গৌড় রাজ্য
গৌড় রাজ্য মধ্য ও ধ্রুপদী যুগের বঙ্গদেশ-র একটি রাজ্য ছিল।[1][2]
গৌড়ীয় সাম্রাজ্য | |||||
গৌড় রাজ্য (Gāur Rājya) | |||||
| |||||
রাজধানী | কর্ণসুবর্ণ | ||||
ধর্ম | হিন্দুধর্ম, বৌদ্ধধর্ম | ||||
সরকার | রাজতন্ত্র | ||||
রাজা | |||||
- | ৫৯৯–৬২৫ | শশাঙ্ক | |||
- | ৬২৫–৬২৬ | মানব | |||
ঐতিহাসিক যুগ | মধ্যযুগ | ||||
- | সংস্থাপিত | ৫৯০ | |||
- | ভাঙ্গিয়া দেত্তয়া হয়েছে | ৬২৬ | |||
সতর্কীকরণ: "মহাদেশের" জন্য উল্লিখিত মান সম্মত নয় |
![]() |
গঙ্গারিডাই, বঙ্গ, পুণ্ড্র, সুহ্ম, অঙ্গ, হরিকেল |
পাল সাম্রাজ্য, সেন সাম্রাজ্য |
বাংলা সুলতানী, দেব রাজ্য বখতিয়ার খিলজি, রাজা গণেশ, জালালউদ্দিন মুহাম্মদ শাহ, হুসেন শাহী রাজবংশ |
কন্দর্প রায়, প্রতাপাদিত্য, রাজা সীতারাম রায় বাংলার নবাব, বারো ভুঁইয়া, রাণী ভবাণী |
পলাশীর যুদ্ধ, জমিদারী ব্যবস্থা, ছিয়াত্তরের মন্বন্তর |
বাংলার নবজাগরণ ব্রাহ্মসমাজ স্বামী বিবেকানন্দ, জগদীশচন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুভাষচন্দ্র বসু |
বঙ্গভঙ্গ (১৯৪৭), বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ শেখ মুজিবুর রহমান, জ্যোতি বসু, বিধানচন্দ্র রায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনা |
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() দক্ষিণ এশিয়া এবং ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস | |||||
---|---|---|---|---|---|
প্রস্তর যুগ | ৭০,০০০–৩৩০০ BCE | ||||
• মেহেরগড় সংস্কৃতি | • ৭০০০–৩৩০০ BCE | ||||
সিন্ধু সভ্যতা | ৩৩০০–১৭০০ BCE | ||||
হরপ্পা সভ্যতা | ১৭০০–১৩০০ BCE | ||||
বৈদিক সভ্যতা | ১৫০০–৫০০ BCE | ||||
লৌহ যুগ | ১২০০–৩০০ BCE | ||||
• মহাজনপদ | • ৭০০–৩০০ BCE | ||||
• মগধ সাম্রাজ্য | • ৫৪৫ BCE - ৫৫০ | ||||
• মৌর্য সাম্রাজ্য | • ৩২১–১৮৪ BCE | ||||
ভারতীয় উপমহাদেশের মধ্যাঞ্চলের রাজ্য সমূহ | ২৫০ BCE–১২৭৯ CE | ||||
• চোল সাম্রাজ্য | • ২৫০ BCE–১০৭০ CE | ||||
• সাতবাহন সাম্রাজ্য | • ২৩০BCE–২২০ CE | ||||
• কুশান সাম্রাজ্য | • ৬০–২৪০ CE | ||||
• গুপ্ত সাম্রাজ্য | • ২৮০–৫৫০ CE | ||||
• পাল সাম্রাজ্য | • ৭৫০–১১৭৪ CE | ||||
• রাষ্ট্রকূট | • ৭৫৩–৯৮২ CE | ||||
• ইসলামিক সুলতানাত | ১২০৬–১৫৯৬ | ||||
• দিল্লীর সুলতানাত | • ১২০৬–১৫২৬ | ||||
• দক্ষিণ ভারতের সুলতানাত | • ১৪৯০–১৫৯৬ | ||||
হৈসল সাম্রাজ্য | ১০৪০–১৩৪৬ | ||||
কাকতীয় সাম্রাজ্য | ১০৮৩–১৩২৩ | ||||
আহম রাজ্য | ১২২৮–১৮২৬ | ||||
বিজয় নগর সাম্রাজ্য | ১৩৩৬–১৬৪৬ | ||||
মুঘল সাম্রাজ্য | ১৫২৬–১৮৫৮ | ||||
মারাঠা সাম্রাজ্য | ১৬৭৪–১৮১৮ | ||||
শিখ সংঘরাষ্ট্র | ১৭১৬–১৭৯৯ | ||||
শিখ সাম্রাজ্য | ১৮০১–১৮৪৯ | ||||
ব্রিটিশ ভারত | ১৮৫৮–১৯৪৭ | ||||
দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্রসমূহ | ১৯৪৭–বর্তমান | ||||
জাতীয় ইতিহাস বাংলাদেশ • ভুটান • ভারত মালদ্বীপ • নেপাল • পাকিস্তান • শ্রীলংকা | |||||
