রণগিরি ডাম্বুলা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম

রণগিরি ডাম্বুলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম (সিংহলি: රංගිරි දඹුලු ජාත්‍යන්තර ක්‍රීඩාංගනය, তামিল: தம்புள்ள சர்வதேச கிரிக்கெட் விளையாட்டு மைதானம்) শ্রীলঙ্কায় প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিকমানের স্টেডিয়াম। এর দর্শক আসন সংখ্যা ৩০,০০০।[1] মধ্য প্রদেশের ডাম্বুলার কাছাকাছি এ স্টেডিয়ামটির অবস্থান। রণগিরি ডাম্বুলা মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ৬০ একর (২,৪০,০০০ মি) জমি ইজারা নিয়ে এ স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। ডাম্বুলা ট্যাঙ্ক ও ডাম্বুলা রক এ স্টেডিয়াম থেকে দৃশ্যমান।

রণগিরি ডাম্বুলা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম
ডাম্বুলা স্টেডিয়াম
৩০ আগস্ট, ২০১৪ তারিখে শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানের মধ্যকার ওডিআইয়ের দৃশ্য
স্টেডিয়ামের তথ্যাবলী
অবস্থানডাম্বুলা, মধ্য প্রদেশ
স্থানাঙ্ক৭°৫১′৩৪″ উত্তর ৮০°৩৮′০২″ পূর্ব
প্রতিষ্ঠাকাল২০০০
ধারন ক্ষমতা১৬,৮০০ (প্রায়)
স্বত্ত্বাধিকারীস্বর্ণমন্দির, ডাম্বুলা
পরিচালনায়শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট
অন্যান্য২০১০ এশিয়া কাপ
প্রান্ত
প্রেস বক্স এন্ড
স্কোরবোর্ড এন্ড
আন্তর্জাতিক তথ্যাবলী
প্রথম ওডিআই২৩ মার্চ ২০০১: শ্রীলঙ্কা বনাম ইংল্যান্ড
শেষ ওডিআই২৫ মার্চ ২০১৭: শ্রীলঙ্কা বনাম বাংলাদেশ
১ম টি২০ আন্তর্জাতিক১৯ নভেম্বর ২০১৪: হংকং বনাম নেপাল
শেষ টি২০ আন্তর্জাতিক২২ নভেম্বর ২০১৪: হংকং বনাম নেপাল
২৫ মার্চ ২০১৭ অনুযায়ী
উৎস: ক্রিকইনফো

ইতিহাস

মার্চ, ২০০১ সালে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার ওডিআইয়ে অংশগ্রহণের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয়। ২০০৩ সালে ফ্লাডলাইট স্থাপন করা হয়। দূর্বলমানের ফ্লাডলাইটের কারণে তিন বছর বিরতি দিয়ে নভেম্বর, ২০১৩ সালে পুণরায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বর্তমানে কেবলমাত্র একদিনের খেলা আয়োজনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আটটি প্রাচীন ফ্লাডলাইটের পরিবর্তে চারটি লেডের টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে।

শুষ্ক অঞ্চলে এ স্টেডিয়ামের অবস্থান। মূলতঃ সারা বছর যাতে একদিনের খেলা আয়োজন করা যায়, সেদিকে দৃষ্টি রেখেই এ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিএসএল) অর্থায়ণে এ অবকাঠামোর বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়। বিসিসিএসএলের তৎকালীন সভাপতি থিলাঙ্গা সুমাথিপাল এতে সর্বাত্মক সহায়তা করেন। নির্মাণকার্য সম্পন্ন হতে মাত্র ১৬৭ দিন সময় ব্যয়িত হয়। নির্মাণের পর উদ্বোধনী খেলায় আয়োজনের প্রাক্কালে ইজারা ও ঠিকাদারদের মধ্যে জটিলতায় স্টেডিয়াম ব্যবহার করা যায়নি। অবশেষে মে, ২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজন করা সম্ভবপর হয়। দক্ষিণাংশে মৌসুমী বৃষ্টিপাতের প্রেক্ষিতে প্রতিযোগিতার সাতটি খেলাই এখানে অনুষ্ঠিত হয়।

স্কোরবোর্ড এন্ড

পিচ বোলারদের সহায়তা করে থাকে। সকালের দিকে সিমারেরা লাভবান হন। তবে, বিকেলে স্পিনারদের দিকেই ঝুঁকে পড়ে। ৩০-এর অধিক দিবা/রাত্রির খেলা আয়োজন করা হলেও ফ্লাডলাইটগুলো আইসিসির মানদণ্ড অনুসরণ করেনি।

২০১০ সালের পর ৬ বছর বিরতী দিয়ে ২৮ আগস্ট, ২০১৬ তারিখে প্রথম দিবা/রাত্রির ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হয়। আইসিসি মানদণ্ডের উপযোগী করে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দল এখানে খেলতে সম্মত হয়।[2] এ মাঠেই শ্রীলঙ্কার প্রথিতযশা ক্রিকেট তারকা তিলকরত্নে দিলশান তার সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেন।[3]

আইসিসি মানদণ্ডে ফ্লাডলাইটগুলো উত্তীর্ণ হতে পারেনি

রেকর্ড

২১ জুন, ২০১০ তারিখে পাকিস্তান সর্বাধিক ৩৮৫/৭ তুলে বাংলাদেশের বিপক্ষে। ১৮ নভেম্বর, ২০০৩ ও ১০ আগস্ট, ২০১০ তারিখে ইংল্যান্ড ও ভারত যথাক্রমে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বনিম্ন ৮৮ রান তুলে।

ব্যক্তিগতভাবে মাহেলা জয়াবর্ধনে সর্বাধিক ১০৭৬ রান তুলেন। ২৫ মার্চ, ২০১৭ তারিখে তামিম ইকবাল স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১২৭ রান তুলেন। অন্যদিকে মুত্তিয়া মুরালিধরন সেরা বোলিং পরিসংখ্যান করেন ৫/২৩। এছাড়াও ৪২ উইকেট পেয়ে এ মাঠে সর্বাধিক উইকেট লাভকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন তিনি।

তথ্যসূত্র

  1. Rangiri Dambulla International Stadium | Sri Lanka | Cricket Grounds | ESPN Cricinfo. Content.cricinfo.com. Retrieved on 2013-12-23.
  2. "SLC to upgrade Dambulla floodlights"। espncricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৬
  3. "Stand-in captain, retiring star in focus as teams scrap for lead"। espncricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০১৬

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.