লাক্কাতুরা চা বাগান

লাক্কাতুরা চা বাগান সিলেট শহরের উপকণ্ঠে বিমানবন্দর সড়কে চৌকিদেকিতে মনোলোভা একটি চা বাগান লাক্কাতুরা।[1] এটি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম চা বাগান। বিশাল এই চা বাগানটি থেকে প্রতিবছর ৫ লক্ষ কেজি চা উৎপাদিত হয়। এর পাশেই বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের বৃহত্তম এবং সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত চা বাগান মালনীছড়া চা বাগান অবস্থিত।[2]

ইতিহাস

ইংরেজ সাহেব হার্ডসনের হাত ধরে ১৮৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত চা বাগানটি। ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেডের অধীনে চলে এই চা বাগানটি। সিলেটের এই চা বাগান থেকেই চা চাষের গোড়াপত্তন। যা এখন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ।[2][3]

বর্ণনা

লাক্কাতুরা চা বাগানে রাবার সঙ্গিগ্রহের দৃশ্য

সিলেট শহরের উত্তর প্রান্ত ঘিরে রাখা সবুজ বনানীই হলো লাক্কাতুরা চা বাগান। ২৯৩ হেক্টর বা প্রায় ৩২০০ একর জুড়ে এর অবস্থান। মালনীছড়া আর লাক্কাতুরা চা বাগান পাশাপাশি। ব্যবধান শুধু রাস্তার এপাশ ওপাশ। শ্রেষ্টত্বের দিক থেকে লাক্কাতুরা চা বাগানটি কখনো কখনো মালনীছড়া চা বাগানকে ছাড়িয়ে গেছে। বাগানে হাঁটলেই চোখে পড়বে কমলা, কাঁঠালসুপারি বাগান। এছাড়া ট্যাং ফল, আগর, রাবার, চন্দনসহ অনেক ওষুধি-শোভাবর্ধক বৃক্ষ। বাগানের সব পথের ধারে উঁচু-নিচু টিলার ভেতর দিয়ে চলে গেছে মাটির রাস্তা। হেঁটে ভেতরে গেলে একেকটি রাস্তা ধরে প্রায় দুই ঘণ্টা হাঁটা যায়। [1]

সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়াম

চারপাশে চা বাগান আর মাঝখানে স্টেডিয়াম, সবুজ প্রকৃতির ভেতর স্টেডিয়াম পৃথিবীতে একটাই। সবুজ পাহাড়টিলা আর নয়নাভিরাম চা বাগানের মনোরম পরিবেশ বেষ্টিত এই স্টেডিয়ামটি সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্বল্প দূরত্বে অবস্থিত। এখানেই ২০১৪ টি-টুয়েন্টি মহিলা বিশ্বকাপের জমকালো আসর বসেছিল।[4]

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "প্রিয় ভ্রমণ: দু'টি পাতা একটি কুঁড়ির লাক্কাতুরা চা বাগান"প্রিয়.কম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১২
  2. "সিলেট জেলা"www.sylhet.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১২
  3. "চাকরি যখন চা-বাগানে"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১২
  4. BanglaNews24.com। "উপমহাদেশের প্রথম চা বাগানে"banglanews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১২
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.