আঞ্চলিক ইতিহাস আসাম • বেলুচিস্তান • বঙ্গ হিমাচল প্রদেশ • উড়িশ্যা • পাকিস্তানের অঞ্চল সমূহ পাঞ্জাব • দক্ষিণ ভারত • তিব্বত | |||||
বিশেষায়িত ইতিহাস টঙ্কন • রাজবংশ • অর্থনীতি Indology • Language • সাহিত্য • Maritime Military • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি • Timeline | |||||
অবস্থান ও বিস্তৃতি
গৌড় রাজ্য বাংলার ইতিহাসে বাঙালীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত প্রথম স্বাধীন রাজ্য ছিল যার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রাজা শশাঙ্ক। তিনি ৭ম শতাব্দী পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলেন; তবে কিছু ঐতিহাসিকের মতে তিনি ৫৯০ হতে ৬২৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্তই রাজত্ব করেছিলেন। গৌড় রাজ্যের রাজধানী, বর্তমান মুর্শিদাবাদ জেলার সদরশহর বহরমপুর থেকে ৯.৬ কিলোমিটার (৬.০ মা) দক্ষিণ-পশ্চিমে কর্ণসুবর্ণ নামক স্থানে ছিল।[1]
চৈনিক পরিব্রাজক, হিউয়েন সাং রাজা শশাঙ্ক শাসিত উড়িষ্যার একটি এলাকা থেকে কর্ণসুবর্ণ পর্যন্ত ভ্রমণ করেছিলেন।[2] পুণ্ড্রবর্ধনও যে গৌড়ের অংশ ছিল এটা নির্দিষ্ট কোন প্রাচীন নথিতে উল্লেখ নেই।[3]
প্রমাণ অনুযায়ী গৌড় রাজ্যের সাথে রাঢ় অঞ্চলের বিবাদ ছিল। যদিও কৃষ্ণ মিশ্রের (একাদশ অথবা দ্বাদশ শতাব্দী) "প্রবোধ-চন্দ্রোদয়"-এ উল্লেখ, আছে যে (বর্তমান) হুগলি এবং হাওড়া জেলার রাঢ় (বা রাঢ়পুরি) ও ভূরিষরেষঠিকা গৌড় রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত ছিল, কিন্তু যাদব রাজা প্রথম জাইতুগির শিলালেখে উল্লেখিত যে রাঢ় গৌড় রাজ্য থেকা আলাদা।[1]
ত্রয়োদশ ও চতুর্দশ শতাব্দীর জৈন লেখকদের বিভিন্ন পাণ্ডুলিপি অনুযায়ী গৌড় বর্তমান মালদা জেলার লক্ষণাবতীর সাথে একীভূত।[1]
শশাঙ্কের মৃত্যুর পর ক্ষমতায় বসেন তার পুত্র মানব, যিনি ৮ মাস পর্যন্ত গৌড়ের শাসনকার্য চালান। তার কিছুকাল পরই গৌড়, সম্রাট হর্ষবর্ধণ এবং কামরূপের রাজা ভাস্কর বর্মণ কর্তৃক দুভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এমনকি তারা কর্ণসুবর্ণ পর্যন্ত দখল করে নেয়।
পাল রাজারা নিজেদের বঙ্গেশ্বর (বঙ্গের পালন কর্তা) ও গৌড়েশ্বর (গৌড়ের পালন কর্তা) বলে উল্লেখ করতেন। একইভাবে সেন রাজারাও তাদের গৌড়েশ্বর হিসেবে পরিচয় দিতেন। এভাবে গৌড় এবং বঙ্গ (vanga) নামদুটি একই অর্থে অর্থাৎ একসাথে সারা বাংলার জন্য প্রচলিত হতে থাকে।[1]
তথ্যসূত্র
- Majumdar, Dr. R.C., History of Ancient Bengal, first published 1971, reprint 2005, pp. 5-6, Tulshi Prakashani, Kolkata, আইএসবিএন ৮১-৮৯১১৮-০১-৩.
- Ghosh, Suchandra (২০১২)। "Gauda, Janapada"। Islam, Sirajul; Jamal, Ahmed A.। Banglapedia: National Encyclopedia of Bangladesh (Second সংস্করণ)। Asiatic Society of Bangladesh।
- Bandopadhyay, Rakhaldas, Bangalar Itihas, (বাংলা), first published 1928, revised edition 1971, vol I, p 101, Nababharat Publishers, 72 Mahatma Gandhi Road, Kolkata.