪-২০০১কুইন্সল্যান্ড
১৯৯৫-১৯৯৬গ্লুচেস্টারশায়ার
১৯৯৯-২০০৪কেন্ট
২০০৫ল্যাঙ্কাশায়ার
২০০৮-২০১০ডেকান চার্জার্স
২০১০সারে
২০১১মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ২৬ ১৯৮ ২২৭ ৪২৪
রানের সংখ্যা ১,৪৬২ ৫,০৮৮ ১৪,৪৭৭ ১১,০৯৯
ব্যাটিং গড় ৪০.৬১ ৩৯.৭৫ ৪২.২০ ৩৪.০৪
১০০/৫০ ২/১০ ৬/৩০ ৪০/৬৫ ৯/৬৪
সর্বোচ্চ রান ১৬২* ১৫৬ ২৫৪* ১৫৬
বল করেছে ২,০৯৪ ৫,৯৩৫ ১৭,৬৩৩ ১১,৭১৩
উইকেট ২৪ ১৩৩ ২৪২ ২৮২
বোলিং গড় ৩৭.৩৩৩ ৩৭.২৫ ৩৬.০০ ৩৩.২৫
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৩/৫০ ৫/১৮ ৬/১০৫ ৬/১৪
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২২/– ৮২/– ১৫৯/– ১৮৭/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

প্রারম্ভিক জীবন

১৯৯৪ সালে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট একাডেমি থেকে বৃত্তি লাভ করেন তিনি।[2] ১৯৯৫ সালে ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে গ্লুচেস্টারশায়ার দলের পক্ষে প্রথম মৌসুম অতিক্রম করেন তিনি। মৌসুম শেষে তিনি বর্ষসেরা ক্রিকেট রাইটার্স ক্লাব ইয়ং ক্রিকেটার পুরস্কারে ভূষিত হন।[3] এরপরই শীতকালে তাকে ইংল্যান্ড এ-দলের সদস্যরূপে পাকিস্তান সফরের জন্য মনোনীত করা হয়। কিন্তু তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া দলের পক্ষে খেলার স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেন যে, তিনি সফরে যাবেন না যা পরবর্তীতে মিডলসেক্সের খেলোয়াড় জেসন পুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[3]

খেলোয়াড়ী জীবন

১০ নভেম্বর, ১৯৯৮ তারিখে লাহোরে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে অভিষেক ঘটে তার।[4] একদিনের আন্তর্জাতিকে তার স্ট্রাইক রেট ৯০-এর ঊর্ধ্বে ও তার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান হচ্ছে ১৫৬।

ব্যতিক্রমধর্মী ফিল্ডার হিসেবে ২০০৫ সালে ক্রিকইনফো এক প্রতিবেদনে দেখায় যে, ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর থেকে যে-কোন ফিল্ডারদের তুলনায় একদিনের আন্তর্জাতিকে রান-আউটের ক্ষেত্রে যৌথভাবে পঞ্চম স্থানে অবস্থান করেন তিনি ও সফলতার দিক থেকে চতুর্থ সর্বোচ্চ।[5]

২০০৮ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে অধিকাংশ সময় তাকে দলের বাইরে অবস্থান করতে হয়। এর প্রধান কারণ ছিল শৃঙ্খলাজনিত ও মদপানের কারণে।[6]

অবসর

জুন, ২০০৯ সালে বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতা থেকে তৃতীয়বারের মতো নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। এরপর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া থেকে তার চুক্তি বাতিল করা হয়।[7] অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে ও অস্ট্রেলীয় কর্তৃপক্ষ তাকে আর দলে নেবে না। এরফলে সাইমন্ডস হয়তোবা তার অবসরের বিষয়টি ঘোষণা করবেন।[8] এরপর ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১২ তারিখে পারিবারিক জীবনকে উপভোগ করতে সাইমন্ডস সকল স্তরের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন।[9]

তথ্যসূত্র

  1. Fox Sports Ashes Player Profiles ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ জুলাই ২০০৭ তারিখে. Retrieved 27 December 2006
  2. Excellence : the Australian Institute of Sport। Canberra: Australian Sports Commission। ২০০২।
  3. Lynch, Steve। "Collingwood's rare honour, and 551 and losing"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০০৯
  4. "Scorecard: Pakistan v Australia, 3rd ODI, at Lahore 8 Nov 1998"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০০৯
  5. Basevi, Trevor (৮ নভেম্বর ২০০৫)। "Statistics – Run outs in ODIs"Cricinfo। ১৯ মার্চ ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৭
  6. "Player Profile:Andrew Symonds"CricInfo। EPSN। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০০৯
  7. "Aussies rescind Symonds' contract"BBC News Online। BBC। ১২ জুন ২০০৯। ১৫ জুন ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০০৯
  8. Brown, Alex; English, Peter (৬ জুন ২০০৯)। "Symonds waits to decide on future"CricInfo। ESPN। ৭ জুন ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০০৯
  9. "Australian all-rounder Andrew Symonds retires from cricket"BBC Sport। BBC। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২

আরও পড়ুন

  • Symonds, Andrew; Gray, Stephen (২০০৭)। Roy: Going For Broke। Hardie Grant Books। আইএসবিএন 978-1-74066-580-3।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.