শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন

শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন কলকাতার শিয়ালদহ রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে অবস্থিত। এই মেট্রো স্টেশনটি শহরতলির রেলপথের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এই স্টেশনের এক দিকে ফুলবাগান মেট্রো স্টেশন ও অপর দিকে এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন। এই স্টেশনে ৩ টি প্লাটফর্ম নির্মান করা হচ্ছে।

শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন
কলকাতা মেট্রো স্টেশন
নির্মাণাধীন শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন
অবস্থানশিয়ালদহ, রাজবাজার, কলকাতা - ৭০০০০৯
লাইন (সমূহ)লাইন ২
প্ল্যাটফর্ম৩ টি (১ টি দ্বীপ প্ল্যাটফর্ম এবং ১ টি পার্শ্ব প্ল্যাটফর্ম)
রেলপথ
সংযোগসমূহকলকাতা শহরতলি রেল
নির্মাণ
গঠনের ধরণভূর্গভস্থ
পার্কিংহ্যাঁ
সাইকেলের সুবিধানা
ইতিহাস
চালুনির্মানাধীন। খোলার জন্য প্রত্যাশিত বছর ২০২১
বৈদ্যুতীকরণহ্যাঁ
পরিসেবাসমূহ
পূর্ববর্তী স্টেশন   কলকাতা মেট্রো   পরবর্তী স্টেশন
লাইন ২
অবস্থান

স্টেশন

গঠন

কলকাতা মেট্রোর লাইন ২-এর অন্তর্গত শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনটি গঠনগতভাবে ভূর্গভস্থ মেট্রো স্টেশন। মাটির প্রায় ১৫ মিটার নীচে অর্থাৎ ৫০ ফুটের বেশী গভীরে নির্মিত হয়েছে হচ্ছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গ। শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনও ওই গভীরতাতেই নির্মিত।

নির্মাণ কাজ

শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন তৈরি হয়েছে টপ-ডাউন পদ্ধতিতে। মাটির নীচে শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনটি ২০৫ মিটার লম্বা, ৪৩ মিটার পরিসরের। পুরনো মেট্রোর মতো ধাপ কেটে বিপুল জায়গার মাটি বার করার নির্মাণ পদ্ধতি এখন অচল। নতুন পদ্ধতি অনুযায়ী, মাটি বার করার আগে তার চারপাশে এক মিটার পুরু কংক্রিটের শক্ত দেওয়াল (ডায়াফ্রাম ওয়াল) তৈরি করা হয়েছে। এর পরে উপর থেকে যন্ত্রের সাহায্যে ধীরে ধীরে সেটি নির্দিষ্ট গভীরতায় পৌঁছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ভাবে চারদিক ঘিরে ফেলে মাটি সরানো হয়েছে। একই সঙ্গে ছাদ তৈরি করতে করতে নীচে নামা হয়েছে। মেট্রো কর্তাদের ব্যাখ্যা, মাটির ধস নামা ঠেকাতে এই ব্যবস্থা। কারণ উপর থেকে ছাদ ঢালাই করতে করতে নীচে নামলে, চারপাশের মাটির চাপ দেওয়ালে সমান ভাবে পড়ে। পাশাপাশি এর ফলে নির্দিষ্ট পরিসরের বেশি মাটি কাটতে হয় না বলে জায়গা, পরিশ্রম এবং অর্থ বাঁচে।

সুযোগ-সুবিধা

মোট তিনটি প্ল্যাটফর্ম থাকবে। আপ ও ডাউন লাইনের জন্য দু’টি প্ল্যাটফর্ম ছাড়াও মাঝে থাকছে বিশেষ ‘আইল্যান্ড’ প্ল্যাটফর্ম। এই স্টেশনে মেট্রোর দরজা খুলবে দু’দিকেই। ফলে আসা-যাওয়ার পথে যাত্রীরা ট্রেনে দ্রুত ওঠা-নামা করতে পারবেন। কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশন লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার অজয়কুমার নন্দীর মতে, ‘‘ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পুরোদমে চালু হলে শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন দিয়ে ব্যস্ত সময়ে ঘণ্টায় প্রায় ৫০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করবেন। পরিকল্পনা রয়েছে, প্রতি দেড় মিনিট অন্তর মেট্রো চালানোর। যাত্রীদের ট্রেন থেকে ওঠা-নামা দ্রুত করতে পারা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা।’’ দৃষ্টিহীনদের জন্য স্টেশনের প্রবশপথ থেকেই থাকবে বিশেষ ট্যাক-টাইলস (হলুদ রঙের অসমান টাইলস)। প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের দু’প্রান্তে দু’টি করে মোট ছ’টি চলমান সিঁড়ি থাকবে। তিনটি প্রশস্ত লিফট থাকবে। পুরো স্টেশনে মোট ১৮ টি চলমান সিঁড়ি থাকবে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে স্টেশন থেকে বেরিয়ে আসার জন্য দু’প্রান্তে তিনটি করে মোট ছ’টি রাস্তা থাকছে। এ ছাড়াও দু’দিক থেকে দমকলকর্মীদের জন্য আলাদা পথ তৈরি হচ্ছে।[1]

তথ্যসূত্র

  1. "কেমন হচ্ছে শিয়ালদহ মেট্রো"। www.anandabazar.com। ১৪ এপ্রিল ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.