হিরণ চট্টোপাধ্যায়

হিরণ রোমান্টিক, কমেডি এবং অ্যাকশন সব রকম চলচ্চিত্রে দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে অভিনয় করেছেন। তার ডাকনাম পাপাই। তার স্ত্রীর নাম অনিন্দিতা চট্টোপাধ্যায়, মেয়ের নাম নিয়াসা এবং তার একজন বোন রয়েছে। তিনি টালিগঞ্জে পরিবারসহ বাস করেন। তার জন্ম হাওড়ার উলুবেরিয়ায় যেখানে তিনি অস্বছলতার মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠেছেন। শৈশবেই তিনি পিতা-মাতাকে হারান। উলুবেরিয়ায় ১৪ বছর পড়াশোনা করেন। তিনি পড়াশুনায়ও বেশ ভালো ছিলেন। পরে তিনি মানিকটোলা আশ্রম-এ বসবাস শুরু করেন, বেঁচে থাকার তাগিদে। 'রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি সন্ধ্যার ক্লাস করতেন এবং সে সময় দিনের বেলায় একটি জাহাজ কোম্পানিতে কাজ করতেন। এরপর তিনি রিলায়েন্স কোম্পানিতে যোগদান করে মুম্বাই চলে যান। সেখানে 'লজিস্টিক, সাপ্লাই চেইন এন্ড ল' ইন কাস্টমস' (Logistics, Supply Chain And Law In Customs) বিষয়ে ম্যানেজমেন্ট পাস করেন। এরপর অভিনয়ের নেশায় তিনি এই চাকরি ছেড়ে দিয়ে কলকাতায় ফিরে আসেন।

তার প্রথম ছবি কোয়েল মল্লিকের বিপরীতে নবাব নন্দিনী। হারানাথ চক্রবর্তী পরিচালিত এই ছবি তাকে প্রচুর খ্যাতি এনে দেয়। টলিউডে তাকে এক জনপ্রিয় মুখে পরিণত করে এই ছবি। এরপর তিনি ভালবাসা ভালবাসা ও চিরসাথী ছবিতে অভিনয় করেন। ভালবাসা ভালবাসা ছবিটি বেশ নাম করে এবং তাকে লোক চকোলেট বয় বলে ডাকতে শুরু করেন। এরপর তার অভিনীত 'জ্যাকপট ও রিস্ক সমালোচক কর্তৃক প্রশংসিত হয়। এরপর তার অভিনীত ছবি লে হালুয়া লে ও মাচো মুস্তানা। লে হালুয়া লে বেশ জনপ্রিয় হয়।

তিনি বিন্দাস নামে একটি ভিডিও গানের সিডি বের করেছেন। এখানে তিনি এবং তার স্ত্রী অভিনয় করেছেন এবং গান গেয়েছেন। ভিডিওটি ইতিমধ্যে ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে।

• নবাব নন্দিনী চলচ্চিত্রের জন্য আনন্দলোক সেরা অ্যাকশন হিরো পুরষ্কার।
• ভালবাসা ভালবাসা ছবির জন্য বি.এফ.জে.এ সবচেয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ নায়ক পুরষ্কার।
• মাচো মুস্তানার জন্য উত্তম কলাকার পুরস্কার ২০১২।

তিনি ভয়েস অফ ওয়ার্ল্ড নামক একটি এন.জি.ও'র সাথে যুক্ত। তিনি এখানের একজন নিয়মিত দাতা এবং তিনি সত্যিকার অর্থেই একজন সমাজসেবক। তার এ ভূমিকা সত্যিই প্রশংসনীয়।

হিরণ,ভয়েস অফ ওয়ার্ল্ডের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে নিজের জন্মদিনের উৎসবে।

• প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট