এদেন আজার
এদেন মাইকেল আজার (ফরাসি উচ্চারণ: [edɛn azaʁ]; জন্ম: ৭ জানুয়ারি ১৯৯১) হলেন একজন বেলজীয় পেশাদার ফুটবলার, যিনি স্পেনিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ এবং বেলজিয়াম জাতীয় দলের হয়ে একজন আক্রমণভাগের খেলোয়াড় অথবা একজন উইঙ্গার হিসেবে খেলেন। তিনি মূলত একজন আক্রমণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় অথবা একজন পার্শ্বীয় মধ্যমাঠের খেলোয়াড়। আজারের সৃজনশীলতা, গতি এবং কৌশলগত সামর্থ্য সকলের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়িয়েছে।[3][4][5] তিনি প্রায়ই "একজন সুপার পাসার" হিসেবে বর্ণিত হন এবং তিনি তার খেলার ধরন নিয়ে সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত হন, এর ফলে অনেক গণমাধ্যম, কোচ এবং খেলোয়াড় তাকে বালোঁ দরজয়ী ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো এবং লিওনেল মেসির সাথে তুলনা করে থাকে।[3][6][7][8][9][10][11] অনেক সময়ই কোচ, সহকর্মী এবং ধারাভাষ্যকাররা অ্যাজার্দকে বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে উল্লেখ করে থাকেন।[12][13][14][15]
![]() ২০১৯ উয়েফা ইউরোপা লীগের ফাইনালে আজার | |||
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | এদেন মাইকেল আজার[1] | ||
জন্ম | [2] | ৭ জানুয়ারি ১৯৯১||
জন্ম স্থান | লা লুভিয়ের, বেলজিয়াম | ||
উচ্চতা | ১.৭৩ মিটার (৫ ফুট ৮ ইঞ্চি)[2] | ||
মাঠে অবস্থান |
আক্রমণভাগের খেলোয়াড় / উইঙ্গার
| ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান ক্লাব | রিয়াল মাদ্রিদ | ||
জার্সি নম্বর | ৭ | ||
যুব পর্যায়ের খেলোয়াড়ী জীবন | |||
১৯৯৫–২০০৩ | রয়্যাল স্তাদ ব্রেইনোয়া | ||
২০০৩–২০০৫ | তুবিজ | ||
২০০৫–২০০৭ | লিলি | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ী জীবন* | |||
বছর | দল | উপস্থিতি† | (গোল)† |
২০০৭–২০১২ | লিলি | ১৪৭ | (৩৬) |
২০১২–২০১৯ | চেলসি | ২৪৫ | (৮৫) |
২০১৯– | রিয়াল মাদ্রিদ | ০ | (০) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০০৬ | বেলজিয়াম অনূর্ধ্ব-১৫ | ৫ | (১) |
২০০৬ | বেলজিয়াম অনূর্ধ্ব-১৬ | ৪ | (২) |
২০০৬–২০০৮ | বেলজিয়াম অনূর্ধ্ব-১৭ | ১৭ | (২) |
২০০৭–২০০৯ | বেলজিয়াম অনূর্ধ্ব-১৯ | ১১ | (৬) |
২০০৮– | বেলজিয়াম | ১০২ | (৩০) |
† উপস্থিতি(গোল সংখ্যা)। |
আজার হচ্ছেন সাবেক বেলজীয় ফুটবলারের পুত্র এবং তিনি বেলজিয়ামের স্থানীয় ক্লাব রয়্যাল স্তাদ ব্রেইনোয়া এবং তুবিজের খেলার মাধ্যমে তার ক্যারিয়ার শুরু করেন। ২০০৫ সালে, তিনি ফরাসি লীগ ১-এর ক্লাব লিলিতে যোগদান করেন। উক্ত ক্লাবের একাডেমীতে তিনি প্রায় ২ বছর খেলেন এবং মাত্র ১৬ বছর বয়সে, ২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে তিনি পেশাদার ফুটবলের অভিষেক করেন। অতঃপর তিনি কোচ রুডি গার্সিয়ার নেতৃত্বে দলটির একজন অখণ্ড খেলোয়াড়ে পরিণত হন। তিনি উক্ত ক্লাবের হয়ে প্রায় ১৪৬টি ম্যাচ খেলেন। মূল একাদশের হয়ে একটি পূর্ণ মৌসুম খেলে তিনি ইউএনএফপি বছরের সেরা যুব খেলোয়াড়ের পুরষ্কার জয়লাভ করেন, এর ফলে তিনি প্রথম অ-ফরাসি খেলোয়াড় হিসেবে উক্ত পুরষ্কার জয়লাভ করেন।[16] ২০০৯–১০ মৌসুমে, অ্যাজার্দ এই পুরষ্কারটি পুনরায় জয়লাভ করেন, এর ফলে তিনি প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এই পুরষ্কারটি দুইবার জয়লাভ করেন।[17] একই সাথে তিনি লীগের বছরের সেরা দলেও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
