বোঝেনা সে বোঝেনা (টেলিভিশন ধারাবাহিক)

বোঝেনা সে বোঝেনা স্টার জলসায় সম্প্রচারিত জনপ্রিয় টিভি ধারাবাহিক।[1][2] এই ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন যশ দাশগুপ্ত,[3] মধুমিতা সরকার সহ আরো অনেকে।[4] হিন্দি ধারাবাহিক ইস পেয়ার কো কেয়া নাম দু ধারাবাহিকের পুনঃনির্মাণ এটি। বাংলা ভাষার এই ধারাবাহিকটি ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেও ব্যাপক জনপ্রিয় হয়।

বোঝেনা সে বোঝেনা
বোঝেনা সে বোঝেনা ধারাবাহিকের পোস্টার
Bojhena Se Bojhena
পরিচালকস্নেহাশীষ জানা
প্রযোজকশ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস
কাহিনীকারগুল খান
শ্রেষ্ঠাংশেযশ দাশগুপ্ত
মধুমিতা সরকার
দৈর্ঘ্য২২ মিনিট
দেশ ভারত
ভাষাবাংলা

বোঝেনা সে বোঝেনা টেলিভিশনে প্রিমিয়ারের দিন সিরিয়ালটি সবচেয়ে বেশি দেখা টেলিভিশন সিরিয়াল হিসাবে স্থান পেয়েছে। এই ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন যশ দাশগুপ্ত , মধুমিতা সরকার সহ আরো অনেকে।

কাহিনী

"পাখি" একটি সরল, হাসিখুশি সংসারি মেয়ে। সে তার পরিবারকে খুবই ভালোবাসে। "অরণ্য সিংহ রায়" একজন ব্যবসায়ী। সে ভালোবাসা বিশ্বাস করে না। তবে সে তার "অনু" দিদিকে খুব ভালোবাসে। ঘটনাচক্রে অরণ্য'র ভাইয়ের সাথে পাখি'র বোনের বিয়ে হয়। এর সূত্র ধরে অরণ্য আর পাখির মধ্যে বিয়ে হয়। তাদের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে অনু দির বর কৃষ্ণেন্দুঅরণ্য এর পুরোনো বান্ধবী পামেলা। কারণ কৃষ্ণেন্দু পাখিকে আর পামেলা অরণ্যকে পছন্দ করে। তবে পাখি আর অরণ্য সব বাধাঁ পেরিয়ে একে অপরকে প্রচন্ড ভালবাসতে শুরু করে। তারা পুণঃবিবাহের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বিয়ের সময় অরণ্য'র গুলি লাগে।

ছয় মাস পর

অরণ্যকে হারিয়ে পাখি মানসিক ভারসাম্য হারায়। তাকে চিকিৎসার জন্য উদয়গড় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সে তার অরণ্যর মতো একজনকে খুজেঁ পায় যে নিজেকে রাধেঁ বলে পরিচয় দেয়। কিন্তু পরে প্রমাণ হয় রাধেঁঅরণ্য আর কৃষ্ণেন্দু তাকে মারার পরিকল্পনা করে তা সবার সামনে প্রমাণ করার জন্য এই পরিচয় প্রকাশ করে। অরণ্যকে বিজলী বাচিঁয়েছিল বলে সে অরণ্যকে পাখির কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে চায়। কিন্তু অরণ্য বিজলীর সব চেষ্টা বৃথা করে দেয় এবং অরণ্যকে পাখির কাছ থেকে কেউ আলাদা করতে পারবে না বলে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। রাজ নামে নতুন একজন তাদের মধ্যে সমস্যা শূরু করে। আসলে সে অরণ্যর সৎ ভাই।সে অরণ্যর মাকে লুকিয়ে রেখেছিল কারণ সে মনে করত তার জন্যই সে তার বাবার অবৈধ সন্তান বলে পরিচিতি পায়।কিন্তু পরে সে বুঝতে পারে এতে অরণ্যর মা বা অরণ্যর কোনো দোষ নেই তাই সে পাখিকে ও অরণ্যর মাকে অরণ্যর কাছে ফিরিয়ে দেয়।

