যুক্তাক্ষর

দুটি বর্ণকে একসাথে জুড়ে দিলেই পাওয়া যায় যুক্তাক্ষর।[1] অর্থাত্‍ দুটি বর্ণের প্রথমটিতে যদি হসন্ত থাকে তবে বানানের সময় উভয়কে একত্রে লেখা হলে প্রাপ্ত বর্ণটিই যুক্তবর্ণ বা যুক্তাক্ষর[2]

ধারণা

(যুক্ত+অক্ষর=যুক্তাক্ষর) বাংলা ভাষায় কোনো শব্দের কোনো বর্ণে অবস্থিত স্বরবর্ণকে চাপা দিতে ্ (হসন্ত) ব্যবহৃত হয়।আর তখন সে বর্ণের পরের বর্ণ বর্ণটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়।যুক্ত হওয়ার পর অক্ষরটিকে বলা হয় যুক্তাক্ষর[3] যেমনঃব+ই+দ+্+য+আ=বিদ্যা

প্রকারভেদ

ধারণা করা হয় ফলাও এক প্রকার যুক্তাক্ষর।সুতরাং যুক্তাক্ষর দুই প্রকারঃসাধারণ ও ফলা

ফলা

বাংলা ভাষায় ৬টিঃ

নামউদাহরণ
ব-ফলাশ্ব
ম-ফলাশ্ম
র-ফলাশ্র
ন-ফলাশ্ন
য-ফলাশ্য
ল-ফলাশ্ল

ব্যবহার

বাংলা শব্দে দ্বিত্ব প্রয়োগের জন্য অনেক সময় যুক্তাক্ষর ব্যবহার করা হয়।

টীকা

  • ^১ বাংলা শব্দে অনেক সময় কোনো বর্ণের নিচে চিহ্ন থাকে।একেই বলা হয় হসন্ত।যেমনঃ"প্" প-হসন্ত

অর্থাত্‍ এর নিচে হসন্ত

তথ্যসূত্র

  1. যুক্তাক্ষর-সংসদ বাংলা অভিধান
  2. যুক্তবর্ণ-বর্ণ,বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি,অষ্টম শ্রেণী
  3. ব্যবহার-হসন্ত

আরও দেখুন

  • বাংলা বর্ণমালা
  • স্বরবর্ণ
  • হসন্ত
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.