২০১০–১১ মৌসুমে, তিনি লিলির একজন সদস্য ছিলেন, যে দলটি ডাবল জয়লাভ করতে সক্ষম হয়েছিল, এবং উক্ত মৌসুমে তার খেলার জন্য তিনি ইউএনএফপি লীগ ১ বছরের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন, এর ফলে তিনি এই পুরস্কারজয়ী সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়ে পরিণত হন।[18] একই সাথে ২০১০–১১ মৌসুমে তার অসাধারণ খেলার জন্য তিনি ইতালীয় ম্যাগাজিন গুয়েরিন স্পোর্তিভো দ্বারা ব্রাভো পুরষ্কার জয়লাভ করেন।[19] ২০১২ সালের জুন মাসে, লিলির হয়ে প্রায় ৮ খেলার পর, অ্যাজার্দ ইংরেজ ক্লাব চেলসিতে যোগদান করেন, যেখানে তিনি তার প্রথম মৌসুমেই উয়েফা ইউরোপা লীগ ট্রফি এবং দ্বিতীয় মৌসুমে পিএফএ বছরের সেরা যুব খেলোয়াড় পুরষ্কার জয়লাভ করেন। ২০১৪–১৫ মৌসুমে, তিনি চেলসিকে ইএফএল কাপ এবং প্রিমিয়ার লীগ জয়লাভ করতে সহায়তা করেন, এর ফলে তিনি এফডাব্লিউএ বছরের সেরা ফুটবলার এবং পিএফএ বছরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরষ্কার জয়লাভ করেন।[20] দুই বছর পর, তিনি দ্বিতীয়বারের মতো চেলসির হয়ে ২০১৬–১৭ প্রিমিয়ার লীগ জয়লাভ করেন।
আজার হলেন একজন বেলজীয় ফুটবলার, যিনি বেলজিয়ামের অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৬, অনূর্ধ্ব-১৭ এবং অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলেছেন। অ্যাজার্দ মাত্র ১৭ বছর বয়সে ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে, লুক্সেমবুর্গের বিরুদ্ধে এক প্রীতি ম্যাচে বেলজিয়ামের জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের হয়ে অভিষেক করেন। তার অভিষেকের প্রায় ৩ বছর পর, ২০১১ সালের অক্টোবর মাসে, তিনি কাজাখস্তানের বিরুদ্ধে তার প্রথম গোল করেন। এপর্যন্ত তিনি বেলজিয়ামের হয়ে ৮০-এর অধিক ম্যাচ খেলে ২০-এর অধিক গোল করেছেন। তিনি ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ এবং ২০১৬ উয়েফা ইউরোর বেলজিয়াম দলের সদস্য ছিলেন, উভয় প্রতিযোগিতায় তারা কোয়ার্টার-ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেছিল।
.jpg)
কর্মজীবন পরিসংখ্যান
পুরস্কার ও সম্মাননা
- চেলসি
- প্রিমিয়ার লীগ: ২০১৪–১৫, ২০১৬–১৭
- এফএ কাপ: ২০১৭–১৮
- ফুটবল লীগ কাপ: ২০১৪-১৫
- উয়েফা ইউরোপা লীগ: ২০১২-১৩
- বেলজিয়াম
- ফিফা বিশ্বকাপ তৃতীয় স্থান: ২০১৮
তথ্যসূত্র
- "2014 FIFA World Cup Brazil: List of Players" (PDF)। FIFA। ১১ জুন ২০১৪। পৃষ্ঠা 4। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৪।
- "E. Hazard"। Soccerway। ১৬ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- "Eden Hazard"। ESPN FC। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০১১।
- "St Etienne v Lille: Preview"। ESPN। ৫ মার্চ ২০১০। ১৭ মার্চ ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১০।