অভিনয়ে

প্রধান

  • যশ দাশগুপ্ত - অরণ্য সিংহ রায় / রাধে
  • মধুমিতা সরকার - পাখি ঘোষ দস্তিদার সিংহ রায় / খুশি
  • কৌশিক রায় - কৃষ্ণেন্দু সেনগুপ্ত
  • মোনালিসা পাল - পামেলা বোস
  • সুদীপ মুখার্জি - অর্ণবের বাবা
  • কুশল চক্রবর্ত - শরদ ঘোষ দস্তিদার
  • তানিয়া কর - পিউ সিংহ রায়
  • অভিষেক বোস - অর্ক সিংহ রায়
  • ময়না মুখার্জী -পরমজিত সিংহ রায়
  • জন ভট্টা‌চার্য্য - হ্যারি সিংহ রায়
  • মনোজ ওঝ - সিধু মিত্র
  • অলিভিয়া সরকার - গৌরী সিংহ রায়
  • উজানি দাশগুপ্তা - বিজলি
  • রিতা দত্ত চক্রবর্তী - বাই সাই
  • ইন্দ্রানী বসু - কনিকা সিংহ রায়
  • সম্রাট মুখার্জী - রাজ মজুমদার
  • ঋজু বিশ্বাস অনর্ব‌ - খুশি এর স্বামী
  • দেবার্পনা চক্রবর্তী - অনন্যা সিংহ রায় সেনগুপ্ত
  • রেশমী সেন - সুমিত্রা ঘোষ দস্তিদার
  • অনুরাধা রায় - রানিবালা সিংহ রায়

বিশেষ উপস্থিতি

প্রতিক্রিয়া

টেলিভিশনে প্রিমিয়ারের দিন সিরিয়ালটি সবচেয়ে বেশি দেখা টেলিভিশন সিরিয়াল হিসাবে স্থান পেয়েছে। এটি পরে ১১.০ টিআরপি পায়। এই সিরিয়ালটি টেলি সম্ম‌ান অ্যাওয়ার্ডস (২০১৫) এ ১০ টি পুরষ্কার পেয়েছে।

সঙ্গীত

এই ধারাবাহিকের সংগীত পরিচালনা করেছেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। এই টাইটেল ট্র্যাক গেয়েছেন অরিজিৎ সিংমধুরা ভট্টাচার্য[5]

পুরস্কারসমূহ

টেলি সম্মান ২০১৪
  1. সেরা জুটি - পাখি ও অরণ্য
  2. জনপ্রিয় অভিনেতা - অরণ্য
  3. জনপ্রিয় অভিনেত্রী - পাখি

সমালোচনা

জনপ্রিয় এ ধারাবাহিক এবং এর মূল অভিনেত্রী পাখি চরিত্রটি ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেও ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। ফলে ২০১৪ সালের ঈদুল ফিতরে "পাখি ড্রেস" কিনতে না পেরে চাঁপাইনবাবগঞ্জগাইবান্ধায় দুইজন আত্মহত্যা করে।[6]

বহিঃসংযোগ

br /"

তথ্যসূত্র

  1. "Bojhena Se Bojhena -Star Jalsa"। ২ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০১৪
  2. "Aranya and Pakhi fight it out in Bojhena Se Bojhena"The Times Of India। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৪
  3. "I HAVE MILES TO GO BEFORE I REACH DEV'S POSITION"The Times Of India। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০১৩
  4. "Why is Pakhi of Bojhena Shey Bojhena called Dhopas Kumari?"The Times Of India। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১৩
  5. "Bojhena Se Bojhena Title Track"
  6. "'পাখি' না পেয়ে এবার গাইবান্ধায় আত্মহত্যা"Daily Prothom-Alo। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৪
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.