- Leach, Jimmy (৩০ নভেম্বর ২০০৯)। "Arsenal: potential transfer targets"। The Independent। ৩ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১০।
- Lyttleton, Ben (১৮ এপ্রিল ২০১১)। "Ten top Ligue 1 talents who could be on the move this summer"। Sports Illustrated। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০১১।
- Benammar, Emily (১ এপ্রিল ২০১০)। "Eden Hazard, the Lille winger dubbed 'the next Lionel Messi"। The Daily Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১০।
- "Scout Report: Arsenal and Manchester United target Eden Hazard"। Football Transfer Tavern। ৮ জানুয়ারি ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১০।
- "Could Lille's Eden Hazard go to Emirates? Liverpool eye Heskey"। The First Post। ২৩ ডিসেম্বর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১০।
- "Foreign correspondent: Eden Hazard"। Ligue de Football Professionnel। ২ নভেম্বর ২০০৯। ১৮ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১১।
- "Eden Hazard, un genio del desborde"। Marca (Spanish ভাষায়)। ১ এপ্রিল ২০১০। ১৩ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১০।
- "Exclusive – Hazard in 'same bracket' as Messi and Ronaldo, claims Chelsea team-mate Cahill"। Talksport। ২৮ নভেম্বর ২০১৪।
- Fifield, Dominic (১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪)। "José Mourinho: Eden Hazard can be one of the greats of his generation"। The Guardian।
- Chapman, Anthony (৫ নভেম্বর ২০১৪)। "Jose Mourinho: Eden Hazard is Chelsea's best player!"। Daily Express।
- "Chelsea: Eden Hazard one of the best attacking players around, says Ronald Koeman"। Sky Sports। ২২ অক্টোবর ২০১৪।
- "Eden Hazard prolonge son contrat au LOSC" (French ভাষায়)। Lille OSC। ১৭ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১০।
- "Hazard named Young Player of Year"। Ligue de Football Professionnel। ২৫ মে ২০০৯। ১৬ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১০।
- "UNFP: Trophées UNFP du football Un petit coin de paradis..." (French ভাষায়)। National Union of Professional Footballers। ২২ মে ২০১১। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১১।
- "The "Bravo" Award"। Rec.Sport.Soccer Statistics Foundation। ১ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১২।
- "European Players Player Award made by Thomas Lyte"। Dailymotion। ৪ মার্চ ২০১০।
- National-Football-Teams.com-এ "Hazard, Eden" (ইংরেজি ভাষায়)। জাতীয় ফুটবল দল। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৭।
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে এদেন আজার সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
- টেমপ্লেট:LFP
- এদেন আজার – ফিফা প্রতিযোগিতার রেকর্ড (ইংরেজি)
- এদেন আজার – উয়েফা প্রতিযোগিতার রেকর্ড (ইংরেজি)
- এদেন আজার at L'Équipe Football টেমপ্লেট:Link lang
- এদেন আজার ক্যারিয়ার তথ্য